সাজ হওয়া চাই মানানসই by শর্মী চক্রবর্তী
খোঁপায় লাল গোলাপ। কপালে লাল টকটকে টিপ।
হাতে চুড়ি। লাল-সাদার শাড়ি। এমনটাই ছিল বাঙালির চিরন্তন বৈশাখী সাজ। তবে
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাজেও এসেছে নতুনত্ব। এখন আর লাল-সাদায় সীমাবদ্ধ নেই
বৈশাখ। বৈশাখী সাজে এসেছে নতুন মাত্রা। প্রাচ্য এবং পাশ্চত্যের মিশেল। কেউ
হয়তো একেবারে ভিন্ন রঙের পোশাক পরে কপালের টিপ হাতের চুড়িতে রাখছেন লাল।
কিংবা
খোঁপায় সাদা ফুল পরেই বৈশাখী সাজটিকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলছেন। সাজ যাই
হোক তা যেন মানানসই এবং আরামদায়ক হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
বিউটিশিয়ানরা মেকআপের সব সময় ঋতুকে প্রাধান্য দেন বেশি। বৈশাখের দিনে
প্রচণ্ড গরম ও রোদ থাকবে। তাই রোদে বের হতে চাইলে অয়েল ফ্রি মেকআপ নিতে
হবে। যতটা সম্ভব হালকা ও পানি নিরোধক মেকআপ ব্যবহার করবেন। কারণ গরমে ভারী
মেকআপ নিলে গরম ও ঘামে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া অতিরঞ্জিত মেকআপে
দৃষ্টিকটু মনে হতে পারে। চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে
ব্রোঞ্জ, কালো, সোনালি, মেরুনের কম্বিনেশন। চোখকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন
সোনালি আর লালের যুগলবন্দিতে- আইশ্যাডো ও আইলাইনার ব্যবহারের মাধ্যমে।
ঠোঁটে অবশ্যই আপনার পছন্দের রংটি ব্যবহার করবেন। তবে বর্তমানে গাঢ় লাল রঙের
লিপস্টিকই বেশি পছন্দ করছেন তরুণীরা। বৈশাখের প্রথম দিন তাই পোশাকের সঙ্গে
সাজের একটি বিষয় রয়েছে। বছরের প্রথম দিনের বাঁধভাঙা উৎসবে সাজের ক্ষেত্রে
নেই কোন সীমাবদ্ধতা। কিন্তু এর পরও মাথায় রাখতে হবে নিজের আরামের বিষয়টি।
গ্রীষ্মের গরমে মেকআপ হতে হবে একবারে ন্যাচারাল। মনে রাখবেন ন্যাচারাল
শেডের মেকআপ ভাল করে মুখে মিশে যাবে। আর এ ক্ষেত্রে পানি দিয়ে স্প্রে করে
এরপর লুজি পাউডার দিয়ে চেপে ভাল করে মেকআপ মুখের ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে
হবে। এতে করে মেকআপটা ওয়াটার প্রুফ হয়ে যাবে। মেকআপ করার আগে টোনার এবং
এরপর সান স্কিন ব্যবহার করে মেকআপ করুন। এতে করে প্রচণ্ড গরমেও আপনি
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
চোখের সাজ : রমণীর চোখ তার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় শত গুণ। বৈশাখের প্রথম দিনে চোখের সাজের ক্ষেত্রে, চোখে একটু উজ্জ্বল এবং বৈচিত্র্যময় রং ব্যবহার করলে আপনাকে ভাল লাগবে। রঙের ক্ষেত্রে সবুজের হালকা ও গাঢ় শেডটি ব্যবহার করতে পারেন। আর বর্ডার লাইনে হলুদের গাঢ় এবং হালকা দুটি শেডই ব্যবহার করতে পারেন। ওয়াটার প্রুফ আইলাইনার ব্যবহার করে গাঢ় কালো পেন্সিল দিয়ে আরও একবার হালকা টান দিয়ে নেবেন ন্যাচারাল লুকের জন্য। আর চোখের ভেতরের দিকে কাজল লাগালে চোখটা ঠিক মেঘলা আকাশের মতোই শান্ত, গভীর আর আকর্ষণীয় দেখাবে। শাড়ি পরলেই সাজতে হবে। আর সেই সাজে যদি ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার ব্যবহার না করা হয়, সেটা সবচেয়ে ভাল। তবে যদি কেউ মেকআপ করতেই চান, সে ক্ষেত্রে তেলহীন (অয়েল ফ্রি) মেকআপ ব্যবহার করতে পারেন আর দিতে পারেন ম্যাট ফাউন্ডেশন। তবে হ্যাঁ, হাতভর্তি লাল কাচের চুড়ি পরতে পারেন ইচ্ছামতো। কপালে বড় করে লাল টিপ। কিংবা লাল, সাদা, সবুজ মিলিয়ে চলতে পারে কুমকুমের টিপও। অল্পবয়সী যারা, তারা তো একদমই কোন ধরনের মেকআপ ব্যবহার করবেন না। যত বেশি সাধারণ সাজে থাকা যাবে ততই ভাল। তবে হ্যাঁ, কাজল বা আইলাইনার দিয়ে চোখ সাজাতে ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। সেই সঙ্গে খোঁপাভর্তি বেলি ফুলের মালা থাকা চাই। অবশ্যই বাইরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। এ ছাড়া সারাদিন অনেক বেশি পানি খেতে হবে। আর চুলের সাজে বেণি বা খোঁপা চলতে পারে। সেখানে ফুলের পাশাপাশি কড়ি বা পুঁতির টারসেল ব্যবহার করা যেতে পারে। সাজে এথনিক লুকটা এ দিনের সঙ্গে অনেক বেশি মানানসই। শাড়ি ও সাজ তো হলো। এবার গহনাটা কি হবে? মাটি, মেটাল, পুঁতি, কড়ি এগুলোই অনেক বেশি মানানসই পহেলা বৈশাখের জন্য। মাটি ও মেটালের গহনায় লাল, মেরুন, কমলা রংগুলো অনেক বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ রঙের পুঁতির গহনাও কড়ি দিয়ে চলবে বেশ। পহেলা বৈশাখে সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর জন্য পায়ে নিন সবচেয়ে আরামদায়ক জুতা। হতে পারে হালকা হিলের ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বা একদমই চটি। যেটা আরামদায়ক সেটাই পরুন। নয় তো আপনার ঘুরে বেড়ানোটাই মাটি হয়ে যাবে। বছরের প্রথম দিন বলে কথা! বৈশাখের প্রথম দিনটা যে রৌদ্রোজ্জ্বল হয় এটা আমরা সবাই জানি, তাই প্রস্তুত থাকতে হবে হাতপাখা, টিস্যু, টোনার, ফেস পাওডার, টিপস্টিক ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে। কারণ মেলা কিংবা উৎসবে ভিড়ে রোদের তাপে যে কোন সময় আপনার মেকআপটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চোখের সাজ : রমণীর চোখ তার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় শত গুণ। বৈশাখের প্রথম দিনে চোখের সাজের ক্ষেত্রে, চোখে একটু উজ্জ্বল এবং বৈচিত্র্যময় রং ব্যবহার করলে আপনাকে ভাল লাগবে। রঙের ক্ষেত্রে সবুজের হালকা ও গাঢ় শেডটি ব্যবহার করতে পারেন। আর বর্ডার লাইনে হলুদের গাঢ় এবং হালকা দুটি শেডই ব্যবহার করতে পারেন। ওয়াটার প্রুফ আইলাইনার ব্যবহার করে গাঢ় কালো পেন্সিল দিয়ে আরও একবার হালকা টান দিয়ে নেবেন ন্যাচারাল লুকের জন্য। আর চোখের ভেতরের দিকে কাজল লাগালে চোখটা ঠিক মেঘলা আকাশের মতোই শান্ত, গভীর আর আকর্ষণীয় দেখাবে। শাড়ি পরলেই সাজতে হবে। আর সেই সাজে যদি ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার ব্যবহার না করা হয়, সেটা সবচেয়ে ভাল। তবে যদি কেউ মেকআপ করতেই চান, সে ক্ষেত্রে তেলহীন (অয়েল ফ্রি) মেকআপ ব্যবহার করতে পারেন আর দিতে পারেন ম্যাট ফাউন্ডেশন। তবে হ্যাঁ, হাতভর্তি লাল কাচের চুড়ি পরতে পারেন ইচ্ছামতো। কপালে বড় করে লাল টিপ। কিংবা লাল, সাদা, সবুজ মিলিয়ে চলতে পারে কুমকুমের টিপও। অল্পবয়সী যারা, তারা তো একদমই কোন ধরনের মেকআপ ব্যবহার করবেন না। যত বেশি সাধারণ সাজে থাকা যাবে ততই ভাল। তবে হ্যাঁ, কাজল বা আইলাইনার দিয়ে চোখ সাজাতে ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। সেই সঙ্গে খোঁপাভর্তি বেলি ফুলের মালা থাকা চাই। অবশ্যই বাইরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। এ ছাড়া সারাদিন অনেক বেশি পানি খেতে হবে। আর চুলের সাজে বেণি বা খোঁপা চলতে পারে। সেখানে ফুলের পাশাপাশি কড়ি বা পুঁতির টারসেল ব্যবহার করা যেতে পারে। সাজে এথনিক লুকটা এ দিনের সঙ্গে অনেক বেশি মানানসই। শাড়ি ও সাজ তো হলো। এবার গহনাটা কি হবে? মাটি, মেটাল, পুঁতি, কড়ি এগুলোই অনেক বেশি মানানসই পহেলা বৈশাখের জন্য। মাটি ও মেটালের গহনায় লাল, মেরুন, কমলা রংগুলো অনেক বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ রঙের পুঁতির গহনাও কড়ি দিয়ে চলবে বেশ। পহেলা বৈশাখে সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর জন্য পায়ে নিন সবচেয়ে আরামদায়ক জুতা। হতে পারে হালকা হিলের ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বা একদমই চটি। যেটা আরামদায়ক সেটাই পরুন। নয় তো আপনার ঘুরে বেড়ানোটাই মাটি হয়ে যাবে। বছরের প্রথম দিন বলে কথা! বৈশাখের প্রথম দিনটা যে রৌদ্রোজ্জ্বল হয় এটা আমরা সবাই জানি, তাই প্রস্তুত থাকতে হবে হাতপাখা, টিস্যু, টোনার, ফেস পাওডার, টিপস্টিক ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে। কারণ মেলা কিংবা উৎসবে ভিড়ে রোদের তাপে যে কোন সময় আপনার মেকআপটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
No comments