ইরানে হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর, কী প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান?
ইরান-ইসরাইল
উত্তেজনা দীর্ঘদিনের। দিন দিন শত্রুতা যেন তীব্র হচ্ছে। ইসরাইলের
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানকে কোনোভাবেই পারমাণবিক
অস্ত্রধারী দেশ হতে দেয়া হবে না। সিরিয়ার গোলান মালভূমি শুধু নয়, সিরিয়ার
যে স্থানেই ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা দেশটির সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা দেবে
সেখানেই আঘাত হানা হবে। দেশটির যে স্থানেই ইরানের সেনাবাহিনী অবস্থান করুক
না কেন আমরা তাদের সে চেষ্টা সফল হতে দেব না।
অতীতের এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করেছেন ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান তামির পারদো। তিনি জানিয়েছেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ১৫ দিনের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর সব রকম প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে নেতানিয়াহু এ ধরনের কথা বলেছিলেন। ইরানের হামলার জন্য এ নির্দেশ কোনো সামরিক মহড়া ছিল না।
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তামির। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষণ-গণনার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেন, তখন ভাবতে হবে যে, তিনি আপনার সঙ্গে রসিকতা করছেন না। এসব বিষয়ের সাংঘাতিক অর্থ রয়েছে।
নেতানিয়াহুর ওই নির্দেশনা দেয়ার পরে কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে কিছু বলেননি পারদো। তবে শেষ পর্যন্ত ওই সময়ে ইসরাইল ইরানের ওপর হামলা চালায়নি। এ ধরনের মন্তব্যের জেরে ইসরাইলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
দামেস্ক সরকারের অনুরোধে সিরিয়ায় বিদেশি মদদপুষ্ট উগ্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশটির সেনাবাহিনীকে সামরিক পরামর্শ দিয়ে আসছে ইরান। কিন্তু সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযানের পর্যুদস্ত এসব সন্ত্রাসীর মদদ দিয়ে টিকিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে।
গত বছরের শেষের দিকে সিরিয়ায় তৎপর উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের পরাজয়ের পর সিরীয় বাহিনীর ওপর ইসরাইলি সেনাদের বিমান হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। দায়েশের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ায় অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মনোবলও ভেঙে পড়েছে।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সিনিয়র উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়েতি বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা বহাল রেখেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কিভাবে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহার করা যায়, শক্তিশালী করা যায়। সম্প্রতি পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেছে। ইউরোপীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই ইরানের সঙ্গে এ সমঝোতা বজায় রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।
আলী আকবর বেলায়েতি প্রস্তাব দেন, ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড (ইউএফ৬) উৎপাদন করা যেতে পারে। তিনি বলেন- আমরা ইউএফ৬ উৎপাদন করতে পারি যা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে সমৃদ্ধকরণের জন্য ইউরেনিয়ামকে ঘোরাতে পারে।
বেলায়েতির দ্বিতীয় প্রস্তাব হচ্ছে- জাহাজ ও সাবমেরিনে ব্যবহার উপযোগী শক্তিশালী পারমাণবিক ইঞ্জিন ব্যবহারে গতি আনা এবং স্থিতিশীল আইসোটপ উৎপাদন করা যায়। তিনি বলেন, পরমাণু ইঞ্জিনসমৃদ্ধ সাবমেরিন একটানা দুই বছর পর্যন্ত পানির নিচে অবস্থান করতে পারবে। কিন্তু অন্যান্য জ্বালানি চালিত সাবমেরিনকে কয়েক দিন পরপর পানির ওপরে ভেসে উঠতে হয়। পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন না করেই এসব পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব। আমরা স্থিতিশীল আইসোটপ তৈরি করে আমাদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে পারি যা পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগে না। তিনি পরমাণু তৎপরতায় কার্বন ফাইবার ব্যবহারের প্রস্তাবও তুলে ধরেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের হুমকি দেন। তার ওই ঘোষণার পর এরই মধ্যে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে ওয়াশিংটন। এদিকে ইউরোপীয় দেশগুলো আমেরিকাকে ছাড়াই এ সমঝোতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ইরানকে এ সমঝোতায় টিকে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যবস্থায় এ সমঝোতা বজায় রেখে ইরান কীভাবে নিজের পরমাণু কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে পারে তার একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরলেন আলী আকবর বেলায়েতি।
সিরিয়ায় ইসরাইল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সিরিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশের সেনা না থাকার যে ঘোষণা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছে, তা মানবে না ইরান। ইরানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাসেম আলী নেজাদ বলেছেন, দামেস্ক সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে যত দিন প্রয়োজন তত দিন পর্যন্ত ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা সিরিয়ায় অবস্থান করবে। সিরিয়ায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে ইরানের সামরিক উপদেষ্টাদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা অনেক গভীর এবং এটি অব্যাহত রাখতে হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সাংবাদিকদের সামনে জানিয়েছিলেন, সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্ত থেকে সিরিয়া ছাড়া অন্য দেশের সেনা সরিয়ে নিতে হবে। শুধুমাত্র সিরিয়ার বাহিনীই ইসরাইল ও জর্দানের সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত হওয়া উচিত, কারণ দক্ষিণ সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা সরকারি সেনাদের দ্বারা সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।
সাম্প্রতিক সময়ে, সিরিয়ার সরকার বিদ্রোহীদের দখলে রাখা এলাকা দিরায় যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ করার জন্য বিমান দিয়ে সতর্কতা লিফলেট বিতরণ করেছে। অন্যদিকে ইসরাইল রাশিয়াকে জানিয়েছে, সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের প্রধান সহযোগী ইরান সিরিয়াতে একটি স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি সহ্য করা হবে না।
অতীতের এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করেছেন ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান তামির পারদো। তিনি জানিয়েছেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ১৫ দিনের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর সব রকম প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে নেতানিয়াহু এ ধরনের কথা বলেছিলেন। ইরানের হামলার জন্য এ নির্দেশ কোনো সামরিক মহড়া ছিল না।
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তামির। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষণ-গণনার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেন, তখন ভাবতে হবে যে, তিনি আপনার সঙ্গে রসিকতা করছেন না। এসব বিষয়ের সাংঘাতিক অর্থ রয়েছে।
নেতানিয়াহুর ওই নির্দেশনা দেয়ার পরে কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে কিছু বলেননি পারদো। তবে শেষ পর্যন্ত ওই সময়ে ইসরাইল ইরানের ওপর হামলা চালায়নি। এ ধরনের মন্তব্যের জেরে ইসরাইলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
দামেস্ক সরকারের অনুরোধে সিরিয়ায় বিদেশি মদদপুষ্ট উগ্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশটির সেনাবাহিনীকে সামরিক পরামর্শ দিয়ে আসছে ইরান। কিন্তু সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযানের পর্যুদস্ত এসব সন্ত্রাসীর মদদ দিয়ে টিকিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে।
গত বছরের শেষের দিকে সিরিয়ায় তৎপর উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের পরাজয়ের পর সিরীয় বাহিনীর ওপর ইসরাইলি সেনাদের বিমান হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। দায়েশের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ায় অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মনোবলও ভেঙে পড়েছে।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সিনিয়র উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়েতি বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা বহাল রেখেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কিভাবে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহার করা যায়, শক্তিশালী করা যায়। সম্প্রতি পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেছে। ইউরোপীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই ইরানের সঙ্গে এ সমঝোতা বজায় রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।
আলী আকবর বেলায়েতি প্রস্তাব দেন, ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড (ইউএফ৬) উৎপাদন করা যেতে পারে। তিনি বলেন- আমরা ইউএফ৬ উৎপাদন করতে পারি যা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে সমৃদ্ধকরণের জন্য ইউরেনিয়ামকে ঘোরাতে পারে।
বেলায়েতির দ্বিতীয় প্রস্তাব হচ্ছে- জাহাজ ও সাবমেরিনে ব্যবহার উপযোগী শক্তিশালী পারমাণবিক ইঞ্জিন ব্যবহারে গতি আনা এবং স্থিতিশীল আইসোটপ উৎপাদন করা যায়। তিনি বলেন, পরমাণু ইঞ্জিনসমৃদ্ধ সাবমেরিন একটানা দুই বছর পর্যন্ত পানির নিচে অবস্থান করতে পারবে। কিন্তু অন্যান্য জ্বালানি চালিত সাবমেরিনকে কয়েক দিন পরপর পানির ওপরে ভেসে উঠতে হয়। পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন না করেই এসব পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব। আমরা স্থিতিশীল আইসোটপ তৈরি করে আমাদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে পারি যা পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগে না। তিনি পরমাণু তৎপরতায় কার্বন ফাইবার ব্যবহারের প্রস্তাবও তুলে ধরেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের হুমকি দেন। তার ওই ঘোষণার পর এরই মধ্যে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে ওয়াশিংটন। এদিকে ইউরোপীয় দেশগুলো আমেরিকাকে ছাড়াই এ সমঝোতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ইরানকে এ সমঝোতায় টিকে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যবস্থায় এ সমঝোতা বজায় রেখে ইরান কীভাবে নিজের পরমাণু কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে পারে তার একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরলেন আলী আকবর বেলায়েতি।
সিরিয়ায় ইসরাইল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সিরিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশের সেনা না থাকার যে ঘোষণা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছে, তা মানবে না ইরান। ইরানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাসেম আলী নেজাদ বলেছেন, দামেস্ক সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে যত দিন প্রয়োজন তত দিন পর্যন্ত ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা সিরিয়ায় অবস্থান করবে। সিরিয়ায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে ইরানের সামরিক উপদেষ্টাদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা অনেক গভীর এবং এটি অব্যাহত রাখতে হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সাংবাদিকদের সামনে জানিয়েছিলেন, সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্ত থেকে সিরিয়া ছাড়া অন্য দেশের সেনা সরিয়ে নিতে হবে। শুধুমাত্র সিরিয়ার বাহিনীই ইসরাইল ও জর্দানের সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত হওয়া উচিত, কারণ দক্ষিণ সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা সরকারি সেনাদের দ্বারা সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।
সাম্প্রতিক সময়ে, সিরিয়ার সরকার বিদ্রোহীদের দখলে রাখা এলাকা দিরায় যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ করার জন্য বিমান দিয়ে সতর্কতা লিফলেট বিতরণ করেছে। অন্যদিকে ইসরাইল রাশিয়াকে জানিয়েছে, সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের প্রধান সহযোগী ইরান সিরিয়াতে একটি স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি সহ্য করা হবে না।
No comments