‘অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা প্রশ্নহীন রাখার চ্যালেঞ্জ তাদেরকেই নিতে হবে’
তারেক রহমান বলেন, আমরা আজ এমন একটা পরিবেশে সমবেত হয়েছি যেখানে কারও কোনো ভয় নেই। আমরা আমাদের কথা বলার জন্য একইসঙ্গে আমরা অন্যের কথা শোনবার জন্য একত্রিত হয়েছি। অথচ মাত্র ক’দিন আগেও এই দেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে কথা বলতে পারতো না। বিগত ১৬ বছর ধরে আমরা আমাদের কষ্টের কথাও স্বাধীনভাবে বলতে পারতাম না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল দেশের মানুষ। কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারগুলো ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল, তাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করা হয়েছিল।
ঝিনাইদহ জেলায় জাতীয়তাবাদী দলের অনেক নেতাকর্মী আছেন যাদেরকে আমরা হারিয়েছি। মিরাজুল ইসলাম মির্জা, দুলাল ও পলাশসহ বহু নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনেও এই জেলার মানুষ সাব্বির ও প্রকৌশলী রাকিবুল বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে। দেশের মানুষ গত ৫ই আগস্ট এই স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়েছে। জনগণের আন্দোলনের মুখে যে স্বৈরাচার জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছিল, সেই স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কৃতিত্ব। তিনি বলেন, আজকে যখন স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, তখন দেশের জনগণের দাবি ছিল দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সৃষ্ট শূন্যতা পূরণের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। গত ১৬ বছরে এই জুলাই-আগস্টে যে মানুষগুলো আন্দোলনে গিয়েছে, যে মানুষগুলো সবকিছু উজাড় করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জীবনবাজি রেখে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের এই আত্মত্যাগ সেদিনই সফলতা লাভ করবে, যেদিন এদেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে। আজ আমাদের সেই প্রতিজ্ঞা নিতে হবে, বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে একটি স্বাভাবিক মঞ্চে। যা দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। দলমত নির্বিশেষে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে। প্রতিটি শিশু, প্রতিটি শিক্ষার্থী নিরাপত্তা ও শিক্ষাগ্রহণের যে গ্যারান্টি চায়, প্রতিটি কৃষক তাদের অবদানের যে স্বীকৃতি চায়, এই সকল কিছু সরকার গঠনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সকল কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনার সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র আক্তারুজ্জামান আক্তার, মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুর মজিদ বিশ্বাস, সাজেদুর রহমান পপ্পু, শাহজাহন আলী, এড. শামসুজ্জামান লাকী, আলমগীর হোসেন চেয়ারম্যান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
No comments