প্লট ফেরতে দায়মুক্ত রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান! by মোর্শেদ নোমান
প্লট ফেরত দিয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়া অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পেয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি অনুসন্ধান শেষে নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদার বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়া অভিযোগ নথিভুক্তির (অব্যাহতি) মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এর আগে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে দুদকের দায়মুক্তি পেয়েছিলেন রাজউকের সাবেক এই চেয়ারম্যান।
রাজধানীতে নিজের প্লট থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক প্লট নেওয়ার অভিযোগে নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে নুরুল হুদা রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৯ নম্বর সেক্টরের ১০৩ নম্বর রোডে ১০ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ নেন। এ সময় স্ত্রী ওয়াহিদা হুদার নামে একই প্রকল্পের সেক্টর-৫, রোড-৩০৯, প্লট-৪৯ নম্বরে পাঁচ কাঠার আরেকটি প্লট বরাদ্দ নেন। সেখানে স্ত্রীকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ‘মূল অধিবাসী’ ও ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ দেখানো হয়। এ ছাড়া নুরুল হুদা দম্পতির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায়ও প্লট রয়েছে। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটি অনুসন্ধান শুরু করার পর কৌশলের আশ্রয় নেন নুরুল হুদা। প্লট ফেরত দেওয়ার জন্য একাধিক আবেদন করেন নুরুল হুদার স্ত্রী। আবেদনপত্রে ওয়াহিদা হুদা বলেন, ‘রাজউকের প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসারে পূর্বাচল প্রকল্পের মূল অধিবাসী হিসেবে ঘর-বাড়িসহ জমিতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁরা (স্বামী-স্ত্রী উভয়েই) প্লট বরাদ্দ পাওয়ার কথা। আমিও অনুরূপভাবে জমি ও বাড়ির বিনিময়ে মূল অধিবাসী হিসেবে প্লটের বরাদ্দ পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে রাজউকের প্রচলিত বিধিবিধানের কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে আমি মনে করি। তারপরও বরাদ্দকৃত প্লটের ক্ষেত্রে রাজউকের প্রচলিত বিধিবিধানের কোনোরূপ ব্যত্যয় হয়ে থাকলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির স্বার্থে আমাকে পুরো বিষয়টি অবহিত করলে আমি রাজউক বরাবর প্লটটি সমর্পণ করতে প্রস্তুত আছি।’
এরপর গত বছরের ২৫ নভেম্বর আরেক আবেদনপত্রে প্লটটি সমর্পণ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান ওয়াহিদা হুদা। এরপর গত ৬ ডিসেম্বর তাঁর প্লট ফেরত দেওয়ার আবেদনটি গ্রহণ করে রাজউক কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে রাজউক কর্তৃপক্ষ পূর্বাচলে ওয়াহিদা হুদার প্লটটি বুঝে পেয়েছে বলে দুদককে জানানো হয়েছে।
মো. নুরুল হুদা ২০০৯ সালের ৩০ মার্চ অতিরিক্ত সচিবের পদমর্যাদায় দুই বছরের জন্য রাজউকের চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কয়েক দফা তাঁর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো শেষে ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল রাজউক চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়।
সম্প্রতি দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদার বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়া অভিযোগ নথিভুক্তির (অব্যাহতি) মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এর আগে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে দুদকের দায়মুক্তি পেয়েছিলেন রাজউকের সাবেক এই চেয়ারম্যান।
রাজধানীতে নিজের প্লট থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক প্লট নেওয়ার অভিযোগে নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে নুরুল হুদা রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৯ নম্বর সেক্টরের ১০৩ নম্বর রোডে ১০ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ নেন। এ সময় স্ত্রী ওয়াহিদা হুদার নামে একই প্রকল্পের সেক্টর-৫, রোড-৩০৯, প্লট-৪৯ নম্বরে পাঁচ কাঠার আরেকটি প্লট বরাদ্দ নেন। সেখানে স্ত্রীকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ‘মূল অধিবাসী’ ও ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ দেখানো হয়। এ ছাড়া নুরুল হুদা দম্পতির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায়ও প্লট রয়েছে। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটি অনুসন্ধান শুরু করার পর কৌশলের আশ্রয় নেন নুরুল হুদা। প্লট ফেরত দেওয়ার জন্য একাধিক আবেদন করেন নুরুল হুদার স্ত্রী। আবেদনপত্রে ওয়াহিদা হুদা বলেন, ‘রাজউকের প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসারে পূর্বাচল প্রকল্পের মূল অধিবাসী হিসেবে ঘর-বাড়িসহ জমিতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁরা (স্বামী-স্ত্রী উভয়েই) প্লট বরাদ্দ পাওয়ার কথা। আমিও অনুরূপভাবে জমি ও বাড়ির বিনিময়ে মূল অধিবাসী হিসেবে প্লটের বরাদ্দ পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে রাজউকের প্রচলিত বিধিবিধানের কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে আমি মনে করি। তারপরও বরাদ্দকৃত প্লটের ক্ষেত্রে রাজউকের প্রচলিত বিধিবিধানের কোনোরূপ ব্যত্যয় হয়ে থাকলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির স্বার্থে আমাকে পুরো বিষয়টি অবহিত করলে আমি রাজউক বরাবর প্লটটি সমর্পণ করতে প্রস্তুত আছি।’
এরপর গত বছরের ২৫ নভেম্বর আরেক আবেদনপত্রে প্লটটি সমর্পণ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান ওয়াহিদা হুদা। এরপর গত ৬ ডিসেম্বর তাঁর প্লট ফেরত দেওয়ার আবেদনটি গ্রহণ করে রাজউক কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে রাজউক কর্তৃপক্ষ পূর্বাচলে ওয়াহিদা হুদার প্লটটি বুঝে পেয়েছে বলে দুদককে জানানো হয়েছে।
মো. নুরুল হুদা ২০০৯ সালের ৩০ মার্চ অতিরিক্ত সচিবের পদমর্যাদায় দুই বছরের জন্য রাজউকের চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কয়েক দফা তাঁর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো শেষে ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল রাজউক চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়।
No comments