আপনি ভালো থাকুন নাজিম উদ্দিন by মিজানুর রহমান খান
এটাই
সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য অনুমান হতে পারে যে নাজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের
সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্ন জড়িত। যারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশকে
বিপজ্জনক মনে করছে, তারাই এটা ঘটাতে পারে। এ প্রসঙ্গে সবচেয়ে দামি একটি
মন্তব্য করেছেন নাজিম উদ্দিনের ভাই। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘ইসলাম নষ্ট হয়
না, মানুষ নষ্ট হয়।’ জঙ্গিপনা কিংবা ইসলামের পবিত্রতা ক্ষুণ্নকারীদের
সম্পর্কে রাষ্ট্রকে অবশ্যই অতন্দ্রপ্রহরী হতে হবে। আবার সম্ভবত এখন সময়
এসেছে এটাও ভাবতে, ‘একই কায়দায়’ খুন করলেই একটি বিশেষ দিকের প্রতি ইঙ্গিত
করা সমীচীন কি সমীচীন নয় এবং আমরা লক্ষ করি, কোথাও থেকে তার একটি দায়
স্বীকারোক্তিমূলক টুইট ধরনের বার্তার কথা জানতে পারা এবং তার বিরুদ্ধে একটা
প্রতিক্রিয়া দেখানোর মধ্যেই রাষ্ট্র তার কর্তব্য সম্পন্ন করার প্রবণতা
দেখিয়ে চলছে। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। পুলিশের সেসব কর্মকর্তাকে
ধন্যবাদ, যাঁরা মনে করছেন, ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হাত ছাড়াও ‘অন্যান্য
হাতও’ খতিয়ে দেখা দরকার। আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে বিবেকবান ও সৎ
কর্মকর্তারা ‘অন্যান্য হাত’ যাচাই করতে গিয়ে ভীরুতার পরিচয় দেবেন না।
নাজিম উদ্দিনের অনেকগুলো পরিচয়। কিন্তু সব পরিচয় ছাপিয়ে তাঁর ব্লগার
পরিচয়টাই আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কত দ্রুত প্রচার পেয়ে গেল। অথচ তিনি কোন
ব্লগে লিখতেন, সেটা তাঁর বন্ধু ও স্বজনেরা এখনো খুঁজে পাননি। ‘একই
কায়দায়’ নিহত হওয়ার কারণে তাঁর ব্লগার পরিচয়টা সামনে এসেছে। বর্তমানে
বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এমন তরুণ কমই পাওয়া যাবে, যাঁদের ফেসবুক আইডি নেই
এবং সেই সুবাদে তাঁরা চলমান রাজনীতি বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ না করেন। এখন
থেকে যে কেউ ‘একই কায়দায়’ নিহত হবে, তাহলে আমাদের সবার আগে মনে পড়বে
নিশ্চয় বিশেষ শ্রেণির উগ্রপন্থীরা করেছে! এতে লাভ কার। কেউ কেউ বলছেন,
‘একই কায়দায়’ হত্যাকাণ্ড এই শিরোনামটি একটি দায়মুক্তির পয়গাম বয়ে আনছে
কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন। কারণ ‘একই কায়দায়’ উল্লেখ করে যদি সব
অবস্থায় কেবলই একটি বিশেষ মহল সম্পর্কে জনমনে ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব
হয়, তাহলে সেটা একটা রক্ষাকবচ বটে। পত্রিকায় পড়েছি, নাজিম উদ্দিনের
খুনিরা ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চলে গেছে। এ কথা সত্য হলে বাস্তবতা হলো
খুনিরা কেবল রাজপথে প্রকাশ্যে খুনই করছে না, তারা এখন স্লোগান দিতেও
ভীরুতার পরিচয় দিচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘নাজিম উদ্দিন ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি করতেন কি
না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’ এই ব্যাখ্যার কাছাকাছি উদ্বেগজনক ব্যাখ্যা
অতীতেও বিভিন্ন সময়ে শুনেছি। আবার পরিহাসটা দেখুন।
আইএস নেই, জঙ্গিবাদ আছে। কিন্তু মানুষ খুন হচ্ছে। যার নামে যখনই কোনো খুন ঘটুক না কেন, কে মেরেছে সেদিকে একটা সন্দেহের তির ছুড়ে দিতে পারলে কার কী লাভ? যে পরিবার তাঁদের প্রিয়জন বা সন্তানকে হারান তার কী লাভ? কারা মারতে পারে, সেদিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করতে দিয়ে যদি আমরা একটা মুক্তি বা পরিত্রাণ পেতাম, তাহলে নাহয় একটা সান্ত্বনা ছিল। কিন্তু যে মা তাঁর সন্তান হারাচ্ছেন, তাঁরই কেবল কোল খালি হচ্ছে। যার যায় কেবল তারই যায়।
দেশে কেবল ব্লগাররাই খুনের তালিকাটাকে দীর্ঘ করছে এবং জঙ্গিবাদী নাশকতাই দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতির মুখ্য কারণ, সেটাও তো কেউ দাবি করছে না। সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত নিয়ে যা ঘটল, তা কিসের লক্ষণ বহন করে? তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক যুবক ‘গুম’ অবস্থায় আছে। কোনো সাফল্যজনক বিচার কোনো একটি হত্যাকাণ্ডকেও জন-আলোচনা বা মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরিয়ে দিচ্ছে না। সরিয়ে দিচ্ছে আরেকটি খুন। চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচারও দ্রুত বিচার আইনে হচ্ছে না। সিলেটে ও খুলনায় দুটি দ্রুত বিচারের দৃষ্টান্তের পরে আর কোনো উদাহরণ দেখাতে হবে না?
বিচার নেই, সালিসও নেই। এমনকি কোনো রকমের আপসরফাও হচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশ, যারা ব্লাড মানি দিয়ে আদালতের বাইরে মীমাংসা করে থাকে, তাদের বিচার-আচারের প্রতি অনেকেই আমরা সন্দিগ্ধ, কিন্তু আমরা কি খেয়াল করব যে ওই রকমের একটা আপসরফায় যেতে হলে তিনটি বিষয়ের সুরাহা লাগে? প্রথমত, অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, অপরাধী কে সেটা চেনা যাচ্ছে। আর ভিকটিম পরিবারকে কেবল শোকের বোঝা বইতে হচ্ছে, অন্য কিছু নয়।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডিসি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেছেন, নিহত ব্যক্তির পরিবার মামলা করতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ মামলা করেছে। অনেক ঘটনায় আমরা উল্টো দেখি, নিহত ব্যক্তির পরিবার মামলা করতে চায়, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয় না। এখন দেখা যাচ্ছে, নিহত ব্যক্তির পরিবার কথিত অজ্ঞাতপরিচয় উগ্রপন্থীদের নামেও মামলা করতে চায় না। এর আগে দীপনের বাবা বলেছিলেন, ‘আমি বিচার চাই না।’ তাহলে কি দীপন ও নাজিম উদ্দিনের পরিবারগুলো বিচার পাবেন না বলে দেশে ‘বিচার না চাওয়ার’ ধারা তৈরি করছেন?
বর্তমান সরকারের প্রথম দিকের চার বছরে বছরে গড় খুন ছিল তিন হাজার, এই ধারাটা বহু বছর ধরে চলেছে। কিন্তু পরের চার বছরের নতুন উদ্বেগজনক ধারা হচ্ছে বছরে গড়ে এক হাজার খুন বেড়েছে। এখন বছরে খুন হয় চার হাজার। আর খুনিদের সাজা লাভের হার যথারীতি ২০ ভাগের নিচে আছে। আমরা আমাদের জাতীয় নেতাদের কাছে শুনতে চাই, এ বিষয়ে তাঁরা একটি টার্গেট ঠিক করেছেন। তাহলেই এ অবস্থাটি বদলাবে। আর সেটা বদলানো গেলে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সাধারণ খুনিদের আর কারও পক্ষেই ‘স্লোগান’ দিয়ে খুন করার মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে না। আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা মনে রাখুন, ভাত-কাপড় বা উন্নয়নের জন্য নয়, প্রধানত নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজন থেকেই রাষ্ট্রব্যবস্থার উৎপত্তি ঘটেছিল। মৃত মানুষের গণতন্ত্র বা উন্নয়ন লাগে না। ধর্মের বিষয়ে নয়, ফেসবুকে আইন বিভাগের নিহত ছাত্র নাজিম উদ্দিন, যিনি সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন, তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিষণ্ন ছিলেন। তাঁর নিহত হওয়ার দিনেই আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠকে বসেছিল। তাঁরা যথার্থই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করেছেন। ফেসবুকে নাজিম উদ্দিনের মন্তব্য ছিল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে। তিনি প্রতিবাদী ছিলেন। ধর্মের অবমাননা করে তাঁর কোনো লেখার কথাও জানা যাচ্ছে না। তাঁর ‘থটক্রাইম’ কী, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
বরং আমরা জানছি যে তিনি নূর হোসেনকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন। নূর হোসেন বুকে-পিঠে লিখেছিলেন, স্বৈরাচার নিপাত যাক। আর নাজিম উদ্দিনকে শহীদ মিনারের সামনে বুকে লাল কালিতে ‘রাজাকার নিপাত যাক’ লেখা অবস্থায় দেখা গেছে। মৃত্যুর আগে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘মাথা নত করে চুপ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরাটাই বোধ হয় ভালো।’
আপনি ভালো থাকুন, নাজিম উদ্দিন।
আইএস নেই, জঙ্গিবাদ আছে। কিন্তু মানুষ খুন হচ্ছে। যার নামে যখনই কোনো খুন ঘটুক না কেন, কে মেরেছে সেদিকে একটা সন্দেহের তির ছুড়ে দিতে পারলে কার কী লাভ? যে পরিবার তাঁদের প্রিয়জন বা সন্তানকে হারান তার কী লাভ? কারা মারতে পারে, সেদিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করতে দিয়ে যদি আমরা একটা মুক্তি বা পরিত্রাণ পেতাম, তাহলে নাহয় একটা সান্ত্বনা ছিল। কিন্তু যে মা তাঁর সন্তান হারাচ্ছেন, তাঁরই কেবল কোল খালি হচ্ছে। যার যায় কেবল তারই যায়।
দেশে কেবল ব্লগাররাই খুনের তালিকাটাকে দীর্ঘ করছে এবং জঙ্গিবাদী নাশকতাই দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতির মুখ্য কারণ, সেটাও তো কেউ দাবি করছে না। সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত নিয়ে যা ঘটল, তা কিসের লক্ষণ বহন করে? তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক যুবক ‘গুম’ অবস্থায় আছে। কোনো সাফল্যজনক বিচার কোনো একটি হত্যাকাণ্ডকেও জন-আলোচনা বা মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরিয়ে দিচ্ছে না। সরিয়ে দিচ্ছে আরেকটি খুন। চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচারও দ্রুত বিচার আইনে হচ্ছে না। সিলেটে ও খুলনায় দুটি দ্রুত বিচারের দৃষ্টান্তের পরে আর কোনো উদাহরণ দেখাতে হবে না?
বিচার নেই, সালিসও নেই। এমনকি কোনো রকমের আপসরফাও হচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশ, যারা ব্লাড মানি দিয়ে আদালতের বাইরে মীমাংসা করে থাকে, তাদের বিচার-আচারের প্রতি অনেকেই আমরা সন্দিগ্ধ, কিন্তু আমরা কি খেয়াল করব যে ওই রকমের একটা আপসরফায় যেতে হলে তিনটি বিষয়ের সুরাহা লাগে? প্রথমত, অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, অপরাধী কে সেটা চেনা যাচ্ছে। আর ভিকটিম পরিবারকে কেবল শোকের বোঝা বইতে হচ্ছে, অন্য কিছু নয়।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডিসি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেছেন, নিহত ব্যক্তির পরিবার মামলা করতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ মামলা করেছে। অনেক ঘটনায় আমরা উল্টো দেখি, নিহত ব্যক্তির পরিবার মামলা করতে চায়, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয় না। এখন দেখা যাচ্ছে, নিহত ব্যক্তির পরিবার কথিত অজ্ঞাতপরিচয় উগ্রপন্থীদের নামেও মামলা করতে চায় না। এর আগে দীপনের বাবা বলেছিলেন, ‘আমি বিচার চাই না।’ তাহলে কি দীপন ও নাজিম উদ্দিনের পরিবারগুলো বিচার পাবেন না বলে দেশে ‘বিচার না চাওয়ার’ ধারা তৈরি করছেন?
বর্তমান সরকারের প্রথম দিকের চার বছরে বছরে গড় খুন ছিল তিন হাজার, এই ধারাটা বহু বছর ধরে চলেছে। কিন্তু পরের চার বছরের নতুন উদ্বেগজনক ধারা হচ্ছে বছরে গড়ে এক হাজার খুন বেড়েছে। এখন বছরে খুন হয় চার হাজার। আর খুনিদের সাজা লাভের হার যথারীতি ২০ ভাগের নিচে আছে। আমরা আমাদের জাতীয় নেতাদের কাছে শুনতে চাই, এ বিষয়ে তাঁরা একটি টার্গেট ঠিক করেছেন। তাহলেই এ অবস্থাটি বদলাবে। আর সেটা বদলানো গেলে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সাধারণ খুনিদের আর কারও পক্ষেই ‘স্লোগান’ দিয়ে খুন করার মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে না। আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা মনে রাখুন, ভাত-কাপড় বা উন্নয়নের জন্য নয়, প্রধানত নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজন থেকেই রাষ্ট্রব্যবস্থার উৎপত্তি ঘটেছিল। মৃত মানুষের গণতন্ত্র বা উন্নয়ন লাগে না। ধর্মের বিষয়ে নয়, ফেসবুকে আইন বিভাগের নিহত ছাত্র নাজিম উদ্দিন, যিনি সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন, তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিষণ্ন ছিলেন। তাঁর নিহত হওয়ার দিনেই আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠকে বসেছিল। তাঁরা যথার্থই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করেছেন। ফেসবুকে নাজিম উদ্দিনের মন্তব্য ছিল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে। তিনি প্রতিবাদী ছিলেন। ধর্মের অবমাননা করে তাঁর কোনো লেখার কথাও জানা যাচ্ছে না। তাঁর ‘থটক্রাইম’ কী, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
বরং আমরা জানছি যে তিনি নূর হোসেনকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন। নূর হোসেন বুকে-পিঠে লিখেছিলেন, স্বৈরাচার নিপাত যাক। আর নাজিম উদ্দিনকে শহীদ মিনারের সামনে বুকে লাল কালিতে ‘রাজাকার নিপাত যাক’ লেখা অবস্থায় দেখা গেছে। মৃত্যুর আগে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘মাথা নত করে চুপ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরাটাই বোধ হয় ভালো।’
আপনি ভালো থাকুন, নাজিম উদ্দিন।
No comments