৯ মাস ধরে হিমঘরে খোকনের লাশ
দীর্ঘ
প্রায় ৯ মাস ধরে লাশটি পড়ে আছে হিমঘরে। নিহত ব্যক্তি হিন্দু না মুসলিম এর
সমাধান না হওয়ায় লাশের কবর বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হচ্ছে না। বিষয়টি আদালত
পর্যন্ত গড়ালেও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। লাশের দাবিদার দুই নারী। একজন সনাতন
ধর্মাবলম্বী। অন্যজন মুসলমান। দুই নারীর দাবি তারা নিহত ব্যক্তি খোকন নন্দী
ওরফে খোকন চৌধুরীর স্ত্রী। মুসলমান স্ত্রীর দাবি, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে
তাকে বিয়ে করেছেন খোকন। অন্যদিকে হিন্দু স্ত্রীর দাবি, তিনি ছিলেন সনাতন
ধর্মাবলম্বী। খোকন হিন্দু না মুসলিম এই সিদ্ধান্তের জন্য আদালতের দিকে
তাকিয়ে আছেন তারা।
গতকাল খোকন চৌধুরী ওরফে খোকন নন্দীর স্ত্রী দাবিদার হাবিবা খানম বাবলি জানান, খোকন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরও তার সাবেক স্ত্রী মীরা নন্দীর বাধার কারণে লাশটি কবর দেয়া যাচ্ছে না। লাশটি কবর দেয়ার জন্য তিনি আদালতে মামলা করেন। গত বছরের ১০ই জুলাই এ বিষয়ে আদালতের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন বিচারক এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না বলে অন্য আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে অন্য আদালতে গেলে বারবার শুনানির দিন ধার্য হলেও মীরা নন্দী সময় চেয়ে আবেদন করেন। এভাবেই সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বাবলি বলেন, আমি তার সম্পদ চাই না। শুধু তার লাশটা কবর দিতে চাই। কিন্তু তারা কিছুতেই তা করতে দেবে না। তারা খোকনের লাশের জন্য না বরং তার সম্পদের জন্য বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে।
গত বছরের ১৫ই জুন খোকন অসুস্থ হয়ে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৬শে জুন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। নিহত খোকনের গ্রামের বাড়ি মহেশখালীর জামালপাড়া গ্রামে।
এদিকে, গতকাল সকালে মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজারের সুলতানগঞ্জের কাপড়পট্টির ১৫ নম্বর হাজী ভবনের ১/সি নম্বর ফ্ল্যাটে গেলে কথা হয় খোকনের ভাই বাবু নন্দীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের লাশ সৎকারের জন্য ব্যবস্থা করলে কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে হাবিবা নামে এক মহিলা তাকে স্বামী দাবি করে বসেন। তাকে আমরা কখনও দেখেনি। প্রমাণস্বরূপ তার কাছে আমরা বিয়ের কাবিননামা দেখতে চাই কিন্তু তাও তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি থানা পুলিশ সমাধান করতে না পেরে বর্তমানে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
নিহতের ভাই আরও বলেন, আমার বড় ভাই যে ব্র্রাহ্মণ ছিলেন তার পক্ষে সব তথ্য, পেপার্স ও ডকুমেন্ট উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আদালত বিষয়গুলো আমলে নেবেন। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।
নিহতের স্ত্রী মীরা নন্দী বলেন, আমার স্বামীর কোটি টাকার সম্পত্তির লোভে ওই মহিলা (হাবিবা) আমার স্বামীকে স্বামী বলে দাবি করছেন। খোকন নন্দী মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। তার লাশ এখনও হিমঘরে পড়ে আছে। এমন ঘটনা আর ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই।
গতকাল খোকন চৌধুরী ওরফে খোকন নন্দীর স্ত্রী দাবিদার হাবিবা খানম বাবলি জানান, খোকন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরও তার সাবেক স্ত্রী মীরা নন্দীর বাধার কারণে লাশটি কবর দেয়া যাচ্ছে না। লাশটি কবর দেয়ার জন্য তিনি আদালতে মামলা করেন। গত বছরের ১০ই জুলাই এ বিষয়ে আদালতের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন বিচারক এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না বলে অন্য আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে অন্য আদালতে গেলে বারবার শুনানির দিন ধার্য হলেও মীরা নন্দী সময় চেয়ে আবেদন করেন। এভাবেই সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বাবলি বলেন, আমি তার সম্পদ চাই না। শুধু তার লাশটা কবর দিতে চাই। কিন্তু তারা কিছুতেই তা করতে দেবে না। তারা খোকনের লাশের জন্য না বরং তার সম্পদের জন্য বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে।
গত বছরের ১৫ই জুন খোকন অসুস্থ হয়ে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৬শে জুন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। নিহত খোকনের গ্রামের বাড়ি মহেশখালীর জামালপাড়া গ্রামে।
এদিকে, গতকাল সকালে মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজারের সুলতানগঞ্জের কাপড়পট্টির ১৫ নম্বর হাজী ভবনের ১/সি নম্বর ফ্ল্যাটে গেলে কথা হয় খোকনের ভাই বাবু নন্দীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের লাশ সৎকারের জন্য ব্যবস্থা করলে কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে হাবিবা নামে এক মহিলা তাকে স্বামী দাবি করে বসেন। তাকে আমরা কখনও দেখেনি। প্রমাণস্বরূপ তার কাছে আমরা বিয়ের কাবিননামা দেখতে চাই কিন্তু তাও তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি থানা পুলিশ সমাধান করতে না পেরে বর্তমানে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
নিহতের ভাই আরও বলেন, আমার বড় ভাই যে ব্র্রাহ্মণ ছিলেন তার পক্ষে সব তথ্য, পেপার্স ও ডকুমেন্ট উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আদালত বিষয়গুলো আমলে নেবেন। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।
নিহতের স্ত্রী মীরা নন্দী বলেন, আমার স্বামীর কোটি টাকার সম্পত্তির লোভে ওই মহিলা (হাবিবা) আমার স্বামীকে স্বামী বলে দাবি করছেন। খোকন নন্দী মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। তার লাশ এখনও হিমঘরে পড়ে আছে। এমন ঘটনা আর ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই।
No comments