শেখ হাসিনার লেখা চিঠি প্রদর্শন করছেন কাদের সিদ্দিকী
দেশের চলমান সঙ্কট উত্তরণে উদ্যোগ নিতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান
জানিয়ে ফুটপাথে অবস্থান করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের
সিদ্দিকী। অবস্থানের ২১তম দিন অতিবাহিত হয়েছে গতকাল। এই ২১ দিনে তার
আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে গণস্বাক্ষরে অংশ নিয়েছে হাজারো মানুষ।
একই ইস্যুতে দুই নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তার
স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী। সেখানে থেমে থেমে চলছে শান্তির পক্ষে স্ল্লোগান,
কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সেখানে আগত
মানুষের নজর কেড়েছে অন্য একটি বিষয়। সেটা হলো বেশ কয়েকটি চিঠি। কাদের
সিদ্দিকী নির্বাসনে থাকাকালে বিভিন্ন সময় তাকে চিঠিগুলো লিখেছিলেন বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উৎসুক মানুষ দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে সেগুলো পড়ছেন
মনোযোগ দিয়ে। চিঠিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী কাদের সিদ্দিকীকে বজ্র সম্বোধন
করেছেন। তিনি কাদের সিদ্দিকীকে তুমি সম্বোধন করে হৃদ্যতাপূর্ণ ভাষায়
পরিবারের লোকজনের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। কাদের সিদ্দিকীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা একটি চিঠি লিখেছিলেন ১৯৮২ সালের ১৫ই অক্টোবর। ১৯৮১ সালের ১৭ই মে
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী
নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর তিনি আবারও ভারতের শিমলায় গিয়েছিলেন। সেখানে তার
ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল পড়তেন। আর কাদের সিদ্দিকী
ছিলেন কলকাতায়। এছাড়া কাদের সিদ্দিকীকে লেখা শেখ হাসিনার আরও ৪টি চিঠি
মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানস্থলে প্রদর্শিত হচ্ছে। চিঠিগুলো
বিলবোর্ড ও ফেস্টুনের মাধ্যমে টানানো হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে কাদের সিদ্দিকী সশস্ত্র বিদ্রোহ করে
ভারতে নির্বাসনে যান।
একটি চিঠির শুরুতেই শেখ হাসিনা কাদের সিদ্দিকীকে ‘কল্যাণীয় বজ্র’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তারপর লিখেছিলেন, “জানি খুব রেগে আছ। মনে হয় দূর থেকেও তোমার রাগ দেখতে পাই। আমার সঙ্গে তো শুধু রাগ অভিমানই করলে আবার এও জানি যত রাগই কর না কেন আপার সামনে এলে সব রাগ পানি হয়ে যেতে বাধ্য। চিঠি দেই না দেখে এটা ভেব না যে, মনে করি না। সব সময় মনে করি। খবরও যে পাই না তা নয়, খবরও পাই।” শেখ হাসিনা লিখেছেন, “তাছাড়া ঢাকায় অনেক ভিড়ের মাঝে আমি ভীষণ একা। প্রায়ই পরশ-তাপসদের (মণি ভাইয়ের বাচ্চারা) কাছে যাই একটু সান্ত্বনা পাই। কি যন্ত্রণা নিয়ে যে আমি সেখানে থাকি কাউকে বলতে পারব না। যখনই অপারগ হই দম বন্ধ হয়ে আসে। এখানে চলে আসি। তাছাড়া অনেক আশা নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম।” তিনি লিখেছিলেন, “আজ দেশ বিরাট সঙ্কটের মুখে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কিভাবে শক্তি সঞ্চয় করেছে... যেখানে সমগ্র দেশ, সমগ্র বিশ্ব জাতির পিতা বলে মানে সেখানে কয়েকটা ক্ষমতা দখলকারীরাই মানতে রাজি নয়...” যে লক্ষ্য সামনে রেখে স্বাধীনতা চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সে স্বাধীনতা লক্ষ্য থেকে আজ অনেক দূরে দেশ চলে গেছে। ১৫ই আগস্টেও যে ষড়যন্ত্র দেশ ও জাতিকে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র। আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার হারিয়েছি, সেই অধিকার আজও আদায় করতে পারলাম না। যখন দেশ ও জাতি এ সঙ্কটের সম্মুখীন তখন একটি দল সব থেকে একটি সংগঠিত দল জাতির পিতার হাতে গড়া স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দলের কি ভূমিকা হওয়া উচিৎ? এখানে আমার দায়িত্ব বড়? এই দেশ ও জাতির স্বার্থ বড়? একটি দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে কত ‘আমি’কে বিসর্জন দিতে হয় তবেই না লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। কিন্তু আমাদের দলের কি ভূমিকা কি চেহারা আমি পেয়েছি?’ “কারো বাড়া ভাতে ছাই ঢালতে আমি যাই নাই। আমি ‘জাতির পিতার’ মেয়ে সেই হিসাবে শুধু সেই হিসাবেই যে ভালবাসা, যে সম্মান আমি এই বয়সে পেয়েছি। সারা জীবন আমার বাবা সাধনা করেছেন, ত্যাগ করেছেন তারই দানে আমি সমগ্র জাতির ভালবাসা, সম্মান পেয়েছি। আমার আর পাবার কি আছে? আমি এখন দিতে চাই। আমি সবই হারিয়েছি, চরম মূল্য দিয়েছি। আমার আর হারাবার কিছু নাই। চরম ত্যাগের মনোভাব নিয়েই যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল, তা পালন করতে গিয়েছিলাম (স্বপ্নেও কখনও ভাবি নাই যে এত বড় গুরুদায়িত্ব আমার উপর পড়বে) কিন্তু সেখানে গিয়ে কি পেয়েছি। সব থেকে বেশি সাহায্য সহযোগিতা যাদের কাছ থেকে পাব আশা করেছিলাম সেখানে বড় ফাঁক। এই এক বছরের ঘটনা কিছু বিশ্লেষণ করলেই দেখবে, বুঝবে। যার যা যোগ্যতা কর্মদক্ষতা তার মধ্য দিয়েই উঠবে কিন্তু একজনকে ছোট করে খাটো করে আর একজন উঠবে সেটা তো হয় না। আর এখানে তো আমরা দিতে এসেছি। কিন্তু সে মনোভাব কোথায়? অনেক খোঁজ-খবর পেয়েছি। দলের ভিতরেও এজেন্ট আছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রেরই এজেন্ট তারাই দলের ইমেজ নষ্ট করবার জন্য। যাতে এগোতে না পারে সে জন্য, মূল লক্ষ্যে যাতে পৌঁছাতে না পারে তারই জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। কেউ সচেতনভাবে কেউ অবচেতনায় সাহায্য করছে। বুঝতেও পারছে না। আত্মচিন্তায় এতটুকু চেতনাও হচ্ছে না যে কি সর্বনাশ দেশ ও জাতির জন্য করে যাচ্ছে।” ‘আজকের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে সকলকে এক থাকতে হবে, বৃহৎ স্বার্থে কাজ করতে হবে। আজকে সে সময় নয় যে, ব্যারোমিটার দিয়ে কে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কতটুকু বিশ্বাসী তা মাপার সময় এখন নয়। সেটা বোঝা যাবে ভবিষ্যতে কাজের মধ্যে দিয়ে কিন্তু কিছু কার্যকলাপ এভাবেই চলছে। তাতে গোটা দলের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। একটা স্থবিরতা এসে যাচ্ছে সে চেতনা কারো নেই। তার উপর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে যারা এই ধরনের কথা তুলে দলকে এগোতে দিচ্ছে না তারা কি সত্যিই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী না কি জীবনেও যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হতে না পারে সেই প্রচেষ্টায় নিমগ্ন। সেই প্রশ্নই আজ মনে আসে। গতবারই একটা কথা বলেছিলাম, ভীষণ একা আমি। শাঁখের করাতের ভিতর দিয়ে চলছি। তবে নিরাশ নই যা ঘটছে আমার বিশ্বাস একদিন না একদিন সফলকাম হবই। হত্যার প্রতিশোধ নেবই। ২/৪টা খুনি মারলেই হবে না। মূল থেকে উপড়াতে হবে সেটা মনে রেখ। যারা বঙ্গবন্ধুর গায়ে হাত দিতে সাহস করে তাদের দুর্বল ভাবলে চলবে না। মাটির অনেক গভীরে তাদের শিকড় গাড়া সেটা মনে রাখতে হবে। যাক অনেক বকবক করলাম। মনের কথা আমি খুব কমই বলি। স্মৃতি রোমন্থনই বেশি করি, আজ অনেক কথা লিখলাম...’ ইতি : আপা ১৫/১০/৮২ এদিকে দেশের বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আলোচনায় বসতে এবং বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী গত ২১ দিনের নিরবচ্ছিন্ন অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে তার অভিজ্ঞতা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আজ বুধবার বেলা ১২টায় সাংবাদিকদের কাছে তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।
একটি চিঠির শুরুতেই শেখ হাসিনা কাদের সিদ্দিকীকে ‘কল্যাণীয় বজ্র’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তারপর লিখেছিলেন, “জানি খুব রেগে আছ। মনে হয় দূর থেকেও তোমার রাগ দেখতে পাই। আমার সঙ্গে তো শুধু রাগ অভিমানই করলে আবার এও জানি যত রাগই কর না কেন আপার সামনে এলে সব রাগ পানি হয়ে যেতে বাধ্য। চিঠি দেই না দেখে এটা ভেব না যে, মনে করি না। সব সময় মনে করি। খবরও যে পাই না তা নয়, খবরও পাই।” শেখ হাসিনা লিখেছেন, “তাছাড়া ঢাকায় অনেক ভিড়ের মাঝে আমি ভীষণ একা। প্রায়ই পরশ-তাপসদের (মণি ভাইয়ের বাচ্চারা) কাছে যাই একটু সান্ত্বনা পাই। কি যন্ত্রণা নিয়ে যে আমি সেখানে থাকি কাউকে বলতে পারব না। যখনই অপারগ হই দম বন্ধ হয়ে আসে। এখানে চলে আসি। তাছাড়া অনেক আশা নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম।” তিনি লিখেছিলেন, “আজ দেশ বিরাট সঙ্কটের মুখে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কিভাবে শক্তি সঞ্চয় করেছে... যেখানে সমগ্র দেশ, সমগ্র বিশ্ব জাতির পিতা বলে মানে সেখানে কয়েকটা ক্ষমতা দখলকারীরাই মানতে রাজি নয়...” যে লক্ষ্য সামনে রেখে স্বাধীনতা চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সে স্বাধীনতা লক্ষ্য থেকে আজ অনেক দূরে দেশ চলে গেছে। ১৫ই আগস্টেও যে ষড়যন্ত্র দেশ ও জাতিকে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র। আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার হারিয়েছি, সেই অধিকার আজও আদায় করতে পারলাম না। যখন দেশ ও জাতি এ সঙ্কটের সম্মুখীন তখন একটি দল সব থেকে একটি সংগঠিত দল জাতির পিতার হাতে গড়া স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দলের কি ভূমিকা হওয়া উচিৎ? এখানে আমার দায়িত্ব বড়? এই দেশ ও জাতির স্বার্থ বড়? একটি দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে কত ‘আমি’কে বিসর্জন দিতে হয় তবেই না লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। কিন্তু আমাদের দলের কি ভূমিকা কি চেহারা আমি পেয়েছি?’ “কারো বাড়া ভাতে ছাই ঢালতে আমি যাই নাই। আমি ‘জাতির পিতার’ মেয়ে সেই হিসাবে শুধু সেই হিসাবেই যে ভালবাসা, যে সম্মান আমি এই বয়সে পেয়েছি। সারা জীবন আমার বাবা সাধনা করেছেন, ত্যাগ করেছেন তারই দানে আমি সমগ্র জাতির ভালবাসা, সম্মান পেয়েছি। আমার আর পাবার কি আছে? আমি এখন দিতে চাই। আমি সবই হারিয়েছি, চরম মূল্য দিয়েছি। আমার আর হারাবার কিছু নাই। চরম ত্যাগের মনোভাব নিয়েই যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল, তা পালন করতে গিয়েছিলাম (স্বপ্নেও কখনও ভাবি নাই যে এত বড় গুরুদায়িত্ব আমার উপর পড়বে) কিন্তু সেখানে গিয়ে কি পেয়েছি। সব থেকে বেশি সাহায্য সহযোগিতা যাদের কাছ থেকে পাব আশা করেছিলাম সেখানে বড় ফাঁক। এই এক বছরের ঘটনা কিছু বিশ্লেষণ করলেই দেখবে, বুঝবে। যার যা যোগ্যতা কর্মদক্ষতা তার মধ্য দিয়েই উঠবে কিন্তু একজনকে ছোট করে খাটো করে আর একজন উঠবে সেটা তো হয় না। আর এখানে তো আমরা দিতে এসেছি। কিন্তু সে মনোভাব কোথায়? অনেক খোঁজ-খবর পেয়েছি। দলের ভিতরেও এজেন্ট আছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রেরই এজেন্ট তারাই দলের ইমেজ নষ্ট করবার জন্য। যাতে এগোতে না পারে সে জন্য, মূল লক্ষ্যে যাতে পৌঁছাতে না পারে তারই জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। কেউ সচেতনভাবে কেউ অবচেতনায় সাহায্য করছে। বুঝতেও পারছে না। আত্মচিন্তায় এতটুকু চেতনাও হচ্ছে না যে কি সর্বনাশ দেশ ও জাতির জন্য করে যাচ্ছে।” ‘আজকের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে সকলকে এক থাকতে হবে, বৃহৎ স্বার্থে কাজ করতে হবে। আজকে সে সময় নয় যে, ব্যারোমিটার দিয়ে কে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কতটুকু বিশ্বাসী তা মাপার সময় এখন নয়। সেটা বোঝা যাবে ভবিষ্যতে কাজের মধ্যে দিয়ে কিন্তু কিছু কার্যকলাপ এভাবেই চলছে। তাতে গোটা দলের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। একটা স্থবিরতা এসে যাচ্ছে সে চেতনা কারো নেই। তার উপর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে যারা এই ধরনের কথা তুলে দলকে এগোতে দিচ্ছে না তারা কি সত্যিই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী না কি জীবনেও যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হতে না পারে সেই প্রচেষ্টায় নিমগ্ন। সেই প্রশ্নই আজ মনে আসে। গতবারই একটা কথা বলেছিলাম, ভীষণ একা আমি। শাঁখের করাতের ভিতর দিয়ে চলছি। তবে নিরাশ নই যা ঘটছে আমার বিশ্বাস একদিন না একদিন সফলকাম হবই। হত্যার প্রতিশোধ নেবই। ২/৪টা খুনি মারলেই হবে না। মূল থেকে উপড়াতে হবে সেটা মনে রেখ। যারা বঙ্গবন্ধুর গায়ে হাত দিতে সাহস করে তাদের দুর্বল ভাবলে চলবে না। মাটির অনেক গভীরে তাদের শিকড় গাড়া সেটা মনে রাখতে হবে। যাক অনেক বকবক করলাম। মনের কথা আমি খুব কমই বলি। স্মৃতি রোমন্থনই বেশি করি, আজ অনেক কথা লিখলাম...’ ইতি : আপা ১৫/১০/৮২ এদিকে দেশের বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আলোচনায় বসতে এবং বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী গত ২১ দিনের নিরবচ্ছিন্ন অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে তার অভিজ্ঞতা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আজ বুধবার বেলা ১২টায় সাংবাদিকদের কাছে তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।
No comments