এগারো বছর পার করলো র্যাব
নানা
চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজ বৃহস্পতিবার র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয় (র্যাব)
এগার বছর পার করছে। ২০০৪ সালের এই দিনে স্বাধীনতা দিবস প্যারেডে অংশ
গ্রহনের মাধ্যমে র্যাব জনসাধারনের সামনে আত্মপ্রকাশ করে। অপারেশন দায়িত্ব
পায় ২০০৪ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে। রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে
নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগণের সম্মুখে আসে র্যাব। ওই
বছরের ৩০ জুন রাজধানীর উত্তরায় শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান ক্রসফায়ারে
নিহতের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ অপারেশন কার্যক্রম শুরু করে।
তবে গত এগারো বছরে একদিকে যেমন র্যাবের সাফল্য দেশবিদেশে প্রশংসিত হয়েছে তেমনি র্যাবের বিরুদ্ধে মানবধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে। এমনকি নানা অপরাধেও জড়িয়ে পড়েছে র্যাব সদস্যরা। সর্বশেষ গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবি চন্দন কুমার সরকারসহ সাত জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ইমেজ সংকটে পড়ে র্যাব। ওই ঘটনায় র্যাবের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, কার্যক্রম শুরুর সময় ব্যাটালিয়ন ছিল সদর দফতরসহ ৭টি। লোকবল ছিল ৫ হাজার ৫২১ জন। প্রয়োজনের তাগিদে র্যাবের জনবল ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যা বেড়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাইকৃত চৌকস কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এখন ১৪টি ব্যাটালিয়নে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার র্যাব সদস্য কর্মরত রয়েছেন।
র্যাবের হিসাব অনুযায়ী গত এগারো বছরে সারাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭শ’ ৮২ জনকে তারা গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১শ’২৬ জন জামায়াতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) ও হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। অভিযানে গত এক দশকে ৮ হাজার ৭শ’৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার, ১১ হাজার ৭শ’১৪ টি অস্ত্র, ১লাখ ২৩ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ, সাড়ে ৭ হাজার ককটেল, বোমা, গ্রেনেড এবং ৫,২৮০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে র্যাব।
তবে র্যাবের বিরুদ্ধে দেশ বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলির বড় অভিযোগ হলো বিচারবর্হিভূত হত্যাকণ্ড। র্যাব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০০৪ সালে ৫৪ জন, ২০০৫ সালে ১০৬ জন, ২০০৬ সালে ১০৯ জন, ২০০৭ সালে ৮১ জন, ২০০৮ সালে ৬৩ জন, ২০০৯ সালে ৩৮ জন, ২০১০ সালে ৪২ জন, ২০১১ সালে ২৩ জন, ২০১২ সালে ৪৫ জন, ২০১৩ সালে ৩৫ জন, ২০১৪ সালে ২২ জন ক্রসফায়ার, লাইন অব ফায়ার এবং বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। নিহতদের বেশিরভাগই হলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী দলের সদস্য, ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী ও সুন্দরবনের জলদস্যু। র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মাহমুদ খান একাদশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জানান, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও আস্থার মূল্যায়ন করে র্যাব সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে গত এগারো বছরে একদিকে যেমন র্যাবের সাফল্য দেশবিদেশে প্রশংসিত হয়েছে তেমনি র্যাবের বিরুদ্ধে মানবধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে। এমনকি নানা অপরাধেও জড়িয়ে পড়েছে র্যাব সদস্যরা। সর্বশেষ গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবি চন্দন কুমার সরকারসহ সাত জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ইমেজ সংকটে পড়ে র্যাব। ওই ঘটনায় র্যাবের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, কার্যক্রম শুরুর সময় ব্যাটালিয়ন ছিল সদর দফতরসহ ৭টি। লোকবল ছিল ৫ হাজার ৫২১ জন। প্রয়োজনের তাগিদে র্যাবের জনবল ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যা বেড়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাইকৃত চৌকস কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এখন ১৪টি ব্যাটালিয়নে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার র্যাব সদস্য কর্মরত রয়েছেন।
র্যাবের হিসাব অনুযায়ী গত এগারো বছরে সারাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭শ’ ৮২ জনকে তারা গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১শ’২৬ জন জামায়াতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) ও হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। অভিযানে গত এক দশকে ৮ হাজার ৭শ’৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার, ১১ হাজার ৭শ’১৪ টি অস্ত্র, ১লাখ ২৩ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ, সাড়ে ৭ হাজার ককটেল, বোমা, গ্রেনেড এবং ৫,২৮০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে র্যাব।
তবে র্যাবের বিরুদ্ধে দেশ বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলির বড় অভিযোগ হলো বিচারবর্হিভূত হত্যাকণ্ড। র্যাব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০০৪ সালে ৫৪ জন, ২০০৫ সালে ১০৬ জন, ২০০৬ সালে ১০৯ জন, ২০০৭ সালে ৮১ জন, ২০০৮ সালে ৬৩ জন, ২০০৯ সালে ৩৮ জন, ২০১০ সালে ৪২ জন, ২০১১ সালে ২৩ জন, ২০১২ সালে ৪৫ জন, ২০১৩ সালে ৩৫ জন, ২০১৪ সালে ২২ জন ক্রসফায়ার, লাইন অব ফায়ার এবং বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। নিহতদের বেশিরভাগই হলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী দলের সদস্য, ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী ও সুন্দরবনের জলদস্যু। র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মাহমুদ খান একাদশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জানান, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও আস্থার মূল্যায়ন করে র্যাব সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
No comments