নতুন বন্ডগার্লের প্রেমের নেশা
আসছেন
নতুন বন্ডগার্ল। যৌন আবেদনময়ী যেসব বন্ডগার্ল এ পর্যন্ত এসেছেন তার মধ্যে
সবচেয়ে আবেদনময়ী যারা তার মধ্যে তিনি হতে চলেছেন অন্যতম। পান্নার মতো চোখ।
স্বর্ণালী চুল। আর মসৃণ ত্বকের এই অভিনেত্রীর নাম আনা ডে আরমাস (৩১)।
কিউবার এই সুন্দরী ০০৭ সিরিজের বন্ডগার্লে ‘আগুন’ ধরাতে আসছেন। তাকে নিয়ে
পশ্চিমা মিডিয়ায় ব্যাপক মাতামাতি। এর কারণ, সহ-অভিনেতা যিনিই হোন না কেন,
তিনি তারই প্রেমে পড়ে যান।
এটা নাকি তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ১৬ বছর বয়স থেকেই তিনি ছবিতে অভিনয় করে আসছেন। এখন ৩১ বছর বয়সী টগবগে যুবতী। নিজেই স্বীকার করেছেন, আমি এরই মধ্যে অনেক মানুষের প্রেমে পড়েছি। অনেক ছবিতে তিনি রগরগে দৃশ্যে একেবারে খোলামেলা অভিনয় করেছেন। বিছানায় দেখা গেছে তাকে নগ্ন অবস্থায়। এখানে উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে হলিউডে তিনি নিজের অন্যরকম এক জায়গা করে নিয়েছেন। সবাই এখন এক নামে তাকে চেনেন। এর কারণ, তিনি ক্যামেরার সামনে রগরগে দৃশ্যে অভিনয় করেন । সহ-অভিনেতার সামনে একেবারে নগ্ন হয়ে যান। কোনো ভনিতা নেই এতে তার। ২০১৭ সালে হিট ছবি ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’ ছবিতে, ২০১ সালে ‘ব্লাইন্ড অ্যালে’ এবং ২০০৯ সালের ‘সেক্স, পার্টি অ্যান্ড লাইজ’ ছবিতে নগ্ন হয়ে অভিনয় করেছেন।
এ ছাড়া ২০১৫ সালে যৌন উত্তেজক হরর থ্রিলার ছবি ‘নক নক’-এ তিনি অভিনয় করেছেন অভিনেতা কেনু রিভসের সঙ্গে। তাতে দুজন যুবতী একজন বিবাহিত পুরুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। তারা ওই পুরুষের বাসা পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পথ করে নেয়। তাতে ওই দুই যুবতী ও পুরুষের ভূমিকায় অভিনয়কারী কেনু রিভজ তিনজনে মিলে যে দৃশ্যে অভিনয় করেন তা এতটাই যৌন উত্তেজনাপূর্ণ ও খোলামেলা যে, ওই দৃশ্যগুলো পর্নো সাইটগুলো লুফে নেয়।
সেই আনা এখন ৭৬তম বন্ড গার্ল হতে যাচ্ছেন। তিনি কিউবার রাজধানী হাভানায় বড় হয়েছেন। শিশু থাকা অবস্থায় তিনি কোনো বন্ড সিরিজের ছবি দেখেননি। আর তো বন্ডগার্ল হওয়ার স্বপ্ন পরের কথা। হাভানায় ন্যাশনাল থিয়েটার স্কুলে চার বছর পড়াশোনা করেছেন। তারপর ১২ বছর বয়সে তিনি অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিউবা তখন শাসন করেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। তার দাদা-দাদি অথবা নানা-নানী স্প্যানিশ। সেই সূত্রে তিনি স্প্যানিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন ১৮ বছর বয়সে। তখন তার সঞ্চয় ২০০ ইউরো। তাই নিয়ে চলে যেতে চান মাদ্রিদে। আনা বলেছেন, আমার মনে হয়েছিল আমার আরো অনেক কিছু দরকার। সব সময় আমি খুব উচ্চাভিলাষী। আমি জানতাম আমার আরো কিছু চাই। অবশ্যই আমি জানতাম ওই ২০০ ইউরো কিছুই না। তবে কিউবায় এই অর্থ অনেক। অভিনেত্রী হিসেবে এই অর্থ সঞ্চয় করেছিলাম।
আনা বলেন, মা-বাবাকে বলেছিলাম যখন এই অর্থ ফুরিয়ে যাবে তখন দেশে ফিরে আসবো। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই অর্থ ফুরিয়ে গেল। আমি আর ফিরে যাইনি। আমি এ যাবত যত সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার মধ্যে এটা ছিল সবচেয়ে উত্তম।
স্পেনে টিভি থ্রিলার সিরিজ ‘এল ইন্টারনাদো’তে রোল পেয়ে যান তিনি। এর বদৌলতে হয়ে ওঠেন বিশাল মাপের একজন সেলিব্রেটি। ২০০৬ সালে মাদ্রিদ পৌঁছানোর পর এক সপ্তাহ অডিশন দিয়ে তিনি টিকেছিলেন এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। ব্যস, তার ভাগ্যের দরজা খুলে যায়। হাভানায় তিনি যে অর্থের কথা ভাবতেও পারতেন না, তার চেয়ে বেশি উপার্জন করতে থাকেন।
আনার পিতা-মাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একটি উদার পরিবার থেকে এসেছি। আমরা বিলাসিতার মধ্যে বাস করতাম না। দিনে যতটা খাবার প্রয়োজন হতো তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতাম। কোনো কোনো গ্রীষ্মে সমুদ্র সৈকতে যেতাম। বাবা-মার সততার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। আমরা কি করতে পারি, কি করতে পারি না, এ বিষয়ে সব সময় ছিলাম সচেতন। ভাইকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় খেলতে যেতাম। আমাদের কোনো ফোন বা ইন্টারনেট এমনকি ডিভিডি প্লেয়ার ছিল না। কিছুই ছিল না।
আনা প্রথম জেমস বন্ড ছবি দেখেন। তিনি বলেন, আমি কয়েক বছরে বন্ড সিরিজের ছবির ভক্ত হয়ে উঠেছি। ‘স্কাইফল’ নিয়ে আমার বিশেষ স্মৃতি আছে। এটা ছিল বড় পর্দায় আমার দেখা প্রথম বন্ড ছবি। মাদ্রিদে এর প্রিমিয়ার হয়েছিল।
ততক্ষণে তিনি স্পেনের অভিনেতা ও মডেল মার্ক ক্লোটেটের (৩৯) প্রেমে পড়ে গেছেন। পরে তারা ২০১১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে মার্ক-এর বন্ধুরা আনা’কে জ্বলন্ত মেজাজি বলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, তিনি কখনো কখনো অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন। দু’বছর পরে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৪ সালে ইংরেজি না জানা সত্ত্বেও আনা চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যানজেলসে।
তিনি বলেন, আমি খুব সাদামাটা একটি পরিকল্পনা নিয়ে লস অ্যানজেলসে পা রাখি। আমার সঙ্গে ছিল একটি সুটকেস। আর ছিল একটি ধারণা। সেটা হলো, আমাকে সেখানে যদি থাকতে হয় থাকবো। যদি চলে যেতে হয় তাহলে চলে যাবো।
এখন লস অ্যানজেলসের ভেনিস বিচে নিজের কুকুর এলভিসকে সঙ্গে নিয়ে বসবাস করেন আনা। তিনি বলেন, এই পৃথিবীতে আমি হলাম সবচেয়ে অলস মানুষ। আমি শুধু ওয়াইন পান করতে পছন্দ করি। ছবি দেখতে ভালো লাগে। আমি জিমে যাই। কারণ, জানি আমার জন্য কেউ একজন অপেক্ষা করছে।
সামনেই আসছে থ্রিলার ছবি ‘নাইভস আউট’। এটি মার্কিন একটি অপরাধ বিষয়ক ছবি। এতে আনার সঙ্গে অভিনয় করেছেন ডানিয়েল ক্রেইগ। এই কাজের সুবাদে দুজন দুজনকে জেনেছেন। গত সপ্তাহে তারা শিরোনামহীন ২৫তম একটি বন্ড ছবির সূচনা উপলক্ষে একসঙ্গে গিয়েছিলেন জ্যামাইকায়।
এটা নাকি তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ১৬ বছর বয়স থেকেই তিনি ছবিতে অভিনয় করে আসছেন। এখন ৩১ বছর বয়সী টগবগে যুবতী। নিজেই স্বীকার করেছেন, আমি এরই মধ্যে অনেক মানুষের প্রেমে পড়েছি। অনেক ছবিতে তিনি রগরগে দৃশ্যে একেবারে খোলামেলা অভিনয় করেছেন। বিছানায় দেখা গেছে তাকে নগ্ন অবস্থায়। এখানে উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে হলিউডে তিনি নিজের অন্যরকম এক জায়গা করে নিয়েছেন। সবাই এখন এক নামে তাকে চেনেন। এর কারণ, তিনি ক্যামেরার সামনে রগরগে দৃশ্যে অভিনয় করেন । সহ-অভিনেতার সামনে একেবারে নগ্ন হয়ে যান। কোনো ভনিতা নেই এতে তার। ২০১৭ সালে হিট ছবি ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’ ছবিতে, ২০১ সালে ‘ব্লাইন্ড অ্যালে’ এবং ২০০৯ সালের ‘সেক্স, পার্টি অ্যান্ড লাইজ’ ছবিতে নগ্ন হয়ে অভিনয় করেছেন।
এ ছাড়া ২০১৫ সালে যৌন উত্তেজক হরর থ্রিলার ছবি ‘নক নক’-এ তিনি অভিনয় করেছেন অভিনেতা কেনু রিভসের সঙ্গে। তাতে দুজন যুবতী একজন বিবাহিত পুরুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। তারা ওই পুরুষের বাসা পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পথ করে নেয়। তাতে ওই দুই যুবতী ও পুরুষের ভূমিকায় অভিনয়কারী কেনু রিভজ তিনজনে মিলে যে দৃশ্যে অভিনয় করেন তা এতটাই যৌন উত্তেজনাপূর্ণ ও খোলামেলা যে, ওই দৃশ্যগুলো পর্নো সাইটগুলো লুফে নেয়।
সেই আনা এখন ৭৬তম বন্ড গার্ল হতে যাচ্ছেন। তিনি কিউবার রাজধানী হাভানায় বড় হয়েছেন। শিশু থাকা অবস্থায় তিনি কোনো বন্ড সিরিজের ছবি দেখেননি। আর তো বন্ডগার্ল হওয়ার স্বপ্ন পরের কথা। হাভানায় ন্যাশনাল থিয়েটার স্কুলে চার বছর পড়াশোনা করেছেন। তারপর ১২ বছর বয়সে তিনি অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিউবা তখন শাসন করেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। তার দাদা-দাদি অথবা নানা-নানী স্প্যানিশ। সেই সূত্রে তিনি স্প্যানিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন ১৮ বছর বয়সে। তখন তার সঞ্চয় ২০০ ইউরো। তাই নিয়ে চলে যেতে চান মাদ্রিদে। আনা বলেছেন, আমার মনে হয়েছিল আমার আরো অনেক কিছু দরকার। সব সময় আমি খুব উচ্চাভিলাষী। আমি জানতাম আমার আরো কিছু চাই। অবশ্যই আমি জানতাম ওই ২০০ ইউরো কিছুই না। তবে কিউবায় এই অর্থ অনেক। অভিনেত্রী হিসেবে এই অর্থ সঞ্চয় করেছিলাম।
আনা বলেন, মা-বাবাকে বলেছিলাম যখন এই অর্থ ফুরিয়ে যাবে তখন দেশে ফিরে আসবো। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই অর্থ ফুরিয়ে গেল। আমি আর ফিরে যাইনি। আমি এ যাবত যত সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার মধ্যে এটা ছিল সবচেয়ে উত্তম।
স্পেনে টিভি থ্রিলার সিরিজ ‘এল ইন্টারনাদো’তে রোল পেয়ে যান তিনি। এর বদৌলতে হয়ে ওঠেন বিশাল মাপের একজন সেলিব্রেটি। ২০০৬ সালে মাদ্রিদ পৌঁছানোর পর এক সপ্তাহ অডিশন দিয়ে তিনি টিকেছিলেন এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। ব্যস, তার ভাগ্যের দরজা খুলে যায়। হাভানায় তিনি যে অর্থের কথা ভাবতেও পারতেন না, তার চেয়ে বেশি উপার্জন করতে থাকেন।
আনার পিতা-মাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একটি উদার পরিবার থেকে এসেছি। আমরা বিলাসিতার মধ্যে বাস করতাম না। দিনে যতটা খাবার প্রয়োজন হতো তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতাম। কোনো কোনো গ্রীষ্মে সমুদ্র সৈকতে যেতাম। বাবা-মার সততার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। আমরা কি করতে পারি, কি করতে পারি না, এ বিষয়ে সব সময় ছিলাম সচেতন। ভাইকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় খেলতে যেতাম। আমাদের কোনো ফোন বা ইন্টারনেট এমনকি ডিভিডি প্লেয়ার ছিল না। কিছুই ছিল না।
আনা প্রথম জেমস বন্ড ছবি দেখেন। তিনি বলেন, আমি কয়েক বছরে বন্ড সিরিজের ছবির ভক্ত হয়ে উঠেছি। ‘স্কাইফল’ নিয়ে আমার বিশেষ স্মৃতি আছে। এটা ছিল বড় পর্দায় আমার দেখা প্রথম বন্ড ছবি। মাদ্রিদে এর প্রিমিয়ার হয়েছিল।
ততক্ষণে তিনি স্পেনের অভিনেতা ও মডেল মার্ক ক্লোটেটের (৩৯) প্রেমে পড়ে গেছেন। পরে তারা ২০১১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে মার্ক-এর বন্ধুরা আনা’কে জ্বলন্ত মেজাজি বলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, তিনি কখনো কখনো অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন। দু’বছর পরে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৪ সালে ইংরেজি না জানা সত্ত্বেও আনা চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যানজেলসে।
তিনি বলেন, আমি খুব সাদামাটা একটি পরিকল্পনা নিয়ে লস অ্যানজেলসে পা রাখি। আমার সঙ্গে ছিল একটি সুটকেস। আর ছিল একটি ধারণা। সেটা হলো, আমাকে সেখানে যদি থাকতে হয় থাকবো। যদি চলে যেতে হয় তাহলে চলে যাবো।
এখন লস অ্যানজেলসের ভেনিস বিচে নিজের কুকুর এলভিসকে সঙ্গে নিয়ে বসবাস করেন আনা। তিনি বলেন, এই পৃথিবীতে আমি হলাম সবচেয়ে অলস মানুষ। আমি শুধু ওয়াইন পান করতে পছন্দ করি। ছবি দেখতে ভালো লাগে। আমি জিমে যাই। কারণ, জানি আমার জন্য কেউ একজন অপেক্ষা করছে।
সামনেই আসছে থ্রিলার ছবি ‘নাইভস আউট’। এটি মার্কিন একটি অপরাধ বিষয়ক ছবি। এতে আনার সঙ্গে অভিনয় করেছেন ডানিয়েল ক্রেইগ। এই কাজের সুবাদে দুজন দুজনকে জেনেছেন। গত সপ্তাহে তারা শিরোনামহীন ২৫তম একটি বন্ড ছবির সূচনা উপলক্ষে একসঙ্গে গিয়েছিলেন জ্যামাইকায়।
No comments