বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবনে বস্তিঘর: থাকছেন ভ্যানচালক মালি, সরকারি কর্মচারী by জিয়া চৌধুরী
জাতীয়
সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার সরকারি বাসভবনে থাকছে ভ্যানচালক, মালি, শ্রমজীবী
থেকে শুরু করে গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারীরা। রীতিমতো বস্তিঘর তৈরি করে
দেয়া হয়েছে ভাড়া। তাই ২৯ নম্বর মিন্টো রোড এলাকায় বিশাল বাড়িটি এখন অনেকটা
বস্তিতে পরিণত হয়েছে। মিন্টো রোড থেকে বিরোধী দলীয় নেতার বাসভবন দেখা গেলেও
বাড়ির পেছনে অন্তত দশটি পরিবার বসবাস করছে। যেখানে জনা চল্লিশেক মানুষ
বসবাস করে বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন বাসিন্দাদের কয়েকজন। বিরোধী দলীয়
নেতার বাসভবনের বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসসংযোগ ব্যবহার করে দিব্যি বসবাস করছেন
তারা। বাড়ির সম্পদ ব্যবহার করছেন নিজেদের মতো করে। গত প্রায় দুই দশক ধরে
বাড়িটিতে বিরোধী দলীয় নেতা না থাকায় তা দখল করে নিয়েছে এসব বাসিন্দারা। এতে
করে শ্রী হারাচ্ছে সরকারি বাড়িটি। এর রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে গণপূর্ত
বিভাগ থেকে একজন মালী ও তত্ত্বাবধায়ক থাকলেও আদতে তারা কোন কাজ করছে না।
উল্টো শ্রমজীবী কিছু মানুষকে ঘর ভাড়া দিয়ে সরকারি বাসভবনটির সৌন্দর্য্য
নষ্ট করছে গণপূর্ত বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
সরজমিন মিন্টো রোডের সরকারি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পার হয়ে গোল চত্বরের ফোয়ারা শেষ হয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে যাওয়ার সড়কটি মূলত মিন্টো রোড নামে পরিচিত। এই সড়কের শুরুর দিকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবন ও আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাসভবন পার হলে দক্ষিণ পাশে ২৯ নম্বর বাড়িটি। দূর থেকে শুধু লাল-সাদা রংয়ের দোতলা বাড়ি দেখা যায়। সামনে বিশাল খালি জায়গা, আছে সুরক্ষিত সীমানাপ্রাচীরও। বাড়িটির নীরব ও ভূতুড়ে পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটি ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী, রাষ্ট্রের পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান ব্যক্তি জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার বাসভবন। বাড়ির মূলফটকে কোন নামফলকও নেই, শুধু দেয়ালে হাতে লেখা ২৯ মিন্টো রোড শব্দটি রয়েছে। মূলফটক ধরে সামনে এগোতে কোন বাধার মুখে পড়তে হবে না কাউকে। অনায়াসে খোলা থাকা গেট দিয়ে ভেতরে চলে যাওয়া সম্ভব।
ফটকের ডান পাশে নিরাপত্তীরক্ষীর চৌকিতেও কারো উপস্থিতি নেই বছর বছর ধরে। নিরাপত্তা তল্লাশি কর্মীদের কক্ষটি এখন যেন ময়লার ভাগাড়। মূল ফটক ধরে প্রায় দুইশ ফুট পিচের রাস্তা পার হলে লাল-সাদা দোতলা ছিমছাম বাড়িটিই বিরোধী দলীয় নেতার সরকারি বাসভবন। বাড়ির সামনের বিশাল খোলা জায়গায় ঘাস বড় হয়ে ঝোপের মত হয়ে গেছে। অনেকদিন এগুলো কাটা হয় না বলে জানান এখানকার একজন বাসিন্দা। বাড়িটির সামনের এলাকায় কথা হয় পঞ্চাশোর্ধ্ব পারুল আক্তার নামে এক নারীর সাথে। নিজেকে গণপূর্ত বিভাগের কর্মী পরিচয় দিলেও পরে জানা যায় তিনি রমনা পার্কের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ২০০৭ সাল থেকে পরিবার নিয়ে এখানে থাকছেন। পারুল আক্তার মানবজমিনকে বলেন, ফখরুদ্দীন সরকারের (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আমল থেইকা আমরা এহানে থাকি। তয়, গণপূর্ত ছাড়াও এহন অনেকেই এহানে থাকে।
সরকারি বাসভবনটিতে কিভাবে থাকছেন জানতে চাইলে পারুল আক্তার জানান, গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন কর্মচারী ভবনটির পেছনের দিকে টিনশেড পাকা ভবনে দেড় দশক ধরে থাকছেন। এসব কর্মচারীদের ম্যানেজ করে তিনিও পরিবার নিয়ে প্রায় ১২ বছর ধরে মিন্টো রোডের বাড়িটিতে থাকছেন। দোতলা বাড়িটির ঠিক পেছনে লাগোয়া টিনশেড ঘর তুলে থাকছে বেশ কয়েকটি পরিবার। লাল-সাদা বাড়িটি ঘেঁষেই একেবারে পেছনের দিকে বস্তির মতো টিনের ঘরগুলো তোলা হয়েছে। কয়েক একরজুড়ে সরকারি বাসভবনটিতে এত জায়গা থাকতে ঠিক পেছনে কেন ঘর তোলা হয়েছে এমন প্রশ্নে এক বাসিন্দা বলেন, এখান থেইকা গ্যাস, পানির লাইন নেয়া সোজা। একেবারে বাড়িটির সাথেই। আবার সামনের দিকে কেউ রাস্তা দিয়া গেলেও বুঝতে পারবো না যে এখানে টিনের ঘর আছে। এরকম টিনের ঘরে পাঁচ-ছয়টি পরিবার থাকে বলেও জানান তিনি। দোতলা বাড়িটির পেছনে জামগাছের নিচে সবসময় একটি ভ্যানগাড়ি থাকে। সেলিম নামে পরিচয় দেয়া একজন জানান, টিনের ঘরগুলোতে একজন ভ্যানচালকও থাকেন। তিনি মূলত রাতে কাওরান বাজার এলাকায় মাল আনা নেয়া-করেন। এজন্য দিনের বেলা বাসায় ঘুমান, তখন ভ্যানগাড়িটি টিনশেড ঘরগুলোর সামনেই থাকে। টিনশেড ঘরগুলোতে থাকেন পঁচিশ বছর বয়সী এক যুবক।
তিনি জানান, গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারীরা পেছনের দিকে প্রথমে থাকা শুরু করেন। পরে ধীরে ধীরে, শ্রমজীবী কিছু মানুষকে ঘর তোলার কাজে সহায়তাও করেন তারা। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এখানে থাকতে গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারীদের ঘরপ্রতি কয়েক হাজার টাকা করে দিতে হয়। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রমিজুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন ক্লিনার, সুইপার, দারোয়ান ও মালী সবমিলিয়ে চারজন থাকার কথা। গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন কর্মচারীসহ মোট ১৪জন সেখানে থাকছেন বলে স্বীকার করেন এই কর্মকর্তা। তবে বলেন, কোন শ্রমজীবী ও ভ্যানচালক সেখানে থাকছেন কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই। মাঝেমধ্যে টিনের ঘর ঝড়ে ভেঙে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আবার নতুন করে ঘর মেরামত করতে হয়। সরকারি বাসভবনে যারা থাকছেন এদের বেশিরভাগ নানাজনের সুপারিশ নিয়ে অবৈধভাবে থাকছেন বলেও জানান রমিজুর রহমান। এদিকে, গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সরকারি বাসভবনে উঠেন। পরে ১৯৯৬ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সরকারি বাসভবনে থাকেন। ২০০১ সালের পর জাতীয় সংসদের আর কোন বিরোধী দলীয় নেতা বাড়িটিতে থাকেননি।
সবশেষ ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদের নেতা হওয়ার পর সরকারি বাসভবনে থাকতে আগ্রহ দেখিয়ে গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দেন রওশন এরশাদ। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার চিঠি পাওয়ার পর বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় গণপূর্ত বিভাগ। তবে, শেষমেষ রওশন এরশাদও দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদে সরকারি বাসভবনে উঠেননি। একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী বাড়িটি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত সরকারি বাসভবনে উঠতে তার পক্ষ থেকেও কোন আগ্রহ দেখানো হয়নি। গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িটির বেশিরভাগ আসবাবপত্র এর মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। সংস্কার কাজ করে বাড়িটি বসবাস উপযোগী করতেও বেশ সময় লাগবে।
সরজমিন মিন্টো রোডের সরকারি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পার হয়ে গোল চত্বরের ফোয়ারা শেষ হয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে যাওয়ার সড়কটি মূলত মিন্টো রোড নামে পরিচিত। এই সড়কের শুরুর দিকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবন ও আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাসভবন পার হলে দক্ষিণ পাশে ২৯ নম্বর বাড়িটি। দূর থেকে শুধু লাল-সাদা রংয়ের দোতলা বাড়ি দেখা যায়। সামনে বিশাল খালি জায়গা, আছে সুরক্ষিত সীমানাপ্রাচীরও। বাড়িটির নীরব ও ভূতুড়ে পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটি ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী, রাষ্ট্রের পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান ব্যক্তি জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার বাসভবন। বাড়ির মূলফটকে কোন নামফলকও নেই, শুধু দেয়ালে হাতে লেখা ২৯ মিন্টো রোড শব্দটি রয়েছে। মূলফটক ধরে সামনে এগোতে কোন বাধার মুখে পড়তে হবে না কাউকে। অনায়াসে খোলা থাকা গেট দিয়ে ভেতরে চলে যাওয়া সম্ভব।
ফটকের ডান পাশে নিরাপত্তীরক্ষীর চৌকিতেও কারো উপস্থিতি নেই বছর বছর ধরে। নিরাপত্তা তল্লাশি কর্মীদের কক্ষটি এখন যেন ময়লার ভাগাড়। মূল ফটক ধরে প্রায় দুইশ ফুট পিচের রাস্তা পার হলে লাল-সাদা দোতলা ছিমছাম বাড়িটিই বিরোধী দলীয় নেতার সরকারি বাসভবন। বাড়ির সামনের বিশাল খোলা জায়গায় ঘাস বড় হয়ে ঝোপের মত হয়ে গেছে। অনেকদিন এগুলো কাটা হয় না বলে জানান এখানকার একজন বাসিন্দা। বাড়িটির সামনের এলাকায় কথা হয় পঞ্চাশোর্ধ্ব পারুল আক্তার নামে এক নারীর সাথে। নিজেকে গণপূর্ত বিভাগের কর্মী পরিচয় দিলেও পরে জানা যায় তিনি রমনা পার্কের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ২০০৭ সাল থেকে পরিবার নিয়ে এখানে থাকছেন। পারুল আক্তার মানবজমিনকে বলেন, ফখরুদ্দীন সরকারের (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আমল থেইকা আমরা এহানে থাকি। তয়, গণপূর্ত ছাড়াও এহন অনেকেই এহানে থাকে।
সরকারি বাসভবনটিতে কিভাবে থাকছেন জানতে চাইলে পারুল আক্তার জানান, গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন কর্মচারী ভবনটির পেছনের দিকে টিনশেড পাকা ভবনে দেড় দশক ধরে থাকছেন। এসব কর্মচারীদের ম্যানেজ করে তিনিও পরিবার নিয়ে প্রায় ১২ বছর ধরে মিন্টো রোডের বাড়িটিতে থাকছেন। দোতলা বাড়িটির ঠিক পেছনে লাগোয়া টিনশেড ঘর তুলে থাকছে বেশ কয়েকটি পরিবার। লাল-সাদা বাড়িটি ঘেঁষেই একেবারে পেছনের দিকে বস্তির মতো টিনের ঘরগুলো তোলা হয়েছে। কয়েক একরজুড়ে সরকারি বাসভবনটিতে এত জায়গা থাকতে ঠিক পেছনে কেন ঘর তোলা হয়েছে এমন প্রশ্নে এক বাসিন্দা বলেন, এখান থেইকা গ্যাস, পানির লাইন নেয়া সোজা। একেবারে বাড়িটির সাথেই। আবার সামনের দিকে কেউ রাস্তা দিয়া গেলেও বুঝতে পারবো না যে এখানে টিনের ঘর আছে। এরকম টিনের ঘরে পাঁচ-ছয়টি পরিবার থাকে বলেও জানান তিনি। দোতলা বাড়িটির পেছনে জামগাছের নিচে সবসময় একটি ভ্যানগাড়ি থাকে। সেলিম নামে পরিচয় দেয়া একজন জানান, টিনের ঘরগুলোতে একজন ভ্যানচালকও থাকেন। তিনি মূলত রাতে কাওরান বাজার এলাকায় মাল আনা নেয়া-করেন। এজন্য দিনের বেলা বাসায় ঘুমান, তখন ভ্যানগাড়িটি টিনশেড ঘরগুলোর সামনেই থাকে। টিনশেড ঘরগুলোতে থাকেন পঁচিশ বছর বয়সী এক যুবক।
তিনি জানান, গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারীরা পেছনের দিকে প্রথমে থাকা শুরু করেন। পরে ধীরে ধীরে, শ্রমজীবী কিছু মানুষকে ঘর তোলার কাজে সহায়তাও করেন তারা। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এখানে থাকতে গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারীদের ঘরপ্রতি কয়েক হাজার টাকা করে দিতে হয়। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রমিজুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন ক্লিনার, সুইপার, দারোয়ান ও মালী সবমিলিয়ে চারজন থাকার কথা। গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন কর্মচারীসহ মোট ১৪জন সেখানে থাকছেন বলে স্বীকার করেন এই কর্মকর্তা। তবে বলেন, কোন শ্রমজীবী ও ভ্যানচালক সেখানে থাকছেন কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই। মাঝেমধ্যে টিনের ঘর ঝড়ে ভেঙে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আবার নতুন করে ঘর মেরামত করতে হয়। সরকারি বাসভবনে যারা থাকছেন এদের বেশিরভাগ নানাজনের সুপারিশ নিয়ে অবৈধভাবে থাকছেন বলেও জানান রমিজুর রহমান। এদিকে, গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সরকারি বাসভবনে উঠেন। পরে ১৯৯৬ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সরকারি বাসভবনে থাকেন। ২০০১ সালের পর জাতীয় সংসদের আর কোন বিরোধী দলীয় নেতা বাড়িটিতে থাকেননি।
সবশেষ ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদের নেতা হওয়ার পর সরকারি বাসভবনে থাকতে আগ্রহ দেখিয়ে গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দেন রওশন এরশাদ। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার চিঠি পাওয়ার পর বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় গণপূর্ত বিভাগ। তবে, শেষমেষ রওশন এরশাদও দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদে সরকারি বাসভবনে উঠেননি। একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী বাড়িটি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত সরকারি বাসভবনে উঠতে তার পক্ষ থেকেও কোন আগ্রহ দেখানো হয়নি। গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িটির বেশিরভাগ আসবাবপত্র এর মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। সংস্কার কাজ করে বাড়িটি বসবাস উপযোগী করতেও বেশ সময় লাগবে।
No comments