পদ্মায় লঞ্চডুবি ৪০ লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জের
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ
ডুবে গেছে।এ পর্যন্ত শিশু ও মহিলাসহ ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ
রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এই লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে।
গত রাত সাড়ে ৯টা পযর্ন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে পদ্মা নদীতে এমভি মোস্তফা নামের লঞ্চটি দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। বেলা দেড়টার দিকে নৌপুলিশ ছয় মাস বয়সী একটি শিশু এবং সোয়া ২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা নদীবন্দর কর্মকর্তা এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাঘাবাড়িগামী এমভি নারগিস নামে সারবাহী একটি কার্গো জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়। দুর্ঘটনাটি মাঝ নদীতে হয়েছে এবং উদ্ধারতৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে ট্রলার ও লঞ্চ ঘটনাস্থলে গেছে।
পরে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্যের রেসকিউ ও ডুবুরিদল বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে। তারা আরো ১৪টি লাশ উদ্ধার করে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পযর্ন্ত দু’টি লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার লাইলি বেগম (৬৪)। অপরজন ঢাকার নবাবগঞ্জের ফারুক হোসেনের ১ বছরের শিশু জুনায়েদ। নিহত লাইলি বেগমের নাতি সাইফুল ইসলাম জানান, তার অসুস্থ দাদীকে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি এ দুর্ঘটনায় পড়ে। তিনি আরো জানান, লঞ্চটিতে প্রায় ৩০০ জনের মতো যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ লঞ্চটিতে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ছিল ১৩৪ জন বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মকর্তা।
লঞ্চডুবির খবরে পদ্মার পাড়ে হতাহতদের স্বজনেরা ভিড় জমাচ্ছেন। তাদের আহাজারিতে পদ্মার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। স্বজনদের ভিড় সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ দিকে স্থানীয়ভাবে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস হতাহতদের উদ্ধারতৎপরতা চালালেও লঞ্চটি উদ্ধারের কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। মাওয়া থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম রওনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম বেলা ১টায় মাওয়া ঘাট থেকে রওনা হলেও বিকেল সোয়া ৬টা পযর্ন্ত দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেনি।
লঞ্চডুবির ঘটনায় সারবাহী কার্গো এমভি নারগিস-১ আটক করা হয়েছে। পরে কার্গোটির মাস্টার মো: ইকবাল ও দুই লস্করকেও আটক করা হয়েছে।
এ দিকে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ থেকে সাঁতরে তীরে ওঠা যাত্রী বিমল চন্দ্র মণ্ডল, তাপস কুমার দাস ও তার বন্ধু আখতার মোল্লা বলেন, এম এল মোস্তফা লঞ্চে তারা ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। মাঝ নদীতে পৌঁছার পর বাম দিক থেকে এসে কার্গো জাহাজটি লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডান দিকে কাত হয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়।
লঞ্চটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিল জানিয়ে তারা বলেন, দুর্ঘটনার পর আমরা সাঁতরে প্রাণে বেঁচে গেছি।
উদ্ধার পাওয়া যাত্রীদের দেয়া তথ্য হচ্ছে, দুর্ঘটনার পর ৫০-৬০ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সম হয়েছেন। বাকিরা লঞ্চের মধ্যেই রয়েছেন।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন। নৌমন্ত্রী মো: শাজাহান খান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ছিল লঞ্চটিতে। লঞ্চটির মালিক আ: রহিম খান তিনি আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে পদ্মা নদীতে এমভি মোস্তফা নামের লঞ্চটি দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। বেলা দেড়টার দিকে নৌপুলিশ ছয় মাস বয়সী একটি শিশু এবং সোয়া ২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা নদীবন্দর কর্মকর্তা এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাঘাবাড়িগামী এমভি নারগিস নামে সারবাহী একটি কার্গো জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়। দুর্ঘটনাটি মাঝ নদীতে হয়েছে এবং উদ্ধারতৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে ট্রলার ও লঞ্চ ঘটনাস্থলে গেছে।
পরে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্যের রেসকিউ ও ডুবুরিদল বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে। তারা আরো ১৪টি লাশ উদ্ধার করে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পযর্ন্ত দু’টি লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার লাইলি বেগম (৬৪)। অপরজন ঢাকার নবাবগঞ্জের ফারুক হোসেনের ১ বছরের শিশু জুনায়েদ। নিহত লাইলি বেগমের নাতি সাইফুল ইসলাম জানান, তার অসুস্থ দাদীকে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি এ দুর্ঘটনায় পড়ে। তিনি আরো জানান, লঞ্চটিতে প্রায় ৩০০ জনের মতো যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ লঞ্চটিতে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ছিল ১৩৪ জন বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মকর্তা।
লঞ্চডুবির খবরে পদ্মার পাড়ে হতাহতদের স্বজনেরা ভিড় জমাচ্ছেন। তাদের আহাজারিতে পদ্মার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। স্বজনদের ভিড় সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ দিকে স্থানীয়ভাবে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস হতাহতদের উদ্ধারতৎপরতা চালালেও লঞ্চটি উদ্ধারের কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। মাওয়া থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম রওনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম বেলা ১টায় মাওয়া ঘাট থেকে রওনা হলেও বিকেল সোয়া ৬টা পযর্ন্ত দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেনি।
লঞ্চডুবির ঘটনায় সারবাহী কার্গো এমভি নারগিস-১ আটক করা হয়েছে। পরে কার্গোটির মাস্টার মো: ইকবাল ও দুই লস্করকেও আটক করা হয়েছে।
এ দিকে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ থেকে সাঁতরে তীরে ওঠা যাত্রী বিমল চন্দ্র মণ্ডল, তাপস কুমার দাস ও তার বন্ধু আখতার মোল্লা বলেন, এম এল মোস্তফা লঞ্চে তারা ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। মাঝ নদীতে পৌঁছার পর বাম দিক থেকে এসে কার্গো জাহাজটি লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডান দিকে কাত হয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়।
লঞ্চটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিল জানিয়ে তারা বলেন, দুর্ঘটনার পর আমরা সাঁতরে প্রাণে বেঁচে গেছি।
উদ্ধার পাওয়া যাত্রীদের দেয়া তথ্য হচ্ছে, দুর্ঘটনার পর ৫০-৬০ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সম হয়েছেন। বাকিরা লঞ্চের মধ্যেই রয়েছেন।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন। নৌমন্ত্রী মো: শাজাহান খান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ছিল লঞ্চটিতে। লঞ্চটির মালিক আ: রহিম খান তিনি আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
>>শাহানুর ইসলাম মানিকগঞ্জ, শহিদুল ইসলাম শিবালয় ও এম মনিরুজ্জামান
No comments