৪৫ বছর পর স্বীকৃতির আনন্দে মোদি স্ত্রীর আত্মগোপন
এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিলেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকার অতি সাধারণ জীবনযাপন করছিলেন। কেউই আলাদা করে ভেবে দেখেননি তার কথা। কিন্তু একটা হলফনামা বদলে দিল সবকিছু। হঠাৎ করেই ভারতীয় গণমাধ্যমের সব ক্যামেরা ঘুরে গেল তার দিকে। নির্বাচনের ভরা বাজারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তিনিই। কিন্তু কোথায় যশোদাবেন মোদি? তাকে আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না! বুধবার ভাদোদাড়াতে মোদির নমিনেশন জমা দেয়ার পর থেকেই যশোদাবেনের খোঁজে তৎপর রয়েছে ভারতের গোটা মিডিয়া জগত। কিন্তু বেমালুম অদৃশ্য হয়ে গেছেন মোদিপত্নী। কিন্তু মিডিয়াকে এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন যশোদা। কেউ কেউ আবার বলছেন, ৪০ জন মহিলার সঙ্গে এখন তিনি তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছেন। অনেকে আবার বলেছেন, যশোদা ইচ্ছা করেই আত্মগোপন করেছেন।
শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর স্ত্রী নাকি তার অবসরের আগে এক সহকর্মীর কাছে আক্ষেপ করে জানিয়েছিলেন, তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে কিছুই আর আশা করেন না, শুধু চান মোদি যেন তাকে অন্তত স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করে নেন। ঈশ্বর তার প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন। মোদি তাকে পত্নী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমরা এতে ভীষণ আনন্দিত। আমরা এখন সবাই মিলে প্রার্থনা করব যাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। বলছিলেন যশোদার বড় ভাই কমলেশ মোদি। আজ থেকে ৪৫ বছর আগে যশোদাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন মোদি। এরপর থেকে একাই কাটাচ্ছেন সাবেক এই স্কুল শিক্ষিকা। পুনরায় বিয়ে করেননি। তিনি বিজেপি নেতা মোদিকে মনেপ্রাণে স্বামী মানেন। তার জন্য নিয়মিত উপাসনা করেন। দল যাতে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়, এ প্রার্থনায় দীর্ঘ চার মাস তিনি জুতা পরেননি, খালি পায়ে কাটিয়েছেন। এছাড়া মোদি যাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সে প্রার্থনায় গত কয়েক মাস ধরে ভাত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন তিনি, দিনে মাত্র একবার খাচ্ছেন।
No comments