মাত্র ১ শতাংশ হামলার জন্য মুসলমানরা দায়ী! by আসিফ হাসান
প্যারিসে
শুক্রবার রাতের জঘন্য হামলার জন্য পাশ্চাত্যের মিডিয়া পরোক্ষভাবে
বিশ্বজুড়ে থাকা ১৬০ কোটি মুসলমানকেই দায়ী করছে। হামলাটির জন্য ইরাক ও
সিরিয়াভিত্তিক সশস্ত্র গ্রুপ আইএস দায় স্বীকারের পর সেটা আরো প্রবল হয়েছে।
অবশ্য কেবল এবারই নয়, ৯/১১ পরবর্তী বিভিন্ন দেশে যখনই সন্ত্রাসী হামলা হয়, তখন প্রথমেই মুসলমানদের দিকে সন্দেহের দৃষ্টি পড়ে। অথচ সাংবাদিক, লেখক বেন নর্টন তার শনিবার Our terrorism double standard: After Paris, let’s stop blaming Muslims and take a hard look at ourselves শীর্ষক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে পরিচালিত হামলার মাত্র দুই শতাংশ ছিল ধর্মীয় উদ্দীপনা-সংশ্লিষ্ট। ২০১৩ সালের ১৫২টি হামলার মাত্র ১ শতাংশ ছিল ধর্মীয় প্রকৃতির।
অবশ্য কেবল এবারই নয়, ৯/১১ পরবর্তী বিভিন্ন দেশে যখনই সন্ত্রাসী হামলা হয়, তখন প্রথমেই মুসলমানদের দিকে সন্দেহের দৃষ্টি পড়ে। অথচ সাংবাদিক, লেখক বেন নর্টন তার শনিবার Our terrorism double standard: After Paris, let’s stop blaming Muslims and take a hard look at ourselves শীর্ষক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে পরিচালিত হামলার মাত্র দুই শতাংশ ছিল ধর্মীয় উদ্দীপনা-সংশ্লিষ্ট। ২০১৩ সালের ১৫২টি হামলার মাত্র ১ শতাংশ ছিল ধর্মীয় প্রকৃতির।
তিনি
জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিচালিত বেশির ভাগ সন্ত্রাসী হামলাই
গোষ্ঠী-জাতীয়তাবাদী-সংক্রান্ত। ২০১৩ সালের হামলাগুলোর মধ্যে ৫৫ ভাগই ছিল
বিচ্ছিন্নতাবাদী বা গোষ্ঠী-জাতীয়তাবাদী-সংক্রান্ত। ২০১২ সালের হামলাগুলোর
৭৬ শতাংশ ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী বা গোষ্ঠী-জাতীয়তাবাদী-সংক্রান্ত।
বেন নর্টন জানান, প্যারিস বা পাশ্চাত্যের কোনো দেশে হামলা হলেই মিডিয়া হইচই করতে থাকে। অথচ এই ২৮ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনে যখন বিয়ের আসরে বোমা মেরে ৮০ নারীসহ ১৩১ বেসমারিক লোককে হত্যা করা হলো, তখন কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি। তখন ওবামা বা হঁলাদের কেউ বলেনি এটা একটা গণহত্যা।
বেন নর্টন জানান, প্যারিস বা পাশ্চাত্যের কোনো দেশে হামলা হলেই মিডিয়া হইচই করতে থাকে। অথচ এই ২৮ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনে যখন বিয়ের আসরে বোমা মেরে ৮০ নারীসহ ১৩১ বেসমারিক লোককে হত্যা করা হলো, তখন কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি। তখন ওবামা বা হঁলাদের কেউ বলেনি এটা একটা গণহত্যা।
প্যারিস
ঘটনার পর কী হবে? সীমান্ত আরো কড়াকড়ি হবে, আরো পুলিশ, আরো নজরদারি বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রও সামরিক শক্তি বাড়াবে। মুসলিমবিরোধী, উদ্বাস্তুবিরোধী মনোভাব
আরো বাড়বে।
কিন্তু সামরিক পথেই কি সমাধান আসবে? তিনি প্রশ্ন রেখেছেন। তুর্কি, কুর্দি, ইয়েমেনিদের চেয়ে কি ফরাসিদের জীবন দামি?
তিনি বলেন, রাজনৈতিক চক্র অব্যাহত থাকলে সহিংসতা কখনো কমবে না, বরং বাড়তেই থাকবে।
সূত্র : স্যালন.কম
কিন্তু সামরিক পথেই কি সমাধান আসবে? তিনি প্রশ্ন রেখেছেন। তুর্কি, কুর্দি, ইয়েমেনিদের চেয়ে কি ফরাসিদের জীবন দামি?
তিনি বলেন, রাজনৈতিক চক্র অব্যাহত থাকলে সহিংসতা কখনো কমবে না, বরং বাড়তেই থাকবে।
সূত্র : স্যালন.কম
No comments