আমরা ধ্বংস চাই না, শান্তি চাই -প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ধ্বংস চাই না, শান্তি চাই। আর পেছনে যেতে চাই না।
যে অগ্রগতির সূচনা হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে চাই। গতকাল রাজধানীর ওসমানী
স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত স্ব-স্ব ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও
অনন্য অবদানের জন্য ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয়
খেতাব স্বাধীনতা পদক-২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ
বছর এই পদক পেয়েছেন বৃহত্তর সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকার
জন্য কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী (মরণোত্তর), ১৯৭১ সালে রাজশাহী রেঞ্জের
ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য পাকিস্তানি
দখলদার বাহিনীর হাতে নিহত মামুন মাহমুদ (মরণোত্তর), ১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে
পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মকালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ও
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত সংগঠনকারী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস
কিবরিয়া (মরণোত্তর), সাহিত্যে অবদানের জন্য বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রফেসর
আনিসুজ্জামান, শিল্প-সংস্কৃতিতে বিশিষ্ট অভিনেতা আবদুর রাজ্জাক, গবেষণা ও
প্রশিক্ষণে বিশিষ্ট কৃষি বিষয়ক গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের
সাবেক মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ হোসেইন মণ্ডল এবং সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য
প্রখ্যাত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত (মরণোত্তর) এ পদক লাভ করেন। পদকপ্রাপ্তদের
পক্ষে প্রফেসর আনিসুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ সম্মাননা পাঠ
করেন। প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, জাতীয়
সংসদে বিরোধী দলের নেতা, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিক,
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর অনেক দেশ দ্রুত ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ বারবার পিছিয়ে পড়েছে। দেশ যখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি-জামায়াত দেশের চলমান অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে ৫ই জানুয়ারি থেকে নাশকতা, ধ্বংস, জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে যাচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই চক্রের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির শিকার অগ্নিদগ্ধ মানুষদের পোড়া গন্ধে দেশের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ব্যাহত করতে নাশকতা ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের এ ধ্বংসযজ্ঞ প্রায় তিন মাস ধরে চলছে এবং আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। তিনি বলেন, আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো। কারণ আমরা জানি মানুষ এই জঙ্গি কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু আমরা এটা চাই না যে, মানুষ এমন নৃশংসভাবে মারা যাবে এবং একটি পরিবার ধ্বংস হবে। বিএনপি-জামায়াতের ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বয়কটের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যে কোন নেতা বা দলের ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য অবশ্যই তাদের মাশুল দিতে হবে। কিন্তু এজন্য কেন দেশের জনগণ নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হবে। শেখ হাসিনা দুঃখ করে বলেন, অতীতে এমন সব ব্যক্তিকে স্বাধীনতার পদক দেয়া হয়েছে, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি ও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল। দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ব্যাপক অবদান ও আত্মোৎসর্গের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব রয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগের জন্য নয় বরং দেশের জনগণের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত ও দেশকে মর্যাদাশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর অনেক দেশ দ্রুত ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ বারবার পিছিয়ে পড়েছে। দেশ যখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি-জামায়াত দেশের চলমান অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে ৫ই জানুয়ারি থেকে নাশকতা, ধ্বংস, জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে যাচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই চক্রের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির শিকার অগ্নিদগ্ধ মানুষদের পোড়া গন্ধে দেশের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ব্যাহত করতে নাশকতা ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের এ ধ্বংসযজ্ঞ প্রায় তিন মাস ধরে চলছে এবং আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। তিনি বলেন, আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো। কারণ আমরা জানি মানুষ এই জঙ্গি কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু আমরা এটা চাই না যে, মানুষ এমন নৃশংসভাবে মারা যাবে এবং একটি পরিবার ধ্বংস হবে। বিএনপি-জামায়াতের ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বয়কটের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যে কোন নেতা বা দলের ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য অবশ্যই তাদের মাশুল দিতে হবে। কিন্তু এজন্য কেন দেশের জনগণ নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হবে। শেখ হাসিনা দুঃখ করে বলেন, অতীতে এমন সব ব্যক্তিকে স্বাধীনতার পদক দেয়া হয়েছে, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি ও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল। দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ব্যাপক অবদান ও আত্মোৎসর্গের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব রয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগের জন্য নয় বরং দেশের জনগণের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত ও দেশকে মর্যাদাশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য।
No comments