মমতা ব্যানার্জির সফর
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তিন দিনের ঢাকা সফর ছিল
অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক। ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ
কয়েকটি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। ২১ ফেব্র“য়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তিনি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে মমতা বলেছেন, তিস্তা চুক্তিতে তিনি ইতিবাচক ভূমিকা
পালন করবেন। স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নে পশ্চিমবঙ্গের কোনো আপত্তি নেই
বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারতের পার্লামেন্টের আগামী অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত
বিল পাস হতে পারে বলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন। শুক্রবার
বাংলাদেশ ও ভারতের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের এক মতবিনিময় সভায়ও তিনি তিস্তা
চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে তার ওপর আস্থা রাখতে বলেছেন। এর
আগে মমতা ব্যানার্জি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে
বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর অন্যতম তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর এবং সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন। এ দুই চুক্তির বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত বিষয়। তবে মমতার এ সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কারণ চুক্তি হলে তা হবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে। তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মতামত নেয়ার একটি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে চুক্তি আর স্বাক্ষর হয়নি। বস্তুত এ দুই সমস্যার সমাধান না হওয়া ছিল বাংলাদেশের জন্য হতাশাজনক। পরবর্তী সময়েও মমতার বিভিন্ন বক্তব্যে এ বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে এবার ঢাকা সফরে এসে তিনি যেসব বক্তব্য রেখেছেন, তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মমতার বক্তব্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর নিষ্পত্তিতে তার সদিচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা আশা করব, এগুলোর বাস্তবায়নের ব্যাপারেও তিনি আন্তরিকতার পরিচয় দেবেন। যে ইচ্ছা তিনি ব্যক্ত করেছেন, অর্থাৎ দু’দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর কারণে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সত্যিকার অর্থেই সেতু হিসেবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন, তার যথার্থতা দেখতে চাই আমরা। বিশেষ করে তিস্তার ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়া বাংলাদেশের জন্য কত জরুরি, তা তিনি অনুধাবন করবেন আশা করি। যে সময় তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন, সে সময়েও তিস্তার পানির স্তর সর্বনিু স্তরে বিরাজ করছে। এতে সংকটে পড়েছে চলতি বোরো মৌসুমের কৃষকরা। অন্যদিকে স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ায় দু’দেশের ছিটমহলের অধিবাসীদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্রুত তিস্তা চুত্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আশ্বাসবাণী দিয়েছেন। এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়ও এ ব্যাপারে সদিচ্ছা প্রকাশ পেল। এতে বাংলাদেশের মানুষ এ চুক্তি স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের বিষয়ে এখন আরও বেশি আশাবাদী হয়ে উঠেছে। শুধু তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন নয়, বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানসহ সব ক্ষেত্রেই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়া প্রয়োজন। এজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকলেই চলবে না শুধু, আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতাও আরও জোরদার করতে হবে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর অন্যতম তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর এবং সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন। এ দুই চুক্তির বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত বিষয়। তবে মমতার এ সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কারণ চুক্তি হলে তা হবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে। তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মতামত নেয়ার একটি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে চুক্তি আর স্বাক্ষর হয়নি। বস্তুত এ দুই সমস্যার সমাধান না হওয়া ছিল বাংলাদেশের জন্য হতাশাজনক। পরবর্তী সময়েও মমতার বিভিন্ন বক্তব্যে এ বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে এবার ঢাকা সফরে এসে তিনি যেসব বক্তব্য রেখেছেন, তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মমতার বক্তব্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর নিষ্পত্তিতে তার সদিচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা আশা করব, এগুলোর বাস্তবায়নের ব্যাপারেও তিনি আন্তরিকতার পরিচয় দেবেন। যে ইচ্ছা তিনি ব্যক্ত করেছেন, অর্থাৎ দু’দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর কারণে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সত্যিকার অর্থেই সেতু হিসেবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন, তার যথার্থতা দেখতে চাই আমরা। বিশেষ করে তিস্তার ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়া বাংলাদেশের জন্য কত জরুরি, তা তিনি অনুধাবন করবেন আশা করি। যে সময় তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন, সে সময়েও তিস্তার পানির স্তর সর্বনিু স্তরে বিরাজ করছে। এতে সংকটে পড়েছে চলতি বোরো মৌসুমের কৃষকরা। অন্যদিকে স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ায় দু’দেশের ছিটমহলের অধিবাসীদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্রুত তিস্তা চুত্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আশ্বাসবাণী দিয়েছেন। এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়ও এ ব্যাপারে সদিচ্ছা প্রকাশ পেল। এতে বাংলাদেশের মানুষ এ চুক্তি স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের বিষয়ে এখন আরও বেশি আশাবাদী হয়ে উঠেছে। শুধু তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন নয়, বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানসহ সব ক্ষেত্রেই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়া প্রয়োজন। এজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকলেই চলবে না শুধু, আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতাও আরও জোরদার করতে হবে।
No comments