নিরাপদ সড়ক আন্দোলন: কী ঘটেছিল ধানমণ্ডিতে?
নিরাপদ
সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শনিবার আওয়ামী লীগ কর্মীদের
সাথে সংঘর্ষে ঢাকার ধানমণ্ডির জিগাতলা এবং সায়েন্স ল্যাব মোড় অনেকটা
রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল। তবে সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা বলছেন, তাদের কেউ ওই হামলা সঙ্গে জড়িত নয়।
ওই সংঘর্ষে অন্তত ২৫জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে, যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।।
শনিবার ঠিক কি ঘটেছিল ধানমণ্ডিতে?
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এবং ঘটনাস্থল ঘুরে জানা গেল, জিগাতলার মোড়ে কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখছিল। দুপুরের পরে হঠাৎ করে হেলমেট পড়া একদল যুবক এসে লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রথমে পিছু হটে গেলেও একটু পরে সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া করে। এরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি চলে।
মোটরসাইকেলে হেলমেট পড়া যে যুবকরা ছিল, তারা পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি করেছে বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। কিছুক্ষণ পরে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া থেমে যায়।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, হেলমেট পড়া যুবকরা তাদের কর্মী নয় বা তাদের কোন কর্মী সমর্থক এই হামলা করেনি। এদের কাউকে তারা চেনে না।
তবে ঘটনার শুরু সম্পর্কে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, আন্দোলনরত একজন শিক্ষার্থীকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী ডেকে কথা বলেন।
কিন্তু কথা ছড়িয়ে পড়ে যে তাকে চড়থাপ্পর দেয়া হয়েছে, এরকম কথা ছড়িয়ে পড়ার পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে তারা বলছেন।
এই ঘটনার কিছু পরে বেশ কয়েকটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের কাছে খবর আসে যে, একজনকে জিগাতলায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের পাশে নির্বাচনী অফিসে ধরে নিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
আরো কথা ছড়িয়ে পড়ে যে, আওয়ামী লীগ অফিসের ভেতর একটি মেয়েকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে।
তখন বিভিন্ন স্থান থেকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা এসে জিগাতলায় জড়ো হন। তারা স্বীকার করেছেন যে, এসব তারা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে ইটপাটকেল ছোড়ে। তখন তাদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এসময় দুই পক্ষেই অনেকে আহত হন। কাছেই পপুলার নামের একটি হাসপাতালে দুই পক্ষ মিলিয়ে ২৫জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুরো ঘটনার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থান নিয়েছিল বলে বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিকাল সাড়ে ৫টার পর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে আওয়ামী লীগের অফিসের ভেতরে নিয়ে যান। তাদের তারা অফিসটি ঘুরিয়ে দেখান।
সেই শিক্ষার্থীরা বাইরে বেরিয়ে এসে বলেন, তারা যা শুনেছে, তা সঠিক নয়। এরপর আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এসে আওয়ামী লীগ অফিসের ভেতরে ঘুরিয়ে দেখানো হয়। পুলিশও কয়েকজনকে নিয়ে এসে অফিসটি দেখায়।
এরপর শিক্ষার্থীরা শান্ত হন। সন্ধ্যার দিকে পুরো এলাকাটি শান্ত হয়ে আসে।
ধানমণ্ডি থানার পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারের ওই ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছাত্র নিহত বা ধর্ষণের যেসব গুজব রটানো হয়েছে, তারা তদন্ত করে তার কোন প্রমাণ খুঁজে পাননি।
সূত্র- বিবিসি বাংলা
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা বলছেন, তাদের কেউ ওই হামলা সঙ্গে জড়িত নয়।
ওই সংঘর্ষে অন্তত ২৫জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে, যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।।
শনিবার ঠিক কি ঘটেছিল ধানমণ্ডিতে?
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এবং ঘটনাস্থল ঘুরে জানা গেল, জিগাতলার মোড়ে কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখছিল। দুপুরের পরে হঠাৎ করে হেলমেট পড়া একদল যুবক এসে লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রথমে পিছু হটে গেলেও একটু পরে সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া করে। এরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি চলে।
মোটরসাইকেলে হেলমেট পড়া যে যুবকরা ছিল, তারা পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি করেছে বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। কিছুক্ষণ পরে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া থেমে যায়।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, হেলমেট পড়া যুবকরা তাদের কর্মী নয় বা তাদের কোন কর্মী সমর্থক এই হামলা করেনি। এদের কাউকে তারা চেনে না।
তবে ঘটনার শুরু সম্পর্কে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, আন্দোলনরত একজন শিক্ষার্থীকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী ডেকে কথা বলেন।
কিন্তু কথা ছড়িয়ে পড়ে যে তাকে চড়থাপ্পর দেয়া হয়েছে, এরকম কথা ছড়িয়ে পড়ার পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে তারা বলছেন।
এই ঘটনার কিছু পরে বেশ কয়েকটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের কাছে খবর আসে যে, একজনকে জিগাতলায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের পাশে নির্বাচনী অফিসে ধরে নিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
আরো কথা ছড়িয়ে পড়ে যে, আওয়ামী লীগ অফিসের ভেতর একটি মেয়েকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে।
তখন বিভিন্ন স্থান থেকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা এসে জিগাতলায় জড়ো হন। তারা স্বীকার করেছেন যে, এসব তারা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে ইটপাটকেল ছোড়ে। তখন তাদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এসময় দুই পক্ষেই অনেকে আহত হন। কাছেই পপুলার নামের একটি হাসপাতালে দুই পক্ষ মিলিয়ে ২৫জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুরো ঘটনার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থান নিয়েছিল বলে বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিকাল সাড়ে ৫টার পর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে আওয়ামী লীগের অফিসের ভেতরে নিয়ে যান। তাদের তারা অফিসটি ঘুরিয়ে দেখান।
সেই শিক্ষার্থীরা বাইরে বেরিয়ে এসে বলেন, তারা যা শুনেছে, তা সঠিক নয়। এরপর আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এসে আওয়ামী লীগ অফিসের ভেতরে ঘুরিয়ে দেখানো হয়। পুলিশও কয়েকজনকে নিয়ে এসে অফিসটি দেখায়।
এরপর শিক্ষার্থীরা শান্ত হন। সন্ধ্যার দিকে পুরো এলাকাটি শান্ত হয়ে আসে।
ধানমণ্ডি থানার পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারের ওই ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছাত্র নিহত বা ধর্ষণের যেসব গুজব রটানো হয়েছে, তারা তদন্ত করে তার কোন প্রমাণ খুঁজে পাননি।
সূত্র- বিবিসি বাংলা
No comments