ভারতের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য চাই -খন্দকার সিপার আহমদ by উজ্জ্বল মেহেদী
সিলেট
চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ।
পাশাপাশি তিনি সিপার এয়ারওয়েজ অ্যান্ড এয়ার সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী। সিলেট
অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং বাজেট প্রত্যাশা নিয়ে
প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন উজ্জ্বল মেহেদী, সিলেট।
প্রথম আলো: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট আসছে। আপনাদের প্রত্যাশা কী?
খন্দকার সিপার আহমদ: প্রথম কথা হলো, করের চাপ নির্দিষ্ট মানুষের ওপর না রেখে আওতা বাড়াতে হবে। বাজেট সামনে রেখে প্রতিবারই আমরা করের আওতা বাড়ানোর কথা বলি। কিন্তু তা হয় না। সিলেটে একটি কর ভবন স্থাপন করা জরুরি। ইতিমধ্যে কর আইনজীবীরা এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। সিলেটে কর আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে। তাই কর ভবন স্থাপনের দাবিটি বাস্তবায়ন করা দরকার। নিয়মিত করদাতাদের উৎসাহিত করতে আঞ্চলিক কার্যক্রম নেওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় পর্যায়ে নিয়মিত আয়করদাতাদের স্বীকৃতি দেওয়া দরকার। আবার পেনশন দিয়ে সম্মানিত করা হলে মানুষ কর দিতে আরও উদ্যোগী হতে পারে। সিলেটে গত ২০ এপ্রিল প্রাক্-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে আমাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং প্রত্যাশার বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।
প্রথম আলো: সিলেটে ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনারা কী কী সমস্যার মুখে পড়েন? সম্ভাবনা কী কী?
খন্দকার সিপার আহমদ: সিলেট প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ অঞ্চল। গ্যাস, পাথর ও বালু সিলেট অঞ্চল থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পর্যটন সম্ভাবনাও বিপুল। আমরা সিলেটে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বড় সম্ভাবনা দেখছি। ভারতের ‘সেভেন সিস্টারস’ নামে খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেট চেম্বার ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই সব রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের সুযোগ বাড়লে সিলেট অঞ্চলের শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে। সিলেট চেম্বার ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ১০ মে যৌথ উদ্যোগে ভারতের আসামের গুয়াহাটির ইয়াং ইন্ডিয়ান টিমের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই ভিডিও কনফারেন্সে দুই দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে উত্তর ভারতে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু পর্যটকদের ভ্রমণ কর বা ট্রাভেল ট্যাক্স সিলেট শহরে গিয়ে দিতে হয়। সেটি একটি বড় সমস্যা। তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে এনবিআরের চেয়ারম্যান আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
প্রথম আলো: সিলেটে বড় শিল্পাঞ্চল না হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা কী কী?
খন্দকার সিপার আহমদ: প্রতিবন্ধকতা একটাই। সেটি হচ্ছে উদ্যোগের অভাব। সিলেটের বহু মানুষ বিদেশে থাকে। তরুণদের মধ্যে বিদেশমুখিতা প্রবল। প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে দরকার বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সেদিক দিয়ে এখনো আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এ ছাড়া সিলেটে এখন গ্যাস না পাওয়াও একটা বড় সমস্যা। সিলেট থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। নিজেদের গ্যাস নিজের এলাকায় না পাওয়াটা পীড়াদায়ক। শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করতে সবার আগে গ্যাস দরকার। আমরা চাই গ্যাসের সুবিধা সিলেটের সবাইকে দেওয়া হোক। এ ছাড়া পাথর ও বালু আহরণের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত প্রশাসনিক উদ্যোগ দরকার।
প্রথম আলো: ব্যবসা-বাণিজ্যে সিলেটের তরুণেরা এগিয়ে আসছেন না কেন?
খন্দকার সিপার আহমদ: সিলেটের তরুণেরা ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে আসছেন না, এটা সত্য। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সিলেট এখনো এ দিক দিয়ে পিছিয়ে। এর কারণ বেশ পুরোনো। কারণটি হলো বিদেশ চলে যাওয়ার প্রবণতা। আমরা সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি গবেষণা করেছি। এতে তরুণদের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিমুখতার চিত্র উঠে এসেছে। এ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করতে হবে। তবে আশার কথা যে এখন তরুণেরা ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে আসছেন। বিশেষ করে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় তরুণ উদ্যোগ বেশি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আলো: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে তথ্যপ্রযুক্তির হাইটেক পার্ক হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসার প্রসারে এটি কী রকম ভূমিকা রাখবে?
খন্দকার সিপার আহমদ: এটি সরকারের একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। হাইটেক পার্ক হলে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসার প্রসার হবে। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায় বিনিয়োগে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সম্প্রতি সিলেট চেম্বারে এক মতবিনিময় সভায় উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, হাইটেক পার্কে ইলেকট্রিক্যাল-শিল্পে ৫০ হাজার লোকের নতুন করে কর্মসংস্থান হবে। এর মধ্যে দিয়েই বোঝা যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন এক সম্ভাবনা আমাদের সামনে। সিলেট চেম্বার এই উদ্যোগের সঙ্গে একাত্ম। আমি যুক্তরাজ্যে এ নিয়ে একটি সেমিনার করেছি এবং প্রবাসীদের হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছি।
প্রথম আলো: সিলেট চেম্বার আয়োজিত প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানে ‘চাকরি মেলা’ ও পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে ‘ক্লিন সিলেট’ প্রশংসিত হয়েছে। এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
খন্দকার সিপার আহমদ: প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানে চাকরি মেলা করা হয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায়। তাতে আমরা দেখেছি, প্রতিবন্ধীরা সুযোগ পেলে সবচেয়ে বেশি কাজ করেন। তাই কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধীরা ভবিষ্যতে সুযোগ যাবেন, এটি তাঁদের কাজের স্বীকৃতি। এ জন্য এই ধারা স্বাভাবিকভাবে অব্যাহত থাকবে। আর ‘ক্লিন সিলেট’ ছিল একটি সামাজিক উদ্যোগ। সুন্দর শহর গড়ার ক্ষেত্রে প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এটি করা হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে অবশ্যই প্রশাসনিক সমর্থন দরকার। সিলেট চেম্বারের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এই ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আমি মনে করি।
প্রথম আলো: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট আসছে। আপনাদের প্রত্যাশা কী?
খন্দকার সিপার আহমদ: প্রথম কথা হলো, করের চাপ নির্দিষ্ট মানুষের ওপর না রেখে আওতা বাড়াতে হবে। বাজেট সামনে রেখে প্রতিবারই আমরা করের আওতা বাড়ানোর কথা বলি। কিন্তু তা হয় না। সিলেটে একটি কর ভবন স্থাপন করা জরুরি। ইতিমধ্যে কর আইনজীবীরা এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। সিলেটে কর আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে। তাই কর ভবন স্থাপনের দাবিটি বাস্তবায়ন করা দরকার। নিয়মিত করদাতাদের উৎসাহিত করতে আঞ্চলিক কার্যক্রম নেওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় পর্যায়ে নিয়মিত আয়করদাতাদের স্বীকৃতি দেওয়া দরকার। আবার পেনশন দিয়ে সম্মানিত করা হলে মানুষ কর দিতে আরও উদ্যোগী হতে পারে। সিলেটে গত ২০ এপ্রিল প্রাক্-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে আমাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং প্রত্যাশার বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।
প্রথম আলো: সিলেটে ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনারা কী কী সমস্যার মুখে পড়েন? সম্ভাবনা কী কী?
খন্দকার সিপার আহমদ: সিলেট প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ অঞ্চল। গ্যাস, পাথর ও বালু সিলেট অঞ্চল থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পর্যটন সম্ভাবনাও বিপুল। আমরা সিলেটে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বড় সম্ভাবনা দেখছি। ভারতের ‘সেভেন সিস্টারস’ নামে খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেট চেম্বার ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই সব রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের সুযোগ বাড়লে সিলেট অঞ্চলের শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে। সিলেট চেম্বার ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ১০ মে যৌথ উদ্যোগে ভারতের আসামের গুয়াহাটির ইয়াং ইন্ডিয়ান টিমের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই ভিডিও কনফারেন্সে দুই দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে উত্তর ভারতে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু পর্যটকদের ভ্রমণ কর বা ট্রাভেল ট্যাক্স সিলেট শহরে গিয়ে দিতে হয়। সেটি একটি বড় সমস্যা। তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে এনবিআরের চেয়ারম্যান আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
প্রথম আলো: সিলেটে বড় শিল্পাঞ্চল না হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা কী কী?
খন্দকার সিপার আহমদ: প্রতিবন্ধকতা একটাই। সেটি হচ্ছে উদ্যোগের অভাব। সিলেটের বহু মানুষ বিদেশে থাকে। তরুণদের মধ্যে বিদেশমুখিতা প্রবল। প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে দরকার বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সেদিক দিয়ে এখনো আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এ ছাড়া সিলেটে এখন গ্যাস না পাওয়াও একটা বড় সমস্যা। সিলেট থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। নিজেদের গ্যাস নিজের এলাকায় না পাওয়াটা পীড়াদায়ক। শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করতে সবার আগে গ্যাস দরকার। আমরা চাই গ্যাসের সুবিধা সিলেটের সবাইকে দেওয়া হোক। এ ছাড়া পাথর ও বালু আহরণের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত প্রশাসনিক উদ্যোগ দরকার।
প্রথম আলো: ব্যবসা-বাণিজ্যে সিলেটের তরুণেরা এগিয়ে আসছেন না কেন?
খন্দকার সিপার আহমদ: সিলেটের তরুণেরা ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে আসছেন না, এটা সত্য। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সিলেট এখনো এ দিক দিয়ে পিছিয়ে। এর কারণ বেশ পুরোনো। কারণটি হলো বিদেশ চলে যাওয়ার প্রবণতা। আমরা সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি গবেষণা করেছি। এতে তরুণদের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিমুখতার চিত্র উঠে এসেছে। এ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করতে হবে। তবে আশার কথা যে এখন তরুণেরা ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে আসছেন। বিশেষ করে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় তরুণ উদ্যোগ বেশি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আলো: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে তথ্যপ্রযুক্তির হাইটেক পার্ক হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসার প্রসারে এটি কী রকম ভূমিকা রাখবে?
খন্দকার সিপার আহমদ: এটি সরকারের একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। হাইটেক পার্ক হলে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসার প্রসার হবে। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায় বিনিয়োগে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সম্প্রতি সিলেট চেম্বারে এক মতবিনিময় সভায় উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, হাইটেক পার্কে ইলেকট্রিক্যাল-শিল্পে ৫০ হাজার লোকের নতুন করে কর্মসংস্থান হবে। এর মধ্যে দিয়েই বোঝা যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন এক সম্ভাবনা আমাদের সামনে। সিলেট চেম্বার এই উদ্যোগের সঙ্গে একাত্ম। আমি যুক্তরাজ্যে এ নিয়ে একটি সেমিনার করেছি এবং প্রবাসীদের হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছি।
প্রথম আলো: সিলেট চেম্বার আয়োজিত প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানে ‘চাকরি মেলা’ ও পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে ‘ক্লিন সিলেট’ প্রশংসিত হয়েছে। এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
খন্দকার সিপার আহমদ: প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানে চাকরি মেলা করা হয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায়। তাতে আমরা দেখেছি, প্রতিবন্ধীরা সুযোগ পেলে সবচেয়ে বেশি কাজ করেন। তাই কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধীরা ভবিষ্যতে সুযোগ যাবেন, এটি তাঁদের কাজের স্বীকৃতি। এ জন্য এই ধারা স্বাভাবিকভাবে অব্যাহত থাকবে। আর ‘ক্লিন সিলেট’ ছিল একটি সামাজিক উদ্যোগ। সুন্দর শহর গড়ার ক্ষেত্রে প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এটি করা হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে অবশ্যই প্রশাসনিক সমর্থন দরকার। সিলেট চেম্বারের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এই ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আমি মনে করি।
No comments