জিগাতলা হামলা সরকারের দ্বৈত চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ by মুসা বিন মোহাম্মদ
জিগাতলায়
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে সরকারের দ্বৈত চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য
করেছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ।
মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেন চলমান
আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান বিক্ষোভ এক কথায় ঐতিহাসিক জাগরণ, অভূতপূর্ব, সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল, শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ ও অচিন্ত্যনীয়। ঢাকায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের মধ্যে একটি শক্তি রয়েছে। একদিকে সহপাঠিদের নিহত হওয়া অন্যদিকে সংগঠিত প্রতিবাদ জানিয়ে পরিশ্রম করে দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে রাস্তাঘাট ঠিক করতে হয়, আইন প্রয়োগ করতে হয়।
তাদের হাতে অস্ত্র নেই, ক্ষমতা নেই। গাড়ি ভাঙচুর না করে তারা সড়কে সুশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সব মানুষকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। শিক্ষার্র্থী এটা সম্ভব করেছে ন্যায্যতার মাধ্যমে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনের কারণ কেবল বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়া নয়; বরং দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের মনে জমে থাকা তিক্ততা। এ কারণেই দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের এই সুশুঙ্খল বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীরা দেখে আসছে, প্রতিনিয়ত গাড়ির নিচে তাদের সহপাঠি মারা যাচ্ছে, যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত হচ্ছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া অপরাধ দমনে বড়রা কিছু করছেন না। সমাধান হচ্ছে না। এসব তিক্ততা নিয়ে বয়সে ছোট হলেও তারা আন্দোলনে নেমে গেছে।
শিক্ষার্থীদের এটা অনেক বড় অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আন্দোলনকে দেশের সব মানুষ সমর্থন জানিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও শিক্ষার্থীদের সখ্যতা গড়ে ওঠতে দেখা গেছে। সমর্থনও জানিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেয়া দরকার ছিল সরকারের। সরকার দাবি মেনে নেয়নি। দাবি মানলে নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান পদত্যাগ করে দেখিয়ে দিতেন। দেখা গেছে, সড়কে এমপি-মন্ত্রীদের গাড়িতে লাইসেন্স ছিল না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও অনেক গাড়ির রুট পারমিট নেই। এসব মেনে চলা পুরাতন আইনেই আছে। সরকার সড়কের পুরাতন আইনই ভঙ্গ করেছে। আইনভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের কোনো ভূমিকা সরকার গ্রহণ করেনি।
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, আমরা দেখেছি, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মধ্যেও শিক্ষার্থীসহ অনেক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তবুও সরকার শাজাহান খানকে পদত্যাগ করায়নি। সরকারে যারা থাকে তারা বোধশক্তি হারিয়ে ফেলে বলেই এসব দাবি তারা মানতে পারেনি।
ধানমন্ডির জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের দ্বৈত চরিত্রের বহি:প্রকাশ বলে মন্তব্য কওে তিনি বলেন, একদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে সরকার প্রশংসা করছে অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকারের লোক। কীভাবে তাদের ওপর হাত ওঠে। এটা আমাদের নিকট অবিশ্বাস্য বিষয়। এ অবস্থান সরকারের জন্য আতœঘাতী কাজ উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, শিক্ষঅর্থীদেও আন্দোলনে সবার সমর্থন ও তাদের সাথে রয়েছে জনগণ। তাদের ওপর সরকারের নগ্ন হামলার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার জনবিচ্ছিন্নও হয়ে পড়ছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান বিক্ষোভ এক কথায় ঐতিহাসিক জাগরণ, অভূতপূর্ব, সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল, শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ ও অচিন্ত্যনীয়। ঢাকায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের মধ্যে একটি শক্তি রয়েছে। একদিকে সহপাঠিদের নিহত হওয়া অন্যদিকে সংগঠিত প্রতিবাদ জানিয়ে পরিশ্রম করে দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে রাস্তাঘাট ঠিক করতে হয়, আইন প্রয়োগ করতে হয়।
তাদের হাতে অস্ত্র নেই, ক্ষমতা নেই। গাড়ি ভাঙচুর না করে তারা সড়কে সুশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সব মানুষকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। শিক্ষার্র্থী এটা সম্ভব করেছে ন্যায্যতার মাধ্যমে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনের কারণ কেবল বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়া নয়; বরং দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের মনে জমে থাকা তিক্ততা। এ কারণেই দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের এই সুশুঙ্খল বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীরা দেখে আসছে, প্রতিনিয়ত গাড়ির নিচে তাদের সহপাঠি মারা যাচ্ছে, যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত হচ্ছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া অপরাধ দমনে বড়রা কিছু করছেন না। সমাধান হচ্ছে না। এসব তিক্ততা নিয়ে বয়সে ছোট হলেও তারা আন্দোলনে নেমে গেছে।
শিক্ষার্থীদের এটা অনেক বড় অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আন্দোলনকে দেশের সব মানুষ সমর্থন জানিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও শিক্ষার্থীদের সখ্যতা গড়ে ওঠতে দেখা গেছে। সমর্থনও জানিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেয়া দরকার ছিল সরকারের। সরকার দাবি মেনে নেয়নি। দাবি মানলে নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান পদত্যাগ করে দেখিয়ে দিতেন। দেখা গেছে, সড়কে এমপি-মন্ত্রীদের গাড়িতে লাইসেন্স ছিল না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও অনেক গাড়ির রুট পারমিট নেই। এসব মেনে চলা পুরাতন আইনেই আছে। সরকার সড়কের পুরাতন আইনই ভঙ্গ করেছে। আইনভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের কোনো ভূমিকা সরকার গ্রহণ করেনি।
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, আমরা দেখেছি, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মধ্যেও শিক্ষার্থীসহ অনেক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তবুও সরকার শাজাহান খানকে পদত্যাগ করায়নি। সরকারে যারা থাকে তারা বোধশক্তি হারিয়ে ফেলে বলেই এসব দাবি তারা মানতে পারেনি।
ধানমন্ডির জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের দ্বৈত চরিত্রের বহি:প্রকাশ বলে মন্তব্য কওে তিনি বলেন, একদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে সরকার প্রশংসা করছে অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকারের লোক। কীভাবে তাদের ওপর হাত ওঠে। এটা আমাদের নিকট অবিশ্বাস্য বিষয়। এ অবস্থান সরকারের জন্য আতœঘাতী কাজ উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, শিক্ষঅর্থীদেও আন্দোলনে সবার সমর্থন ও তাদের সাথে রয়েছে জনগণ। তাদের ওপর সরকারের নগ্ন হামলার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার জনবিচ্ছিন্নও হয়ে পড়ছে।
No comments