চীনে নিষিদ্ধ, তাই তারা যাচ্ছে হংকংয়ে
চীনে
ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষা নিষিদ্ধ। আর তাই তো অনেক অন্তঃসত্ত্বা
নারী ভ্রূণ ছেলে না মেয়ে, তা জানতে নির্ভর করছেন হংকংয়ের ওপর। বেশ কিছু
চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর
রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাচ্ছে হংকংয়ে। চীন থেকে পাঠানো অন্তঃসত্ত্বা
নারীদের ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে হংকং।
বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনে ছোট পরিবার ও ছেলেসন্তানের প্রতি আগ্রহের কারণে সেখানে বিপুলসংখ্যক গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। দেশটিতে এখন প্রতি ১০০ মেয়েশিশুর বিপরীতে ১১৫ ছেলেশিশু জন্ম নেয়। এ কারণে দেশটিতে লিঙ্গ পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও দীর্ঘদিনের এক সন্তান নীতি ২০১৬ সালে শিথিল করেছে চীন। এরপরও লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষা হয়েই চলেছে। কন্যাসন্তানের বাবা-মা দ্বিতীয়বার ছেলেসন্তানের জন্য চেষ্টা করেন। চীনে লিঙ্গ পরীক্ষা নিষিদ্ধ থাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক অর্থের বিনিময়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পাশের দেশ থেকে এ পরীক্ষা করিয়ে আনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবো এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে ওই চক্র সন্তানসম্ভবা নারীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে।
হংকংয়ে লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষা অবৈধ নয়। হংকংয়ের অনেক ক্লিনিক চোখ বন্ধ করে রক্তের এ পরীক্ষা করে দেয়। তারা জানতেও চায় না, নমুনা কোত্থেকে এল।
ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সম্প্রতি এএফপি প্রতিবেদক গ্রাহক সেজে যোগাযোগ করেন রক্তের নমুনা সংগ্রহকারী তিন দালালের সঙ্গে। নমুনা সংগ্রহের অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ দিয়ে দালালেরা পরীক্ষার জন্য ৫৮০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৯ হাজার টাকা) জমা দিতে বলেন। সন্তান ধারণের ছয় সপ্তাহের মধ্যে লিঙ্গ নির্ধারণের সম্ভাব্য ফল পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। চাহিদা অনুসারে অর্থ জমা দেওয়ার পর গ্রাহকের কাছে টেস্টিং কিট পাঠান দালাল। আরেকজন পরামর্শ দেন অ্যাপের মাধ্যমে একজন নার্সকে ভাড়া করতে, যিনি বাড়ি এসে অন্তঃসত্ত্বা নারীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন।
শেনজেন থেকে সেই রক্ত সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয় হংকংয়ে। কোথায় সেই নমুনা পাঠানো হচ্ছে, দালাল সরাসরি সেই ঠিকানা না দিলেও নিশ্চিত করেছেন যে এটা নিরাপদেই কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে যাবে।
অনেক সময় দালালেরা এসব রক্তের নমুনা হংকংয়ে সরাসরি মানুষের মাধ্যমেও পাচার করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেনজেন সীমান্তে ১২ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুর ব্যাকপ্যাকে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ১৪২টি রক্তের নমুনা পাওয়া যায়। গর্ভের শিশু ছেলে না মেয়ে, তা জানার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে শিশুর ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি আছে কি না, সে পরীক্ষাও করা হয়। আবার অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারী বৈধ পথে নিজেরাই পরীক্ষার জন্য চলে যান হংকংয়ে।
হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলের কউলুনের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্ত্রীর রক্ত পরীক্ষা করাতে নিয়ে এসেছেন ওয়াং নামের ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘আমার তিনটি মেয়ে রয়েছে। সত্যি বলতে, আমি এখন ছেলে চাই।’ তিনি জানান, পরীক্ষায় মেয়েসন্তান এলে চীনে তাঁরা ফিরে গিয়ে গর্ভপাত ঘটাবেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর গর্ভধারণের মাত্র ৫০ দিন হয়েছে। তাই ওষুধের মাধ্যমেই গর্ভপাত করা যাবে।’
হংকংয়ের আইনপ্রণেতা কোওয়া কা-কি, যিনি একজন চিকিৎসক। এই আইনপ্রণেতা দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘নৈতিকভাবে এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এর মাধ্যমে আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষায় উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে চীনে লিঙ্গ বেছে নেওয়া ইস্যুতে অনেক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এখন মেয়ের চেয়ে ছেলের সংখ্যা বেশি। তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই কীভাবে আমরা বিষয়টা মেনে নিই?’
বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনে ছোট পরিবার ও ছেলেসন্তানের প্রতি আগ্রহের কারণে সেখানে বিপুলসংখ্যক গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। দেশটিতে এখন প্রতি ১০০ মেয়েশিশুর বিপরীতে ১১৫ ছেলেশিশু জন্ম নেয়। এ কারণে দেশটিতে লিঙ্গ পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও দীর্ঘদিনের এক সন্তান নীতি ২০১৬ সালে শিথিল করেছে চীন। এরপরও লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষা হয়েই চলেছে। কন্যাসন্তানের বাবা-মা দ্বিতীয়বার ছেলেসন্তানের জন্য চেষ্টা করেন। চীনে লিঙ্গ পরীক্ষা নিষিদ্ধ থাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক অর্থের বিনিময়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পাশের দেশ থেকে এ পরীক্ষা করিয়ে আনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবো এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে ওই চক্র সন্তানসম্ভবা নারীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে।
হংকংয়ে লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষা অবৈধ নয়। হংকংয়ের অনেক ক্লিনিক চোখ বন্ধ করে রক্তের এ পরীক্ষা করে দেয়। তারা জানতেও চায় না, নমুনা কোত্থেকে এল।
ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সম্প্রতি এএফপি প্রতিবেদক গ্রাহক সেজে যোগাযোগ করেন রক্তের নমুনা সংগ্রহকারী তিন দালালের সঙ্গে। নমুনা সংগ্রহের অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ দিয়ে দালালেরা পরীক্ষার জন্য ৫৮০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৯ হাজার টাকা) জমা দিতে বলেন। সন্তান ধারণের ছয় সপ্তাহের মধ্যে লিঙ্গ নির্ধারণের সম্ভাব্য ফল পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। চাহিদা অনুসারে অর্থ জমা দেওয়ার পর গ্রাহকের কাছে টেস্টিং কিট পাঠান দালাল। আরেকজন পরামর্শ দেন অ্যাপের মাধ্যমে একজন নার্সকে ভাড়া করতে, যিনি বাড়ি এসে অন্তঃসত্ত্বা নারীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন।
শেনজেন থেকে সেই রক্ত সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয় হংকংয়ে। কোথায় সেই নমুনা পাঠানো হচ্ছে, দালাল সরাসরি সেই ঠিকানা না দিলেও নিশ্চিত করেছেন যে এটা নিরাপদেই কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে যাবে।
অনেক সময় দালালেরা এসব রক্তের নমুনা হংকংয়ে সরাসরি মানুষের মাধ্যমেও পাচার করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেনজেন সীমান্তে ১২ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুর ব্যাকপ্যাকে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ১৪২টি রক্তের নমুনা পাওয়া যায়। গর্ভের শিশু ছেলে না মেয়ে, তা জানার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে শিশুর ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি আছে কি না, সে পরীক্ষাও করা হয়। আবার অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারী বৈধ পথে নিজেরাই পরীক্ষার জন্য চলে যান হংকংয়ে।
হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলের কউলুনের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্ত্রীর রক্ত পরীক্ষা করাতে নিয়ে এসেছেন ওয়াং নামের ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘আমার তিনটি মেয়ে রয়েছে। সত্যি বলতে, আমি এখন ছেলে চাই।’ তিনি জানান, পরীক্ষায় মেয়েসন্তান এলে চীনে তাঁরা ফিরে গিয়ে গর্ভপাত ঘটাবেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর গর্ভধারণের মাত্র ৫০ দিন হয়েছে। তাই ওষুধের মাধ্যমেই গর্ভপাত করা যাবে।’
হংকংয়ের আইনপ্রণেতা কোওয়া কা-কি, যিনি একজন চিকিৎসক। এই আইনপ্রণেতা দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘নৈতিকভাবে এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এর মাধ্যমে আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষায় উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে চীনে লিঙ্গ বেছে নেওয়া ইস্যুতে অনেক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এখন মেয়ের চেয়ে ছেলের সংখ্যা বেশি। তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই কীভাবে আমরা বিষয়টা মেনে নিই?’
No comments