মেয়েদের চর্মরোগ অ্যাকজিমা হলে by ডা. দিদারুল আহসান

বিভিন্ন চর্মরোগের মধ্যে হাতের অ্যাকজিমা অন্যতম। মেয়েরা, বিশেষ করে যারা পানির কাজ করেন বেশি, সারাদিন সাবান বা সোডা জাতীয় জিনিসের সংস্পর্শে আসেন, কাপড়-চোপড় বা বাসনকোসন পরিষ্কার করেন, তারা সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত হন বেশি। শুধু নারীরা নন, যেসব পেশায় অনেকক্ষণ পানির কাজ করতে হয় বা সাবান দিয়ে বার বার হাত ধুতে হয়, সেসব পেশার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন বেশি।

অ্যাকজিমা হলে শুরুতে আঙ্গুলগুলো লাল ও শুকনা হয়ে ফেটে যায়। হাতের চামড়ায় ফোসকা পড়ে। অনেক সময় ত্বক ফেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আঙ্গুলে আংটি থাকলে এর চারপাশে অ্যাকজিমা প্রকট হয়ে ওঠে। কারণ, আংটি একই স্থানে থাকে। ফলে পানি ও সাবান আংটির তলায় জমা হয়।
অনেক সময় কিছু সবজি বা খাবার, যেমন আদা, পিয়াজ, টমেটো, গাজর, ডুমুর, কুমড়া, বেগুন, পেঁপে ইত্যাদির অ্যালার্জি থেকেও হাতে অ্যাকজিমা হতে পারে। খাবারের প্রোটিন জাতীয় অংশ প্রায়ই অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। এরমধ্যে রয়েছে আলু, গম, খোলযুক্ত চিংড়ি, কাঁকড়া ইত্যাদি।
এ ছাড়া গ্লাভসসহ প্লাস্টিকের পণ্য ও নিকেল জাতীয় ধাতবের সংস্পর্শ, ফাইলোডেনড্রেন, পার্থোনিয়াম ইত্যাদি গাছ বা প্যারাফিনাইল ডাই-অ্যামাইন রং (চুলের কলপে ব্যবহৃত হয়) থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট রাসায়নিক থেকেও অ্যালার্জি দেখা দেয়।

চিকিৎসা
একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা যায়। অনেক সময় পরীক্ষার মাধ্যমে এ অ্যালার্জির কারণ জানতে হয়। যাদের সব সময় পানি বা সাবান নিয়ে কাজ করতে হয়, তারা কাজের সময় কিচেন গ্লাভস পরে নিতে পারেন। হাত শুষ্ক রাখার চেষ্টা করুন। কাজ শেষে হাত মুছে ফেলুন। আবার ব্যবহৃত গ্লাভস যেন পরিষ্কার ও শুকনা থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
লেখক: চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ, কনসালট্যান্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আল-রাজী হাসপাতাল, ঢাকা। সেল-০১৭১৫-৬১৬২০০


No comments

Powered by Blogger.