‘যেখানে বসে প্ল্যানিং করলি সেখানেই মারবো তোকে’ -ফেসবুক লাইভে অমিত মুহুরীর ভাই by ইব্রাহিম খলিল
‘প্রশাসনকে
টাকা খাইয়ে তুই আমার ভাইকে মারালি। তুই যেখানে বসে প্ল্যানিং করলি তোকে
সেখানেই মারব। অমিত মুহুরীর ছোট ভাইরা আছে। তারা অমিত মুহুরীকে খুব
ভালোবাসে। প্রশাসন যদি তোর বিচার না করে তাহলে তোর বিচার আমি করব।’ ভারত
থেকে ফেসবুকে দেয়া এক ভিডিও লাইভে এভাবে হুমকি দেন অমিত মুহুরীর ছোট ভাই
অনিক মুহুরী। ভারতে অবস্থানরত অমিত মুহুরীর স্ত্রী নিধি দত্ত চৈতীর ফেসবুক
একাউন্টে ১১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি আপলোড করা হয়। যা ১লা জুন শনিবার
২টা পর্যন্ত তিন হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী শেয়ার করেছেন। ভারতে কলকাতার
একটি বাড়ির ছাদে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে।
ভিডিওতে অমিত মুহুরীকে মেরেছে রিপন নাথ! এ কথা বলে বারবার উপহাস ও প্রশ্ন ছুড়ে দিতে দেখা যায় অনিক মুহুরীকে। অনিক মুহুরীর ভিডিওতে বলেন, অমিত মুহুরী মারা গেছে। রিপন নাথ অমিত মুহুরীকে মারলো! আচ্ছা! রিপন নাথের চেহারা দেখে বোঝা যায়? অমিত মুহুরীকে মারার ক্ষমতা রিপন নাথের আছে? আমার ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি ছিলাম না আমার ভাইয়ের কাছে। দেখেছি আমার ভাইকে শেইভ করা অবস্থায় মেরেছে। আমার ভাই অর্ধেক শেইভ জীবনে করেনি। আমার ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা কখনও শুনেছেন? জেলের মধ্যে মেরে ফেলতে? রিপন নাথ অস্ত্র মামলায় জেলের মধ্যে ঢুকেছে নাকি। ওরা নাকি জেলের মধ্যে ঢুকে দাদাকে পিছন থেকে মারা হয়েছে, গা-হাতে খুর দিয়ে কাটা হলো আমার দাদাকে। রিপন নাথ মারলো আমার দাদার পিছনে? কে মেরেছে? আপনারা বিচার করুন। আমার দাদা যাকে মেরেছে, শাস্তি পাচ্ছিল তো। ও তো ভুলটা বুঝতে পেরেছিল। ওকে কেন মারা হলো? আমার দাদা কোন দিন অর্ধেক শেইভ করেনি। সবগুলো সাজানো নাটক। অর্ধেক শেইভ করিয়েছে। তিনি কারাগারের বাইরে খুনের পরিকল্পনা হয়েছিল দাবি করে বলেন, ছয়-সাতজন মিলে পুরো প্ল্যানিং করে আমার দাদাকে মারা হয়েছে। আর যে প্ল্যানিং করেছে, চেয়ারে বসে বসে, দাঁড়া! নাটক করো? নাটকের দিন শেষ। তুই যেখানে বসে প্ল্যানিং করলি, সেখানে মারা হবে তোকে। অমিতের ছোট ভাইরা আছে। অমিতের ছোট ভাইরা অমিতকে ভালোবাসে। অনিক মুহুরী বলেন, ছেলেকে মরা অবস্থায় আমার বাবাকে দিচ্ছে। মারলে গুলি করে মার। এভাবে কেউ মারে? আপনারা সবাই এই ভিডিও শেয়ার করুন। যে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তার বিচার চাই আমরা। তার বিচার করুন। যে মেরেছে, তাকে ঘর থেকে বের করে মারুন। সে অন্যায় করেছে; তাকে শাস্তি দিন।
আমার ভাই অন্যায় করেছে, শাস্তি পাচ্ছিল। ওকে মেরে কেন ফেললি? প্রশাসন যখন বলছে, জেলের ভিতর মেরেছে। প্রশাসন কেন কিছু বলছে না? জেলের ভিতরে ইট কোথা থেকে আসে? জেলের মধ্যে কি ইটের ব্যবসা হয়? এটার জবাব দাও। এতো বড় নাটক সাজিয়েছো? জেলের মধ্যে সিসি ক্যামেরা থাকে। ক্যামেরা ফুটেজ বের কর। তোমরা প্রশাসন যদি ঠিক থাকো, তাহলে এটার প্রুভ বের করো। কার হাত ছিল এটা বের কর।
আমার ভাই ভালো হয়েছিল। ১১ তারিখ ভাই বের হতো। এই খবর ওপর লেভেলে গেছে। আমার বাবা আমাদেরকেও বলেনি যাতে কারো কানে চলে যাবে। ১১ তারিখ বের করে ইন্ডিয়া নিয়ে আসতো। কিন্তু কী অপরাধ করলো আমার দাদা? একটা জেলের মধ্যে এভাবে হত্যা কি করে? প্রশাসন কি করছিল তখন? রাতের একটার সময় নাকি আমার দাদা শেইভ করছে! রাত একটার সময় কেউ শেইভ করতে যায়? রাত একটার সময় কখনো জেলে শেইভ করায়? জেলের মধ্যে শেইভ করার টাইম দুপুর দুটোয়। তার মানে দুপুর দুটোর সময় আমার দাদাকে মেরেছে।
ক্ষোভ মেশানো কান্নায় তিনি বলেন, আসছি, বাংলাদেশ আমি আসছি। আমি আসছি। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার যদি কেউ না করে, প্রশাসন থেকে যদি বিচার না পাই, আমি করবো বিচার। দেখবো কে কার বাপ। আয়। তুই ঘরে বসে প্রশাসনকে দিয়ে টাকা খাইয়ে আমার ভাইকে মারালি। আপনারা সবাই এটার বিচার করুন। আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। মেরে আমার বাবাকে ফোন করেছে। যখন জান ছিল তখন কেন দেয়নি। আমার বাবা যখন কেইস করতে গেলো, পুলিশ কেইস নিচ্ছে না। পুলিশকে এমনভাবে হাত করে রাখলো- পুলিশ কেইস নিচ্ছে না। আমরা বাবা হাইকোর্টে গিয়ে কেইস করলো। পুলিশ কেইস নিচ্ছে না। আপনারা এটার বিচার করুন।
চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ প্রসঙ্গে বলেন, এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ হত্যা মামলা দায়ের করেছে। অমিত মুহুরীর বাবা অরুণ মুহুরীও জেল সুপার ও জেলারের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছিলেন। আমি তাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে বলেছি। কারণ একটি ঘটনায় দুইবার মামলা তো নেয়া যায় না।
ভিডিওতে অমিত মুহুরীকে মেরেছে রিপন নাথ! এ কথা বলে বারবার উপহাস ও প্রশ্ন ছুড়ে দিতে দেখা যায় অনিক মুহুরীকে। অনিক মুহুরীর ভিডিওতে বলেন, অমিত মুহুরী মারা গেছে। রিপন নাথ অমিত মুহুরীকে মারলো! আচ্ছা! রিপন নাথের চেহারা দেখে বোঝা যায়? অমিত মুহুরীকে মারার ক্ষমতা রিপন নাথের আছে? আমার ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি ছিলাম না আমার ভাইয়ের কাছে। দেখেছি আমার ভাইকে শেইভ করা অবস্থায় মেরেছে। আমার ভাই অর্ধেক শেইভ জীবনে করেনি। আমার ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা কখনও শুনেছেন? জেলের মধ্যে মেরে ফেলতে? রিপন নাথ অস্ত্র মামলায় জেলের মধ্যে ঢুকেছে নাকি। ওরা নাকি জেলের মধ্যে ঢুকে দাদাকে পিছন থেকে মারা হয়েছে, গা-হাতে খুর দিয়ে কাটা হলো আমার দাদাকে। রিপন নাথ মারলো আমার দাদার পিছনে? কে মেরেছে? আপনারা বিচার করুন। আমার দাদা যাকে মেরেছে, শাস্তি পাচ্ছিল তো। ও তো ভুলটা বুঝতে পেরেছিল। ওকে কেন মারা হলো? আমার দাদা কোন দিন অর্ধেক শেইভ করেনি। সবগুলো সাজানো নাটক। অর্ধেক শেইভ করিয়েছে। তিনি কারাগারের বাইরে খুনের পরিকল্পনা হয়েছিল দাবি করে বলেন, ছয়-সাতজন মিলে পুরো প্ল্যানিং করে আমার দাদাকে মারা হয়েছে। আর যে প্ল্যানিং করেছে, চেয়ারে বসে বসে, দাঁড়া! নাটক করো? নাটকের দিন শেষ। তুই যেখানে বসে প্ল্যানিং করলি, সেখানে মারা হবে তোকে। অমিতের ছোট ভাইরা আছে। অমিতের ছোট ভাইরা অমিতকে ভালোবাসে। অনিক মুহুরী বলেন, ছেলেকে মরা অবস্থায় আমার বাবাকে দিচ্ছে। মারলে গুলি করে মার। এভাবে কেউ মারে? আপনারা সবাই এই ভিডিও শেয়ার করুন। যে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তার বিচার চাই আমরা। তার বিচার করুন। যে মেরেছে, তাকে ঘর থেকে বের করে মারুন। সে অন্যায় করেছে; তাকে শাস্তি দিন।
আমার ভাই অন্যায় করেছে, শাস্তি পাচ্ছিল। ওকে মেরে কেন ফেললি? প্রশাসন যখন বলছে, জেলের ভিতর মেরেছে। প্রশাসন কেন কিছু বলছে না? জেলের ভিতরে ইট কোথা থেকে আসে? জেলের মধ্যে কি ইটের ব্যবসা হয়? এটার জবাব দাও। এতো বড় নাটক সাজিয়েছো? জেলের মধ্যে সিসি ক্যামেরা থাকে। ক্যামেরা ফুটেজ বের কর। তোমরা প্রশাসন যদি ঠিক থাকো, তাহলে এটার প্রুভ বের করো। কার হাত ছিল এটা বের কর।
আমার ভাই ভালো হয়েছিল। ১১ তারিখ ভাই বের হতো। এই খবর ওপর লেভেলে গেছে। আমার বাবা আমাদেরকেও বলেনি যাতে কারো কানে চলে যাবে। ১১ তারিখ বের করে ইন্ডিয়া নিয়ে আসতো। কিন্তু কী অপরাধ করলো আমার দাদা? একটা জেলের মধ্যে এভাবে হত্যা কি করে? প্রশাসন কি করছিল তখন? রাতের একটার সময় নাকি আমার দাদা শেইভ করছে! রাত একটার সময় কেউ শেইভ করতে যায়? রাত একটার সময় কখনো জেলে শেইভ করায়? জেলের মধ্যে শেইভ করার টাইম দুপুর দুটোয়। তার মানে দুপুর দুটোর সময় আমার দাদাকে মেরেছে।
ক্ষোভ মেশানো কান্নায় তিনি বলেন, আসছি, বাংলাদেশ আমি আসছি। আমি আসছি। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার যদি কেউ না করে, প্রশাসন থেকে যদি বিচার না পাই, আমি করবো বিচার। দেখবো কে কার বাপ। আয়। তুই ঘরে বসে প্রশাসনকে দিয়ে টাকা খাইয়ে আমার ভাইকে মারালি। আপনারা সবাই এটার বিচার করুন। আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। মেরে আমার বাবাকে ফোন করেছে। যখন জান ছিল তখন কেন দেয়নি। আমার বাবা যখন কেইস করতে গেলো, পুলিশ কেইস নিচ্ছে না। পুলিশকে এমনভাবে হাত করে রাখলো- পুলিশ কেইস নিচ্ছে না। আমরা বাবা হাইকোর্টে গিয়ে কেইস করলো। পুলিশ কেইস নিচ্ছে না। আপনারা এটার বিচার করুন।
চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ প্রসঙ্গে বলেন, এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ হত্যা মামলা দায়ের করেছে। অমিত মুহুরীর বাবা অরুণ মুহুরীও জেল সুপার ও জেলারের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছিলেন। আমি তাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে বলেছি। কারণ একটি ঘটনায় দুইবার মামলা তো নেয়া যায় না।
No comments