নিজামীর রিভিউ শুনানি কার্যতালিকায়
মতিউর রহমান নিজামী |
একাত্তরে
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে জামায়াতে
ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর করা আবেদন শুনানির জন্য আগামীকাল
রোববার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র
কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চের কার্যতালিকার
১৯ নম্বরে আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। এই বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এর আগে ৩ এপ্রিল আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের
কার্যতালিকায় ছিল। ওই দিন নিজামীর আইনজীবী এস এম শাহজাহান রিভিউ আবেদনের
শুনানি মুলতবির আরজি জানান। পরে আদালত আদেশে বলেন, নট দিস উইক (এ সপ্তাহে
নয়)। ২৯ মার্চ নিজামীর আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রায়
পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা দেন। এরপর বিষয়টি দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করে
রাষ্ট্রপক্ষ। গত বুধবার চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের
নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। ওই আদেশ অনুসারে এটি আপিল বিভাগের নিয়মিত
বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে
নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে গত ৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম
কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রায় আড়াই মাস পর ১৫ মার্চ আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়
প্রকাশিত হয়। ওই রাতেই পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে
পৌঁছায়। পরের দিন কাশিমপুর কারাগারে নিজামীকে রায় জানানো হয়। নিজামী আপিলের
রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করায় এর কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। আবেদন খারিজ
হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তখন সবশেষ সুযোগ হিসেবে
নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন।
প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে কিংবা আবেদন করার পর নাকচ হয়ে গেলে ফাঁসি
কার্যকর করা হবে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা একটি মামলায়
২০১০ সালের ২৯ জুন নিজামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১২ সালের ২৮ মে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ গঠন করে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারকাজ শুরু করেন। ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর
ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায়ে নিজামীকে ফাঁসির আদেশ দেন।
No comments