আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে পারে ভারত: বিশেষ সাক্ষাৎকারে ড. কামাল by চন্দন নন্দী
শেখ
হাসিনা সরকারকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে
‘নস্যাৎ’ এবং দেশটির বিকাশমান গণতন্ত্রকে ‘ধ্বংস’ করে দিতে পারে ভারত।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে সাউথ এশিয়ান মনিটরকে এ
কথা বলেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ
সরকার ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করতে
‘সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে।
গৃহবন্দি হতে পারেন- এমন গুজব উড়িয়ে দিয়ে ড. কামাল ভারতীয় সিদ্ধান্ত-প্রণয়নকারদের স্মরণ করিয়ে দেন যে এমনকি শেখ হাসিনা ‘তিনিই বাংলাদেশ মর্মে ভুল ধারণা সৃষ্টি করতে থাকায়’ নয়া দিল্লি যদি নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে একটি রাজনৈতিক দল ও এর নেতার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে, তবে তা ‘ভারত প্রশ্নে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি’ করবে।
গণফোরাম ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা, অশীতিপর এই ব্যারিস্টার বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সমঝদার লোক ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আওয়ামী লীগ নিজকে ভুলভাবে উস্থাপনের প্রেক্ষাপটে ভারতকে অবশ্যই এই দেশের জনগণকে সমর্থন দিতে হবে। অতীতের আওয়ামী লীগের কিছুই এই আওয়ামী লীগে নেই। আমি আশা করছি, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করবে।
হোসেন বলেন, ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনের কোনো কর্মকর্তা বা কূটনীতিক তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ না রাখলেও [ঐক্যফ্রন্টের] অন্যদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। তিনি অবশ্য বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও ভারত এখনো চূড়ান্ত কোনো অবস্থান গ্রহণ করেনি। তারা এখনো ‘দুর্নীতিতে’ নিমজ্জিত ‘অগণতান্ত্রিক’ সরকারকে সমর্থন প্রদান থেকে বিরত থাকতে পারে।
দুর্নীতির কারণেই এই সরকার ‘নির্বাচনের ব্যাপারে ভীত।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবাইকে অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, আমরা নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারি না, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে সন্ত্রস্ত্র করতে থাকায় আমাদেরকে অবশ্যই একেবারে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে।
তিনি শেখ হাসিনা ও ক্ষমতাসীন দলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন মাত্রায় সন্ত্রাস দেখিনি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্থানে শহর-গ্রামের প্রতিটি রাস্তায় পোশাকধারী পুলিশ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। গণগ্রেপ্তার চলছে। এটিই আসল লজ্জা।
ড. কামাল বলেন, লোকজন যাতে ভোট দিতে না আসে সেজন্য তাদেরকে সন্ত্রস্ত্র করাই তাদের উদ্দেশ্য। এ কারণে আমাদের দরকার অটল থাকা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রচারকাজ দুইদিনের মধ্যেই শেষ হবে।
ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা বলছেন যে ভোটারদের উপস্থিতির ওপর ফলাফল অনেকাংশে নির্ভর করবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের দমনমূলক পদক্ষেপ ভোটারদেরকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, সেটা অনেকাংশে নির্ভর করবে সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাস লোকজনকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবে কি না তার ওপর। পুলিশ সন্ত্রাসীদের অংশ হওয়া সত্ত্বেও নির্ভীকভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনগণকে উৎসাহিত করছে। জনগণের ভাবাবেগ অবশ্যই প্রতিফলিত হতে হবে, সরকারকে ভোটের মাধ্যমে বিদায় করার এটিই সময়।
দুইদিন আগে বিপুল সংখ্যায় মোতায়েন হওয়া সত্ত্বেও সেনাবাহিনী কেন সহিংসতা দমনে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি- এ প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, সামরিক বাহিনী পরিবর্তীত হয়নি। বাকি আছে মাত্র দুইদিন। আমরা আশা করছি আগামীকাল (২৭শে ডিসেম্বর) সেনাবাহিনী তার দায়িত্ব পালন শুরু করবে।
ড. কামাল মনে করেন, পুলিশ যখন নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে না, তখন ঐতিহাসিকভাবেই সেনাবাহিনী তা রক্ষা করে চলে। তারা কার্যকরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। এবার সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট ডিসিদের কাছে রিপোর্ট করছে। তিনি আশা করেন, সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিহিত সদস্যরা তাদের স্বাভাবিক ভূমিকা পালন করবে, তারা পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে আসবে।
পাকিস্তানি ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টিলিজেন্স (আইএসআই) ও বিএনপির মধ্য কথিত সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ার একটি অংশের উৎসাহী ভূমিকা এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (র) সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক নিয়ে খবর প্রকাশে অনীহা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, বিএনপির সঙ্গে আইএসআইয়ের কথিত সম্পর্ক থাকা নিয়ে ক্ষমতাসীন দল সম্পূর্ণ মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের দমনমূলক পদক্ষেপ এবং সেইসঙ্গে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রদান করতে হাসিনা সরকারের অস্বীকারের ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্ট আইনগতভাবে কী পরিকল্পনা গ্রহণ করছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় সন্ত্রাসের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করার জন্য ঐক্যফ্রন্টের সব প্রার্থীকে পরামর্শ দিয়েছেন। হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে পিটিশন দায়েরের সময় এগুলো দাখিল করা হবে।
গৃহবন্দি হতে পারেন- এমন গুজব উড়িয়ে দিয়ে ড. কামাল ভারতীয় সিদ্ধান্ত-প্রণয়নকারদের স্মরণ করিয়ে দেন যে এমনকি শেখ হাসিনা ‘তিনিই বাংলাদেশ মর্মে ভুল ধারণা সৃষ্টি করতে থাকায়’ নয়া দিল্লি যদি নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে একটি রাজনৈতিক দল ও এর নেতার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে, তবে তা ‘ভারত প্রশ্নে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি’ করবে।
গণফোরাম ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা, অশীতিপর এই ব্যারিস্টার বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সমঝদার লোক ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আওয়ামী লীগ নিজকে ভুলভাবে উস্থাপনের প্রেক্ষাপটে ভারতকে অবশ্যই এই দেশের জনগণকে সমর্থন দিতে হবে। অতীতের আওয়ামী লীগের কিছুই এই আওয়ামী লীগে নেই। আমি আশা করছি, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করবে।
হোসেন বলেন, ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনের কোনো কর্মকর্তা বা কূটনীতিক তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ না রাখলেও [ঐক্যফ্রন্টের] অন্যদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। তিনি অবশ্য বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও ভারত এখনো চূড়ান্ত কোনো অবস্থান গ্রহণ করেনি। তারা এখনো ‘দুর্নীতিতে’ নিমজ্জিত ‘অগণতান্ত্রিক’ সরকারকে সমর্থন প্রদান থেকে বিরত থাকতে পারে।
দুর্নীতির কারণেই এই সরকার ‘নির্বাচনের ব্যাপারে ভীত।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবাইকে অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, আমরা নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারি না, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে সন্ত্রস্ত্র করতে থাকায় আমাদেরকে অবশ্যই একেবারে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে।
তিনি শেখ হাসিনা ও ক্ষমতাসীন দলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন মাত্রায় সন্ত্রাস দেখিনি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্থানে শহর-গ্রামের প্রতিটি রাস্তায় পোশাকধারী পুলিশ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। গণগ্রেপ্তার চলছে। এটিই আসল লজ্জা।
ড. কামাল বলেন, লোকজন যাতে ভোট দিতে না আসে সেজন্য তাদেরকে সন্ত্রস্ত্র করাই তাদের উদ্দেশ্য। এ কারণে আমাদের দরকার অটল থাকা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রচারকাজ দুইদিনের মধ্যেই শেষ হবে।
ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা বলছেন যে ভোটারদের উপস্থিতির ওপর ফলাফল অনেকাংশে নির্ভর করবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের দমনমূলক পদক্ষেপ ভোটারদেরকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, সেটা অনেকাংশে নির্ভর করবে সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাস লোকজনকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবে কি না তার ওপর। পুলিশ সন্ত্রাসীদের অংশ হওয়া সত্ত্বেও নির্ভীকভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনগণকে উৎসাহিত করছে। জনগণের ভাবাবেগ অবশ্যই প্রতিফলিত হতে হবে, সরকারকে ভোটের মাধ্যমে বিদায় করার এটিই সময়।
দুইদিন আগে বিপুল সংখ্যায় মোতায়েন হওয়া সত্ত্বেও সেনাবাহিনী কেন সহিংসতা দমনে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি- এ প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, সামরিক বাহিনী পরিবর্তীত হয়নি। বাকি আছে মাত্র দুইদিন। আমরা আশা করছি আগামীকাল (২৭শে ডিসেম্বর) সেনাবাহিনী তার দায়িত্ব পালন শুরু করবে।
ড. কামাল মনে করেন, পুলিশ যখন নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে না, তখন ঐতিহাসিকভাবেই সেনাবাহিনী তা রক্ষা করে চলে। তারা কার্যকরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। এবার সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট ডিসিদের কাছে রিপোর্ট করছে। তিনি আশা করেন, সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিহিত সদস্যরা তাদের স্বাভাবিক ভূমিকা পালন করবে, তারা পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে আসবে।
পাকিস্তানি ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টিলিজেন্স (আইএসআই) ও বিএনপির মধ্য কথিত সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ার একটি অংশের উৎসাহী ভূমিকা এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (র) সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক নিয়ে খবর প্রকাশে অনীহা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, বিএনপির সঙ্গে আইএসআইয়ের কথিত সম্পর্ক থাকা নিয়ে ক্ষমতাসীন দল সম্পূর্ণ মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের দমনমূলক পদক্ষেপ এবং সেইসঙ্গে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রদান করতে হাসিনা সরকারের অস্বীকারের ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্ট আইনগতভাবে কী পরিকল্পনা গ্রহণ করছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় সন্ত্রাসের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করার জন্য ঐক্যফ্রন্টের সব প্রার্থীকে পরামর্শ দিয়েছেন। হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে পিটিশন দায়েরের সময় এগুলো দাখিল করা হবে।
No comments