নাটকীয় অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত অবসান
শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালানো হয়। সেনাবাহিনী থেকে বের হয়ে আসা একাংশ এই অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। এ সময়ে কমপক্ষে দুই শতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে। অভ্যুত্থানকারীরা প্রেসিডেন্ট ভবন ও সংসদের দখল নেয়ার চেষ্টা করলে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসে এবং একপর্যায়ে সরকার সমর্থক সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দেয়া হয়। কেন এই অভ্যুত্থান, কি ঘটেছিল, কার নেপথ্যে এই অভ্যুত্থান, তুরস্ক এখন কার নেতৃত্বে? এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
তুরস্ক এখন কার নেতৃত্বে?
অভ্যুত্থানের চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে ফার্স্ট আর্মির কমান্ডার জেনারেল উমিত দান্দারকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। জনগণের সহায়তায় দেশের পুলিশ আবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। আটক করা হয় প্রায় তিন হাজার সেনা সদস্যকে। এছাড়া তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল হালুসি আকারকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশ এখন পুরোপুরি এরদোগানের নিয়ন্ত্রণে বলে মনে হচ্ছে।
কি ঘটেছিল? :
শুক্রবার তুরস্কের আঙ্কারা শহরের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বিমান ও বোমা হামলার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট। ইস্তাম্বুলের বসফরাস ব্রিজ আটকে বিদ্রোহী সেনা। রাতভর অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। রাতেই তারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্থণ করে। পরের দিন শনিবার সকালে আরও দুই শতাধিক সেনা আত্মসমর্থণ করে বলে খবর প্রকাশ করেছে রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু। দেশ বাঁচাতে প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর থেকে রাস্তায় নেমে আসে তুরস্কের সাধারণ জনগণ।
কার নেপথ্যে এই অভ্যুত্থান?
‘কাউন্সিল ফর পিস ইন দ্য হোমল্যান্ড’ নামে একটি গ্রুপ এক বিবৃতি দিয়ে মার্শাল ল ও কারর্ফিউ জারি করে তুরস্কে। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সাংবিধানিক আদেশ ও আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার ঘোষণা দেয় তারা। এর জন্য কোনো সেনা সদস্যের নাম ব্যবহার করেনি ওই বিদ্রোহী গ্রুপ। তবে এরদোগান তার ঘোরশত্রু ও এক সময়ের মিত্র মার্কিন সমর্থিত তুর্কি ইমাম ফেতুল্লাহ গুলেনকেই দোষারোপ করছেন। কারণ তার হিজমেত মুভমেন্ট তুরস্তের সেনা, মিডিয়া, পুলিশ ও বিচার বিভাগে শক্তপোক্ত অবস্থান গেড়ে বসে আছে বলে ধারণা প্রেসিডেন্টের। সেনা অভ্যুত্থান ঠেকাতে মধ্যরাতে ফজরের আজান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের হাজার হাজার সমর্থকের বিক্ষোভের মুখে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার তুরস্কের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য। সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। কিন্তু পুলিশ এবং জনগণের প্রতিরোধের মুখে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে ওই সেনা সদস্যরা। নিরস্ত্র জনতার বিক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী অংশ ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান থামাতে ইস্তাম্বুল, আংকারাসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশের মসজিদের মাইকে এদিন ফজরের নামাজের কয়েক ঘণ্টা আগেই আজান দেয়া হয় এবং মানুষকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার’ জন্য রাস্তায় নামার আহ্বান জানানো হয়। এরদোগানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এলে অভ্যুত্থানকারীরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। আল আরাবিয়া
জিম্মিদশা থেকে সেনাপ্রধান উদ্ধার, স্বপদে বহাল তুরস্কের সেনাপ্রধান হুলুসি আকারকে অভ্যুত্থানকারীদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আংকারার একটি বিমানঘাঁটি থেকে উদ্ধারের পর তাকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের টুইটার অ্যাকাউন্টে সেনাপ্রধানকে উদ্ধারের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকারী একটি অংশ হুলুসি আকারকে জিম্মি করেছিল। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, হুলুসি আকারকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়ে তুরস্কের ডানপন্থী সরকার উচ্ছেদের দাবি করে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে। টেলিভিশনের পর্দায় পড়ে শোনানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এখন ‘শান্তি পরিষদ’ দেশ চালাবে এবং কারফিউ ও সামরিক আইন জারি থাকবে। তুরস্কের জন্য নতুন সংবিধান রচনার কথাও জানায় বিদ্রোহী সেনারা। একই সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান বৈদেশিক সব সম্পর্ক বহাল থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রাধান্য পাবে। সে সময় তারা সেনাপ্রধানসহ বেশ ক’জন সরকারপন্থী সেনা কর্মকর্তাকে জিম্মি করে রাখে বলে প্রাথমিক খবরে জানানো হয়। শনিবার সকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান জানান, তিনি সেনাপ্রধানের ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
তুরস্ক এখন কার নেতৃত্বে?
অভ্যুত্থানের চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে ফার্স্ট আর্মির কমান্ডার জেনারেল উমিত দান্দারকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। জনগণের সহায়তায় দেশের পুলিশ আবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। আটক করা হয় প্রায় তিন হাজার সেনা সদস্যকে। এছাড়া তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল হালুসি আকারকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশ এখন পুরোপুরি এরদোগানের নিয়ন্ত্রণে বলে মনে হচ্ছে।
কি ঘটেছিল? :
শুক্রবার তুরস্কের আঙ্কারা শহরের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বিমান ও বোমা হামলার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট। ইস্তাম্বুলের বসফরাস ব্রিজ আটকে বিদ্রোহী সেনা। রাতভর অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। রাতেই তারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্থণ করে। পরের দিন শনিবার সকালে আরও দুই শতাধিক সেনা আত্মসমর্থণ করে বলে খবর প্রকাশ করেছে রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু। দেশ বাঁচাতে প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর থেকে রাস্তায় নেমে আসে তুরস্কের সাধারণ জনগণ।
কার নেপথ্যে এই অভ্যুত্থান?
‘কাউন্সিল ফর পিস ইন দ্য হোমল্যান্ড’ নামে একটি গ্রুপ এক বিবৃতি দিয়ে মার্শাল ল ও কারর্ফিউ জারি করে তুরস্কে। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সাংবিধানিক আদেশ ও আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার ঘোষণা দেয় তারা। এর জন্য কোনো সেনা সদস্যের নাম ব্যবহার করেনি ওই বিদ্রোহী গ্রুপ। তবে এরদোগান তার ঘোরশত্রু ও এক সময়ের মিত্র মার্কিন সমর্থিত তুর্কি ইমাম ফেতুল্লাহ গুলেনকেই দোষারোপ করছেন। কারণ তার হিজমেত মুভমেন্ট তুরস্তের সেনা, মিডিয়া, পুলিশ ও বিচার বিভাগে শক্তপোক্ত অবস্থান গেড়ে বসে আছে বলে ধারণা প্রেসিডেন্টের। সেনা অভ্যুত্থান ঠেকাতে মধ্যরাতে ফজরের আজান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের হাজার হাজার সমর্থকের বিক্ষোভের মুখে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার তুরস্কের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য। সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। কিন্তু পুলিশ এবং জনগণের প্রতিরোধের মুখে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে ওই সেনা সদস্যরা। নিরস্ত্র জনতার বিক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী অংশ ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান থামাতে ইস্তাম্বুল, আংকারাসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশের মসজিদের মাইকে এদিন ফজরের নামাজের কয়েক ঘণ্টা আগেই আজান দেয়া হয় এবং মানুষকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার’ জন্য রাস্তায় নামার আহ্বান জানানো হয়। এরদোগানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এলে অভ্যুত্থানকারীরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। আল আরাবিয়া
জিম্মিদশা থেকে সেনাপ্রধান উদ্ধার, স্বপদে বহাল তুরস্কের সেনাপ্রধান হুলুসি আকারকে অভ্যুত্থানকারীদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আংকারার একটি বিমানঘাঁটি থেকে উদ্ধারের পর তাকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের টুইটার অ্যাকাউন্টে সেনাপ্রধানকে উদ্ধারের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকারী একটি অংশ হুলুসি আকারকে জিম্মি করেছিল। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, হুলুসি আকারকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়ে তুরস্কের ডানপন্থী সরকার উচ্ছেদের দাবি করে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে। টেলিভিশনের পর্দায় পড়ে শোনানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এখন ‘শান্তি পরিষদ’ দেশ চালাবে এবং কারফিউ ও সামরিক আইন জারি থাকবে। তুরস্কের জন্য নতুন সংবিধান রচনার কথাও জানায় বিদ্রোহী সেনারা। একই সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান বৈদেশিক সব সম্পর্ক বহাল থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রাধান্য পাবে। সে সময় তারা সেনাপ্রধানসহ বেশ ক’জন সরকারপন্থী সেনা কর্মকর্তাকে জিম্মি করে রাখে বলে প্রাথমিক খবরে জানানো হয়। শনিবার সকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান জানান, তিনি সেনাপ্রধানের ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
No comments