২রা মার্চ পতাকা উত্তোলন সশস্ত্র যুদ্ধের নির্দেশনা by শহীদুল্লাহ ফরায়জী
২রা
মার্চ ১৯৭১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতার সমাবেশে ডাকসু ভিপি
আ স ম আবদুর রব স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধকে
অনিবার্য এবং আবশ্যক করে তোলেন। পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সামরিক-রাজনৈতিক
পরিকল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ পায়।
পতাকা ব্যবহারের ইতিহাস প্রায় চার হাজার বছরের। পতাকার উদ্ভব হয় মূলত যুদ্ধ ক্ষেত্রে পক্ষ-বিপক্ষকে চিহ্নিত করার প্রতীক হিসেবে। ১৮ শতকে দেশে দেশে যখন জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে তখন থেকে জাতি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় পতাকার ব্যবহার শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা এর উদাহরণ যা ১৭৭৭ সালে জাতীয় প্রতীকে রূপলাভ করে।
২রা মার্চ ছাড়া আধুনিক রাষ্ট্রের ইতিহাসে পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতার ঘোষণা বা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধের নির্দেশনা প্রদানের আর কোন তথ্য নেই। ২রা মার্চ রাষ্ট্র, সশস্ত্র সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রামের বিরল ঘটনা।
আ স ম আবদুর রব ২রা মার্চ যে পতাকা উত্তোলন করেন তা ১৯৭০ সালে ৭ই জুন ‘নিউক্লিয়াস’-এর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ‘জয়বাংলা বাহিনী’র ফ্ল্যাগ হিসেবে নকশা তৈরি করে পরিকল্পনাকারীরা, যা পরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা হিসেবে গৃহীত হবে এ পরিকল্পনায়। ২রা মার্চ ৭১ ‘নিউক্লিয়াসে’র সিদ্ধান্তেই পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলনের সময় আ স ম আবদুর রব ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘এই পতাকাই আজ থেকে স্বাধীন বাংলা দেশের পতাকা’। পতাকা উত্তোলনের সময় লক্ষ লক্ষ জনতা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে জাতীয় পতাকাকে স্বাগত জানায়। ৩রা মার্চ ইশতেহার পাঠের জনসভায় এই পতাকাই উত্তোলন করা হয়, ইশতেহার পাঠ করেন শাজাহান সিরাজ মঞ্চে বঙ্গবন্ধু উপস্থিত ছিলেন। ইশতেহারে পকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়। এর পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এ পতাকা উত্তোলিত হতে থাকে। ২৩শে মার্চ ‘জয় বাংলা বাহিনী’ সামরিক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করে ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ নেতাদের পক্ষে আ স ম আবদুর রব ধানমন্ডি ৩২ এ গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে সেই পতাকা তুলে দেন এবং বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে উড়িয়ে ও গাড়িতে লাগিয়ে দেন। এ পতাকাই প্রবাসী সরকার অনুমোদন করে। এ পতাকা দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের ময়দানে শহীদদের পবিত্র দেহ জড়িয়ে চিরকালের জন্য চিরদিনের মতো চিরনিদ্রায় শায়িত করা হতো। পরে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু লালবৃত্তের মাঝে বাংলাদেশের সোনালি রঙের মানচিত্র উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তের সময় বঙ্গবন্ধু বিখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসানের পরামর্শ নেন। আজ একটি ভুল ইতিহাসের প্রবণতা চলছে। কামরুল হাসানকে পতাকার নকশাকারক বলা হচ্ছে। এসব ভুল তথ্য কালের স্রোতে ধুয়ে-মুছে যাবে। যারা পতাকার সিদ্ধান্ত ও নকশা প্রণয়নকারী তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা না করেই নির্বাহী আদেশে পতাকার পরিবর্তন ছিল বেদনাদায়ক। আমাদের পতাকায় রাজনৈতিক-সামাজিক মতাদর্শগত উপাদান বিদ্যমান।
‘পতাকা’ স্বাধীনতা উন্মুখ বাঙালি জাতির চৈতন্যের দলিল। পতাকা উত্তোলন মুক্তি-সংগ্রাম ইতিহাসের মহৎ কাজ। পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতার বেদিতে নৈবেদ্য প্রদান করা হয়েছে। এটা ছিল দূরদর্শী লক্ষ্যের প্রতিফলন।
পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অবস্থান থাকা অবস্থায়, শক্তিশালী সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রশক্তির উপস্থিতিতে পাকিস্তানী পতাকা পুড়িয়ে নতুন রাষ্ট্রের নতুন পতাকা উত্তোলন শুধু সাহসিকতার বিষয় নয়- এটা স্পর্ধা, দেশ-জনগণের প্রতি সীমাহীন আনুগত্যের বিষয়। মৃত্যুকে অবজ্ঞা করে জাতির আত্মমর্যাদাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে পতাকা উত্তোলন করার নায়ক আ স ম আবদুর রব। বিশাল সূর্যের নিচে বাংলার জমিনের উপর লক্ষ মানুষের চোখ ও বিবেকের সামনে যে পতাকা উত্তোলন করা হয় তা কোন গোপনীয়তার শরিক নয়- যার সত্য উন্মোচিত করতে হবে। আ স ম আবদুর রব পতাকা উত্তোলন করেছেন তা শুধু ছবি বা সেলুলয়েড এ আবদ্ধ নয়, এটা ইতিহাসের দৃশ্যে খচিত, ৩০ লাখ শহীদের আত্মায় গ্রোথিত আর সূর্যের আলোয় সংরক্ষিত।
পতাকা উত্তোলনরত আ স ম আবদুর রব এ বাস্তব ছবি জীবন্ত ইতিহাস দেখার পরও যারা স্বীকার করতে চায় না বা নাম বলতে কুণ্ঠাবোধ করেন তারা যুক্তিহীনতার প্রতিনিধিত্ব করেন- মুক্তিযুদ্ধের নয়, তারা মিথ্যার উপর আস্থাবান, সত্যের উপর নয়।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন পরশ্রীকাতরতা শব্দটি বাংলা ভাষা ছাড়া বিশ্বের কোন ভাষায় নেই। এ পরশ্রীকাতরতায় আক্রান্তরাই পরশ্রীকাতরতার জন্য সত্য বলার নৈতিক শক্তি হারিয়েছে, এটা তাদের হীনম্মন্যতায় অর্জিত দুর্ভাগ্য।
২রা মার্চ, ৩রা মার্চ এবং ৭ই মার্চ এগুলো ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা, ঐতিহাসিক ন্যায্যতা। একটি আরেকটির পরিপূরক, এগুলো অখণ্ড-খণ্ডিত করা যাবে না। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা, ন্যায্যতা বিনষ্ট করা যায় না।
কয়েক হাজার বছর পূর্বের রোমান ইতিহাসের দৃশ্য, যুদ্ধ, সমুদ্র যুদ্ধ এবং ‘অভিযান মানচিত্র’ খোদাই করা আছে ঢালে বা পাথরে, যা কোনো শক্তি বিলুপ্ত করতে পারেনি। আর প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই আধুনিক যুগে ৭১’ সালের ২রা মার্চের পতাকা উত্তোলন, উত্তোলনের দৃশ্য ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য!
যতদিন রাষ্ট্র থাকবে, পতাকা থাকবে, সত্য থাকবে ততদিন পতাকা উত্তোলনের স্পর্ধিত নায়ক আ স ম আবদুর রবের নাম উচ্চারিত হবে কখনও উচ্চস্বরে কখনও প্রাঞ্জল ভাষায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আ স ম আবদুর রবের নামে উজ্জীবিত হবে।
যারা ২রা মার্চ পতাকা উত্তোলনের সত্যকে মিথ্যা দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে চায়, হীনম্মন্যতাকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে চায়, তাদের উদ্দেশে বলবো ...........‘আসুন মিথ্যার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, মানুষ হিসেবে নিঃস্বার্থ ও পবিত্র হয়ে উঠি’।
শহীদুল্লাহ ফরায়জী
লেখক ও গীতিকবি
পতাকা ব্যবহারের ইতিহাস প্রায় চার হাজার বছরের। পতাকার উদ্ভব হয় মূলত যুদ্ধ ক্ষেত্রে পক্ষ-বিপক্ষকে চিহ্নিত করার প্রতীক হিসেবে। ১৮ শতকে দেশে দেশে যখন জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে তখন থেকে জাতি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় পতাকার ব্যবহার শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা এর উদাহরণ যা ১৭৭৭ সালে জাতীয় প্রতীকে রূপলাভ করে।
২রা মার্চ ছাড়া আধুনিক রাষ্ট্রের ইতিহাসে পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতার ঘোষণা বা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধের নির্দেশনা প্রদানের আর কোন তথ্য নেই। ২রা মার্চ রাষ্ট্র, সশস্ত্র সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রামের বিরল ঘটনা।
আ স ম আবদুর রব ২রা মার্চ যে পতাকা উত্তোলন করেন তা ১৯৭০ সালে ৭ই জুন ‘নিউক্লিয়াস’-এর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ‘জয়বাংলা বাহিনী’র ফ্ল্যাগ হিসেবে নকশা তৈরি করে পরিকল্পনাকারীরা, যা পরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা হিসেবে গৃহীত হবে এ পরিকল্পনায়। ২রা মার্চ ৭১ ‘নিউক্লিয়াসে’র সিদ্ধান্তেই পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলনের সময় আ স ম আবদুর রব ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘এই পতাকাই আজ থেকে স্বাধীন বাংলা দেশের পতাকা’। পতাকা উত্তোলনের সময় লক্ষ লক্ষ জনতা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে জাতীয় পতাকাকে স্বাগত জানায়। ৩রা মার্চ ইশতেহার পাঠের জনসভায় এই পতাকাই উত্তোলন করা হয়, ইশতেহার পাঠ করেন শাজাহান সিরাজ মঞ্চে বঙ্গবন্ধু উপস্থিত ছিলেন। ইশতেহারে পকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়। এর পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এ পতাকা উত্তোলিত হতে থাকে। ২৩শে মার্চ ‘জয় বাংলা বাহিনী’ সামরিক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করে ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ নেতাদের পক্ষে আ স ম আবদুর রব ধানমন্ডি ৩২ এ গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে সেই পতাকা তুলে দেন এবং বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে উড়িয়ে ও গাড়িতে লাগিয়ে দেন। এ পতাকাই প্রবাসী সরকার অনুমোদন করে। এ পতাকা দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের ময়দানে শহীদদের পবিত্র দেহ জড়িয়ে চিরকালের জন্য চিরদিনের মতো চিরনিদ্রায় শায়িত করা হতো। পরে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু লালবৃত্তের মাঝে বাংলাদেশের সোনালি রঙের মানচিত্র উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তের সময় বঙ্গবন্ধু বিখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসানের পরামর্শ নেন। আজ একটি ভুল ইতিহাসের প্রবণতা চলছে। কামরুল হাসানকে পতাকার নকশাকারক বলা হচ্ছে। এসব ভুল তথ্য কালের স্রোতে ধুয়ে-মুছে যাবে। যারা পতাকার সিদ্ধান্ত ও নকশা প্রণয়নকারী তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা না করেই নির্বাহী আদেশে পতাকার পরিবর্তন ছিল বেদনাদায়ক। আমাদের পতাকায় রাজনৈতিক-সামাজিক মতাদর্শগত উপাদান বিদ্যমান।
‘পতাকা’ স্বাধীনতা উন্মুখ বাঙালি জাতির চৈতন্যের দলিল। পতাকা উত্তোলন মুক্তি-সংগ্রাম ইতিহাসের মহৎ কাজ। পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতার বেদিতে নৈবেদ্য প্রদান করা হয়েছে। এটা ছিল দূরদর্শী লক্ষ্যের প্রতিফলন।
পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অবস্থান থাকা অবস্থায়, শক্তিশালী সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রশক্তির উপস্থিতিতে পাকিস্তানী পতাকা পুড়িয়ে নতুন রাষ্ট্রের নতুন পতাকা উত্তোলন শুধু সাহসিকতার বিষয় নয়- এটা স্পর্ধা, দেশ-জনগণের প্রতি সীমাহীন আনুগত্যের বিষয়। মৃত্যুকে অবজ্ঞা করে জাতির আত্মমর্যাদাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে পতাকা উত্তোলন করার নায়ক আ স ম আবদুর রব। বিশাল সূর্যের নিচে বাংলার জমিনের উপর লক্ষ মানুষের চোখ ও বিবেকের সামনে যে পতাকা উত্তোলন করা হয় তা কোন গোপনীয়তার শরিক নয়- যার সত্য উন্মোচিত করতে হবে। আ স ম আবদুর রব পতাকা উত্তোলন করেছেন তা শুধু ছবি বা সেলুলয়েড এ আবদ্ধ নয়, এটা ইতিহাসের দৃশ্যে খচিত, ৩০ লাখ শহীদের আত্মায় গ্রোথিত আর সূর্যের আলোয় সংরক্ষিত।
পতাকা উত্তোলনরত আ স ম আবদুর রব এ বাস্তব ছবি জীবন্ত ইতিহাস দেখার পরও যারা স্বীকার করতে চায় না বা নাম বলতে কুণ্ঠাবোধ করেন তারা যুক্তিহীনতার প্রতিনিধিত্ব করেন- মুক্তিযুদ্ধের নয়, তারা মিথ্যার উপর আস্থাবান, সত্যের উপর নয়।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন পরশ্রীকাতরতা শব্দটি বাংলা ভাষা ছাড়া বিশ্বের কোন ভাষায় নেই। এ পরশ্রীকাতরতায় আক্রান্তরাই পরশ্রীকাতরতার জন্য সত্য বলার নৈতিক শক্তি হারিয়েছে, এটা তাদের হীনম্মন্যতায় অর্জিত দুর্ভাগ্য।
২রা মার্চ, ৩রা মার্চ এবং ৭ই মার্চ এগুলো ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা, ঐতিহাসিক ন্যায্যতা। একটি আরেকটির পরিপূরক, এগুলো অখণ্ড-খণ্ডিত করা যাবে না। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা, ন্যায্যতা বিনষ্ট করা যায় না।
কয়েক হাজার বছর পূর্বের রোমান ইতিহাসের দৃশ্য, যুদ্ধ, সমুদ্র যুদ্ধ এবং ‘অভিযান মানচিত্র’ খোদাই করা আছে ঢালে বা পাথরে, যা কোনো শক্তি বিলুপ্ত করতে পারেনি। আর প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই আধুনিক যুগে ৭১’ সালের ২রা মার্চের পতাকা উত্তোলন, উত্তোলনের দৃশ্য ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য!
যতদিন রাষ্ট্র থাকবে, পতাকা থাকবে, সত্য থাকবে ততদিন পতাকা উত্তোলনের স্পর্ধিত নায়ক আ স ম আবদুর রবের নাম উচ্চারিত হবে কখনও উচ্চস্বরে কখনও প্রাঞ্জল ভাষায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আ স ম আবদুর রবের নামে উজ্জীবিত হবে।
যারা ২রা মার্চ পতাকা উত্তোলনের সত্যকে মিথ্যা দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে চায়, হীনম্মন্যতাকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে চায়, তাদের উদ্দেশে বলবো ...........‘আসুন মিথ্যার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, মানুষ হিসেবে নিঃস্বার্থ ও পবিত্র হয়ে উঠি’।
শহীদুল্লাহ ফরায়জী
লেখক ও গীতিকবি
No comments