নিস: ফরাসি জঙ্গিদের অন্যতম আস্তানা
ফ্রান্সের নিস শহরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত স্বজনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক ব্যক্তি। রয়টার্স |
গোয়েন্দারা বলেছেন, ভূমধ্যসাগরের সৈকত ঘেঁষা চাকচিক্যময় অবকাশযাপন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত নিস শহরে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামি জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে। এটি এখন ফ্রান্সের জঙ্গি সদস্য সংগ্রহকারীদের অন্যতম আস্তানা। মাত্র গত মাসেই সিরিয়া থেকে ফরাসি টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উমর দিয়াবি নামে আল নুসরা ফ্রন্টের এক যোদ্ধা দাবি করেন, প্রায় ৩০ জন ফরাসি জঙ্গির এক আস্তানা বা ‘কাতিবা’র প্রধান ছিলেন তিনি। আর ওই জঙ্গিরা সবাই নিস শহর ও এর আশপাশের বাসিন্দা। উমর দিয়াবি ২০১৩ সালে আল কায়েদার সিরিয়া শাখা আল নুসরা ফ্রন্টের হয়ে যুদ্ধ করতে যাওয়ার আগে নিস শহরে ইমামের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালে ফরাসি সেনা ও ইহুদি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পরিকল্পনায় অভিযুক্ত ১৯ জন সন্দেহভাজনও ছিলেন ভূমধ্যসাগর সৈকতের পার্শ্ববর্তী কান শহরের। পৃথক এক উগ্রবাদী ইসলামি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ওই সন্দেহভাজনেরা বর্তমানে বিচারাধীন। কানের এমন কয়েকজন জঙ্গি সিরিয়ায় যুদ্ধ করে ফ্রান্সে ফিরেছেন বলে ধারণা করা হয়।
জানা গেছে, ৪০ বছর বয়েসি উমর দিয়াবি বর্তমানে ওমর ওমসেন নামে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি ফ্রান্স ছাড়ার আগে যে রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন তা নজরদারিতে ছিল। গোয়েন্দা সূত্রের ধারণা, গত মার্চে অনলাইনে জঙ্গি সংগ্রহ কার্যক্রমের নেপথ্য ব্যক্তি এই উমর। প্যারিসের কাছ থেকে হামলা পরিকল্পনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এক ব্যক্তির গ্রেপ্তারের পর সামনে আসে উমরের নাম। ইউসুফ ই. নামে উল্লেখ করা ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ২০১৪ সালে আরও দুইজনের সঙ্গে মিলে লড়াইয়ের জন্য সিরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিস শহরেই ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ‘দেশত্যাগ’ বিষয়ে আলোচনার জন্য উমরের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তিনজনের প্রথম দেখা হয়। আর শার্লি এবদো কার্যালয়ে হামলার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুসা কুলিবালি নামে এক যুবক নিস শহরে ইহুদিদের একটি ধর্মীয় কেন্দ্রে পাহারারত তিন সেনাকে ছুরি মারেন। মুসা ছিলেন প্যারিসের উপকণ্ঠের বাসিন্দা।
ফরাসি এমপি সেবাস্তিয়েঁ পিয়েত্রাসাঁতা বলেন, ‘আমরা জানি, নিস শহরে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটছে।’ ২০১৫ সালে প্যারিসে ঘটা দুটি সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত কমিটির সদস্য তিনি। কুলিবালির চালানো হামলার পর এ এমপি বলেছিলেন, প্যারিসের বাইরে সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতা তালিকায় ওঠা ফ্রান্সের একমাত্র শহর নিস। একটি সূত্র বলেছে, ২০১২ সালে ফরাসি পুলিশের ভেঙে দেওয়া ফরসেন আলিজ্জা সন্ত্রাসী চক্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন উমর। তিনি গত মাসে সিরিয়ার উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ায় স্থানীয় একজন ক্যামেরাম্যানকে ওই সাক্ষাতকারটি দেন। ফরাসি সাংবাদিক রোমাঁ বুতিলি কয়েকজন মধ্যস্থতাকারী এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হয়েছিলেন।
নিসের রক্তক্ষয়ী ঘটনা দেড় বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ফ্রান্সে ঘটা তৃতীয় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা। ভয়াবহ প্যারিস হামলার আট মাস পর এ ঘটনা ঘটল। গত বছরের নভেম্বরে একযোগে প্যারিসের থিয়েটার হল, ফুটবল স্টেডিয়াম এলাকা ও একটি রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় আইএস। এতে নিহত হন ১৩০ জন। এর আগে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত বিদ্রূপাত্মক সাময়িকী শার্লি এবদোর কার্যালয়ে জঙ্গি হামলা হয়। ওই হামলায় ১২ জনকে হত্যা করা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলাম নিয়ে বিদ্রূপাত্মক কার্টুন ও প্রতিবেদনের জন্য অনেকেই পত্রিকাটির ওপর ক্ষুব্ধ।
জানা গেছে, ৪০ বছর বয়েসি উমর দিয়াবি বর্তমানে ওমর ওমসেন নামে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি ফ্রান্স ছাড়ার আগে যে রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন তা নজরদারিতে ছিল। গোয়েন্দা সূত্রের ধারণা, গত মার্চে অনলাইনে জঙ্গি সংগ্রহ কার্যক্রমের নেপথ্য ব্যক্তি এই উমর। প্যারিসের কাছ থেকে হামলা পরিকল্পনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এক ব্যক্তির গ্রেপ্তারের পর সামনে আসে উমরের নাম। ইউসুফ ই. নামে উল্লেখ করা ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ২০১৪ সালে আরও দুইজনের সঙ্গে মিলে লড়াইয়ের জন্য সিরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিস শহরেই ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ‘দেশত্যাগ’ বিষয়ে আলোচনার জন্য উমরের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তিনজনের প্রথম দেখা হয়। আর শার্লি এবদো কার্যালয়ে হামলার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুসা কুলিবালি নামে এক যুবক নিস শহরে ইহুদিদের একটি ধর্মীয় কেন্দ্রে পাহারারত তিন সেনাকে ছুরি মারেন। মুসা ছিলেন প্যারিসের উপকণ্ঠের বাসিন্দা।
ফরাসি এমপি সেবাস্তিয়েঁ পিয়েত্রাসাঁতা বলেন, ‘আমরা জানি, নিস শহরে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটছে।’ ২০১৫ সালে প্যারিসে ঘটা দুটি সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত কমিটির সদস্য তিনি। কুলিবালির চালানো হামলার পর এ এমপি বলেছিলেন, প্যারিসের বাইরে সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতা তালিকায় ওঠা ফ্রান্সের একমাত্র শহর নিস। একটি সূত্র বলেছে, ২০১২ সালে ফরাসি পুলিশের ভেঙে দেওয়া ফরসেন আলিজ্জা সন্ত্রাসী চক্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন উমর। তিনি গত মাসে সিরিয়ার উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ায় স্থানীয় একজন ক্যামেরাম্যানকে ওই সাক্ষাতকারটি দেন। ফরাসি সাংবাদিক রোমাঁ বুতিলি কয়েকজন মধ্যস্থতাকারী এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হয়েছিলেন।
নিসের রক্তক্ষয়ী ঘটনা দেড় বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ফ্রান্সে ঘটা তৃতীয় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা। ভয়াবহ প্যারিস হামলার আট মাস পর এ ঘটনা ঘটল। গত বছরের নভেম্বরে একযোগে প্যারিসের থিয়েটার হল, ফুটবল স্টেডিয়াম এলাকা ও একটি রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় আইএস। এতে নিহত হন ১৩০ জন। এর আগে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত বিদ্রূপাত্মক সাময়িকী শার্লি এবদোর কার্যালয়ে জঙ্গি হামলা হয়। ওই হামলায় ১২ জনকে হত্যা করা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলাম নিয়ে বিদ্রূপাত্মক কার্টুন ও প্রতিবেদনের জন্য অনেকেই পত্রিকাটির ওপর ক্ষুব্ধ।
No comments