গ্রিনল্যান্ড ‘দখল’ করার কোনো উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নেই: ট্রাম্পের নতুন দূত
মঙ্গলবার ফক্স নিউজের সঙ্গে আলাপকালে ল্যান্ড্রি জোর দিয়ে বলেন, গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করতেই হবে এটা বুঝতে যে সামনে এগিয়ে যেতে তারা কী চায়।
ল্যান্ড্রি প্রশ্ন করেন, ‘তাঁরা কী খুঁজছেন? কী ধরনের সুযোগ তাঁরা পাননি? যে সুরক্ষা তাঁদের পাওয়ার কথা, তা কেন পাননি?’
জনমত জরিপে গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দারা বরাবরই তাঁদের ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দখলদারির বিরোধিতা করে আসছেন।
রোববার ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জেফ ল্যান্ড্রি গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করবেন, যদিও তাঁর কূটনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।
এই ঘোষণার পর ল্যান্ড্রি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ট্রাম্পের উদ্দেশে লেখেন, ‘গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার এই স্বেচ্ছাসেবী পদে আপনার জন্য কাজ করতে পারাটা সম্মানের।’
জবাবে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন ও গ্রিনল্যান্ডের প্রিমিয়ার জেন্স-ফ্রেডেরিক নিয়েলসেন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডবাসীরই অধিকারে থাকবে।
ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড তার কৌশলগত অবস্থান এবং বিপুল খনিজ সম্পদের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ কেড়েছে।
ট্রাম্প বলছেন, গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে, খনিজ সম্পদের জন্য নয়।
ল্যান্ড্রিকে বিশেষ দূত নিয়োগের পর সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ডের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।
গ্রিনল্যান্ড ও কানাডা—দুই দেশ ও অঞ্চলকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে পরিণত করার বিষয়ে ট্রাম্পের বারবার উচ্চারিত আকাঙ্ক্ষা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক সতর্ক করেছেন, তাঁর এই জেদি আচরণ ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
![]() |
| হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে জেফ ল্যান্ড্রির বক্তব্য শুনছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র। ২৪ মার্চ, ২০২৫ ছবি: রয়টার্স |

No comments