মইনের হাতেই প্রকৃত ক্ষমতা
এক-এগারো।
ফের আলোচনার কেন্দ্রে। লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ তার ‘বিএনপি:
সময়-অসময়’ শীর্ষক গ্রন্থে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এক-এগারো ইস্যু নিয়েও
আলোকপাত করেছেন। তিনি লিখেছেন, এক-এগারো ছিল নাটকীয়তায় ঠাসা। ওই দিনের
ঘটনার অন্যরকম একটা বিবরণ পাওয়া যায় পুলিশের তৎকালীন আইজিপি (মহাপুলিশ
পরিদর্শক) খোদা বকশ চৌধুরীর কাছ থেকে, যাঁকে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের
তত্ত্বাবধায় সরকার আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপি সরকারের রেখে যাওয়া
পুলিশ প্রধানকে পরিবর্তন করে:
আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে উইথড্র করার ঘোষণা দিল। রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায় সরকারপ্রধান ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে একটা মিটিং ছিল। বেলা একটার দিকে অফিসে ফিরলাম। বেলা দুইটার পর ডিজিএফআইয়ের প্রধানের অস্থায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বারীর ফোন, ইমপেসেন্ট কল, ‘আপনি কোথায়? তাড়াতাড়ি আসেন বঙ্গভবনে।’ গেলাম বঙ্গভবনে। খোঁজ করলাম মহামান্য কোথায়। রাষ্ট্রপতিকে সবাই এই সংক্ষিপ্ত নামেই সম্বোধন করত।
দেখলাম জেনারেল মইনের নেতৃত্বে সবাই দরবার হলের পর বঙ্গভবনের সবচেয়ে পেছনের করিডর দিয়ে বেরিয়ে আসছে- এয়ার চিফ ফখরুল, নেভির চিফ, ডিজিএফআইয়ের বারী এবং আরও কয়েকজন।
আমি জেনারেলের মুখোমুখি হয়ে সম্ভাষণ করলাম। তিনি বললেন, ‘আসেন।’ ফখরুল চোখের ইশারায় কী যেন বলতে চাইলেন। মইন বললেন, ‘আমরা হেডকোয়ার্টারে যাব। একটু তাড়াতাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।’ বঙ্গভবনে গাড়ি পার্কিংয়ে আসার পর দেখলাম এসএসএফ চিফ ফাতমী রুমী আসছেন। মইন এগিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বললেন।
ক্যান্টনমেন্ট সেনাসদরে গেলাম। একের পর এক জেনারেলরা আসছে। সন্ধ্যা হয়ে গেল। অল জেনারেল, সিভিলিয়ান মাত্র দুজন- আমি আর র্যাবের মিজানুর রহমান।
মইন সিচুয়েশন ব্যাখ্যা করলেন, ‘জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখানে যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শান্তিশৃঙ্খলা না থাকে, শান্তিরক্ষা মিশন থেকে আমাদের সব ফোর্স ফেরত পাঠাবে।’ আমাকে বললেন, ‘যদি আপনার পুলিশকে ফেরত পাঠায়, আপনি কী জবাব দিবেন? ক্যান ইউ একসেপ্ট ইট? আমি কি আমার সেনাদের বোঝাতে পারব? রেনাটা লক (জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী) দুপুরে আমার সঙ্গে দেখা করে এই চিঠি দিয়ে গেছে।’ মইনের হাতে একটা চিঠি দেখলাম। আমার কী করার ছিল। অলরেডি রেজিম চেইঞ্জ ইজ কমপ্লিট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিফ অ্যাডভাইজর হ্যাজ অ্যাগ্রিড টু রিজাইন। মইনের হাতেই প্রকৃত ক্ষমতা।
পরে জেনেছিলাম, চিঠির বিষয়টা ছিল ভুয়া। আমি তখন আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনে সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজর। ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি ছিলেন মনোজ বাসনিয়াত, নেপালি-আমেরিকান। এক-এগারোর সময় ঢাকায় ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ছিলেন। জাতিসংঘের কথিত চিঠির প্রসঙ্গ আসতেই তিনি জানালেন, ইউএন হেডকোয়ার্টার থেকে কথিত চিঠি পাঠানোর বিষয়টি ঠিক নয়। ইউএন থেকে এরকম চিঠি এলে তা আমার নজরে আসতই। তবে বিষয়টা আমি শুনেছিলাম। ব্রিটিশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আর ইউএস অ্যাম্বাসেডরদের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো চিঠির বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হোক, এটা তারা চায় না। বললেন, এই দুই মহিলা গণতন্ত্র এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাধা। তাদের ভাবখানা অনেকটা এরকম, এদের সরিয়ে দিতে পারলেই মিল্ক অ্যান্ড হানি উইল ফ্লো।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে উইথড্র করার ঘোষণা দিল। রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায় সরকারপ্রধান ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে একটা মিটিং ছিল। বেলা একটার দিকে অফিসে ফিরলাম। বেলা দুইটার পর ডিজিএফআইয়ের প্রধানের অস্থায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বারীর ফোন, ইমপেসেন্ট কল, ‘আপনি কোথায়? তাড়াতাড়ি আসেন বঙ্গভবনে।’ গেলাম বঙ্গভবনে। খোঁজ করলাম মহামান্য কোথায়। রাষ্ট্রপতিকে সবাই এই সংক্ষিপ্ত নামেই সম্বোধন করত।
দেখলাম জেনারেল মইনের নেতৃত্বে সবাই দরবার হলের পর বঙ্গভবনের সবচেয়ে পেছনের করিডর দিয়ে বেরিয়ে আসছে- এয়ার চিফ ফখরুল, নেভির চিফ, ডিজিএফআইয়ের বারী এবং আরও কয়েকজন।
আমি জেনারেলের মুখোমুখি হয়ে সম্ভাষণ করলাম। তিনি বললেন, ‘আসেন।’ ফখরুল চোখের ইশারায় কী যেন বলতে চাইলেন। মইন বললেন, ‘আমরা হেডকোয়ার্টারে যাব। একটু তাড়াতাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।’ বঙ্গভবনে গাড়ি পার্কিংয়ে আসার পর দেখলাম এসএসএফ চিফ ফাতমী রুমী আসছেন। মইন এগিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বললেন।
ক্যান্টনমেন্ট সেনাসদরে গেলাম। একের পর এক জেনারেলরা আসছে। সন্ধ্যা হয়ে গেল। অল জেনারেল, সিভিলিয়ান মাত্র দুজন- আমি আর র্যাবের মিজানুর রহমান।
মইন সিচুয়েশন ব্যাখ্যা করলেন, ‘জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখানে যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শান্তিশৃঙ্খলা না থাকে, শান্তিরক্ষা মিশন থেকে আমাদের সব ফোর্স ফেরত পাঠাবে।’ আমাকে বললেন, ‘যদি আপনার পুলিশকে ফেরত পাঠায়, আপনি কী জবাব দিবেন? ক্যান ইউ একসেপ্ট ইট? আমি কি আমার সেনাদের বোঝাতে পারব? রেনাটা লক (জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী) দুপুরে আমার সঙ্গে দেখা করে এই চিঠি দিয়ে গেছে।’ মইনের হাতে একটা চিঠি দেখলাম। আমার কী করার ছিল। অলরেডি রেজিম চেইঞ্জ ইজ কমপ্লিট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিফ অ্যাডভাইজর হ্যাজ অ্যাগ্রিড টু রিজাইন। মইনের হাতেই প্রকৃত ক্ষমতা।
পরে জেনেছিলাম, চিঠির বিষয়টা ছিল ভুয়া। আমি তখন আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনে সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজর। ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি ছিলেন মনোজ বাসনিয়াত, নেপালি-আমেরিকান। এক-এগারোর সময় ঢাকায় ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ছিলেন। জাতিসংঘের কথিত চিঠির প্রসঙ্গ আসতেই তিনি জানালেন, ইউএন হেডকোয়ার্টার থেকে কথিত চিঠি পাঠানোর বিষয়টি ঠিক নয়। ইউএন থেকে এরকম চিঠি এলে তা আমার নজরে আসতই। তবে বিষয়টা আমি শুনেছিলাম। ব্রিটিশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আর ইউএস অ্যাম্বাসেডরদের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো চিঠির বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হোক, এটা তারা চায় না। বললেন, এই দুই মহিলা গণতন্ত্র এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাধা। তাদের ভাবখানা অনেকটা এরকম, এদের সরিয়ে দিতে পারলেই মিল্ক অ্যান্ড হানি উইল ফ্লো।
No comments