চলনবিলে সৌদি খেজুর চাষ by সঞ্জিত সাহা কিংশুক
মরুভূমির
চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ায় উৎপাদিত ফলকে চলনবিলের নরম কর্দমাক্ত মাটিতে ফলানো
অবাস্তব কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। তবে সেই অসাধ্যকে সাধন করে সফল হয়েছেন
পাবনার চাটমোহর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বল্লভপুর
গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আবদুল জলিল। তার বাড়ির পাশে পরীক্ষামূলক
ভাবে লাগানো গাছে এবার খেজুর এসেছে। কিছু গাছে এসেছে খেজুরের বাদা।
বিশ্বাস, আবেগ আর ধৈর্য্যকে কাজে লাগিয়ে সেই অসম্ভব কল্পনাকে বাস্তবে রূপ
দিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন একনজর খেজুর দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে তার
বাড়িতে। মরুভূমির ফলকে চলনবিলের উর্বর ভূমিতে লাগিয়ে তিনি সবাইকে তাক
লাগিয়ে দিয়েছেন। এবার তিনি পুরো চলনবিল এলাকাজুড়ে সৌদি খেজুর চাষ ছড়িয়ে
দিতে চান।
মঙ্গলবার সরজমিন আবদুল জলিলের বাড়িতে গেলে তিনি এই প্রতিবেদকে জানান, ২০১২ সালে শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসরে যাওয়ার পর সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র হজ পালন করতে যান। সেখানে তিনি বেশ কিছু খেজুরের বাগান ঘুরে বেড়ান। এ সময় তার প্রবল ইচ্ছা হয় তিনিও গ্রামের বাড়িতে সৌদি খেজুরের বাগান করবেন। পরে সেখান থেকে মরিয়ম জাতের বেশ কিছু বীজ সংগ্রহ করেন এবং হজ শেষে দেশে ফিরে আসেন। বড় পরিসরে চিন্তা করার আগে তিনি বাড়ির সামনের আঙিনায় বীজ থেকে উৎপাদিত ৩৪টি চারা লাগান। কিন্তু সব গাছের চারা মারা যায়। তবে এতে দমে যাননি আবদুল জলিল। ২০১৩ সালে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে দিয়ে আবারো সামান্য কিছু মরিয়ম জাতের বীজ এনে বাড়ির আঙিনায় রোপণ করেন। শেষ পর্যন্ত ১৬টি গাছ বেঁচে থাকে। গত ছয় বছর ধরে নিজেই পরিচর্যা করে গেছেন। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে গাছগুলো। গাছগুলোতে এবার খেজুর ধরেছে এবং এসেছে খেজুরের বাদা। তাই এবার কৃষি জমিতে বড় পরিসরে বাগান করার চিন্তা করছেন তিনি। এ পর্যন্ত বীজ, সার-কীটনাশকসহ সব কিছু মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা। খেজুর চাষে সফলতার মুখ দেখায় এবার তিনি পুরো চলনবিলজুড়ে খেজুর চাষ ছড়িয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। ইতিমধ্যে তার মালিকানাধীন বেশ কিছু জমিতে খেজুর চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান রশীদ হোসাইনী বলেন, চলনবিল এলাকায় এই প্রথম কোনো ব্যক্তি সৌদি খেজুর চাষ করছেন। ইতিমধ্যে গাছগুলোতে ফল আসতে শুরু করেছে। যা সত্যিই বিস্ময়কর। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সব রকমের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি সফল হতে পারলে চলনবিল এলাকায় সৌদি খেজুর চাষ বিস্তার লাভ করবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার সরজমিন আবদুল জলিলের বাড়িতে গেলে তিনি এই প্রতিবেদকে জানান, ২০১২ সালে শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসরে যাওয়ার পর সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র হজ পালন করতে যান। সেখানে তিনি বেশ কিছু খেজুরের বাগান ঘুরে বেড়ান। এ সময় তার প্রবল ইচ্ছা হয় তিনিও গ্রামের বাড়িতে সৌদি খেজুরের বাগান করবেন। পরে সেখান থেকে মরিয়ম জাতের বেশ কিছু বীজ সংগ্রহ করেন এবং হজ শেষে দেশে ফিরে আসেন। বড় পরিসরে চিন্তা করার আগে তিনি বাড়ির সামনের আঙিনায় বীজ থেকে উৎপাদিত ৩৪টি চারা লাগান। কিন্তু সব গাছের চারা মারা যায়। তবে এতে দমে যাননি আবদুল জলিল। ২০১৩ সালে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে দিয়ে আবারো সামান্য কিছু মরিয়ম জাতের বীজ এনে বাড়ির আঙিনায় রোপণ করেন। শেষ পর্যন্ত ১৬টি গাছ বেঁচে থাকে। গত ছয় বছর ধরে নিজেই পরিচর্যা করে গেছেন। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে গাছগুলো। গাছগুলোতে এবার খেজুর ধরেছে এবং এসেছে খেজুরের বাদা। তাই এবার কৃষি জমিতে বড় পরিসরে বাগান করার চিন্তা করছেন তিনি। এ পর্যন্ত বীজ, সার-কীটনাশকসহ সব কিছু মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা। খেজুর চাষে সফলতার মুখ দেখায় এবার তিনি পুরো চলনবিলজুড়ে খেজুর চাষ ছড়িয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। ইতিমধ্যে তার মালিকানাধীন বেশ কিছু জমিতে খেজুর চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান রশীদ হোসাইনী বলেন, চলনবিল এলাকায় এই প্রথম কোনো ব্যক্তি সৌদি খেজুর চাষ করছেন। ইতিমধ্যে গাছগুলোতে ফল আসতে শুরু করেছে। যা সত্যিই বিস্ময়কর। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সব রকমের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি সফল হতে পারলে চলনবিল এলাকায় সৌদি খেজুর চাষ বিস্তার লাভ করবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
No comments