যেভাবে মার্কিন রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের যৌনতার ফাঁদে ফেলতেন এক নারী
আদালতের ভাষ্যমতে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ক্যামব্রিজ, ওয়াটারটাউন, ম্যাসাচুসেটস এবং ফেয়ারফ্যাক্স এবং ভার্জিনিয়াতে একাধিক যৌনালয় পরিচালনা করতেন হ্যান লি। যেখানে তিনি যৌনতার ভিত্তিতে একটি অপরাধ চক্র গড়ে তোলেন। তার এই যৌন সাম্রাজ্যের বিস্তারে তিনি এসব অঞ্চলে যাওয়া এশিয়ান নারীদের অবৈধভাবে যৌনকাজে প্ররোচিত করতেন। আদালত আরও জানিয়েছে, হ্যান লি এবং তার সহযোগীরা নারীদের বিমান সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে তাদের যৌনালয়ে রাত্রিযাপনে নিয়ে যেতেন। যেন তারা অন্য কোথাও রাতযাপন করতে না পারে। মূলত এসব অঞ্চলে পা রেখেই হ্যান লি চক্রের হাতে ধরা পড়তেন এশিয়া থেকে যাওয়া নারীদের অনেকে। ব্যবসার গোপনীয়তা রক্ষা করতে তারা মূল কক্ষের বাইরে রাখতেন ভুক্তভোগী নারীদের। সেখান থেকে তাদের জোরপূর্বক এই কাজে বাধ্য করা হত বলে জানিয়েছে আদালত।
এই অবৈধ যৌনকর্মের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে হ্যান লি ঘণ্টাপ্রতি ৩০০ থেকে ৬০০ ডলার নিতেন। তিনি নগদ অর্থ সংগ্রহ করতেন। তারা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য দুটো ওয়েবসাইট ব্যবহার করতেন। উভয় ওয়েবসাইটই অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে দেওয়া যৌনকাজের জন্য একটি ফ্রন্ট হিসাবে উচ্চমানের স্টুডিওতে পেশাদার ফটোগ্রাফির জন্য নগ্ন মডেলের বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। হ্যান লির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হচ্ছে, তিনি স্থানীয় যৌনালয়ের ফোন নম্বরগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করতেন যার মাধ্যমে তার চক্র যাচাইকৃত গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতেন। বার্তার মাধ্যমে তারা সময় নির্ধারণ করতেন। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য তারা তাদের বিভিন্ন প্যাকেজের কথা জানাতেন। সেখানে নারী ভেদে ঘণ্টা হিসেবে অর্থের পরিমাণ নির্ধারিত করা হতো। যৌনবৃত্তির এসব আয় গোপন করার জন্য, হ্যান লি ব্যক্তিগত এবং তৃতীয় পক্ষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং পিয়ার-টু-পিয়ার ট্রান্সফারে কয়েক হাজার ডলার নগদ অর্থ জমা করেছিলেন বলে প্রসিকিউটররা জনিয়েছেন। আদালতের অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়েছে যে, তারা নিয়মিতভাবে যৌনবৃত্তি থেকে পাওয়া নগদ আয়ের কয়েক হাজার ডলারের উৎস গোপন করার জন্য মানি অর্ডার করত। এই মানি অর্ডারগুলোর মাধ্যমে তখন ম্যাসাচুসেটস এবং ভর্জিনিয়ায় অবস্থিত যৌনালয়ের ভাড়া মেটাতেন হ্যান লি।
No comments