উত্তরাঞ্চলে ২০ লাখ শ্রমিক পরিবারে হাহাকার by সরকার মাজহারুল মান্নান
২০
দলের টানা অবরোধ ও হরতালে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের পরিবহন খাত ভেঙে পড়েছে।
চরম দুরবস্থা বিরাজ করছে এ খাতে। এ সময়ে এই অঞ্চলে হাজার কোটি টাকা
লোকসানের মুখে পড়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা। ফলে ২০ লাখ মোটরশ্রমিক
পরিবার পড়েছে অর্থকষ্টে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কার্যকর সংলাপ চান তারা।
রংপুর বিভাগীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলার ৮৬টি ও রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ৯০টি ছোটবড় রুটে আগে প্রতিদিন ছোট, মাঝারি ও বড় মিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন নিয়মিত চলাচল করত। কিন্তু টানা ৪৫ দিন অবরোধ ও থেমে থেমে হরতালে এসব রুটে এখন প্রতিদিন পাঁচ হাজার গাড়িও চলাচল করে না। গাড়ি চলাচল না করায় এর সাথে জড়িত চালক, সহকারী চালক, সুপারভাইজার, হেলপার, সহকারী হেলপার, চেইন মাস্টার, টিকিট বুকিং কার্ক, পরিষ্কারকারীসহ প্রায় ২০ পর্যায়ের ২০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
এই পরিবহন শ্রমিক নেতা দাবি করেন, পরিবহন না চলায় এ অঞ্চলে মোটরশ্রমিক পরিবারের প্রায় এক কোটি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি বলেন, মোটরশ্রমিকেরা দিন আনেন দিন খান। গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাদের আয়ও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এসব শ্রমিক পরিবার এখন খেয়ে না খেয়ে চলছে। তাদের পরিবারগুলোতে চলছে হাহাকার। তারা ধারদেনা করেও এখন তিনবেলা খাবার জোগাড় করতে পারছেন না। অনেকেই একবেলা আধাপেটা করে খাচ্ছেন। এনজিও থেকে নেয়া কিস্তির টাকা দিতে পারছেন না। অনেকেই ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। তারা পেশা বদলের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতেও সফল হচ্ছেন না। তারা সবাই চেয়ে আছেন কিভাবে দুই জোটের একটি অর্থবহ সংলাপ হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি বলেন, এ অবস্থা বেশি দিন অব্যাহত থাকলে মোটরশ্রমিক পরিবারগুলোতে চরম মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।
এ দিকে পরিবহন মালিকদের সূত্রে প্রকাশ, অবরোধ হরতালে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি বের করে ৪৫ দিনে ২০০ টিরও বেশি গাড়ি বোমা, পেট্রলবোমা, ককটেল ও ভাঙচুরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকার ওপরে। এতে এসব গাড়ির মালিককে লোকসানের পাশপাশি মেরামতের জন্য গুনছেন মোটা অঙ্কের টাকা। যেসব যাত্রী পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়েছেন তাদের চিকিৎসা খরচ বহন করতে হয়েছে মালিকপ থেকে। এতে কোনো মালিকই চাচ্ছেন না; ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন বাইরে বের করতে। চালকেরা গাড়ি চালাতে ইচ্ছা প্রকাশ করলেও মালিকপ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছেন না। এতে চালকেরা ইচ্ছে করলেও গাড়ি চালাতে পারছেন না। যেসব গাড়ি চলছে সেসব লক্কড়ঝক্কর মার্কা। রাস্তায় গাড়ি বের না করায় গত ৪৫ দিনে মালিক এবং শ্রমিকেরা হাজার কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়েছেন। মালিকেরা ব্যাংকের কিস্তি দিতে পারছেন না। ফলে ব্যাংকের ঋণের সুদ চক্রাকারে বাড়ছে। কাউন্টারের ভাড়াও পরিশোধ করতে পারছেন না।
রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুর রহমান জানান, অবরোধ হরতালে উত্তরাঞ্চলে গত দেড় মাসে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি লোকসানের মুখোমুখি হয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। আর মালিকপকে প্রতিদিনই মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ব্যাংক সুদের হারও বাড়ছে।
তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে বাঁচতে চাই। অবরোধ হরতাল চাই না। এ জন্য দুই পক্ষকেই সংলাপে বসে একটি সমঝোতায় এসে দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির দাবি করেন পরিবহন সেক্টরের এ নেতা। তিনি বলেন, তা না হলে পরিবহন গ্রুপ রাজপথে নেমে আন্দোলন করবে।
রংপুর বিভাগীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলার ৮৬টি ও রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ৯০টি ছোটবড় রুটে আগে প্রতিদিন ছোট, মাঝারি ও বড় মিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন নিয়মিত চলাচল করত। কিন্তু টানা ৪৫ দিন অবরোধ ও থেমে থেমে হরতালে এসব রুটে এখন প্রতিদিন পাঁচ হাজার গাড়িও চলাচল করে না। গাড়ি চলাচল না করায় এর সাথে জড়িত চালক, সহকারী চালক, সুপারভাইজার, হেলপার, সহকারী হেলপার, চেইন মাস্টার, টিকিট বুকিং কার্ক, পরিষ্কারকারীসহ প্রায় ২০ পর্যায়ের ২০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
এই পরিবহন শ্রমিক নেতা দাবি করেন, পরিবহন না চলায় এ অঞ্চলে মোটরশ্রমিক পরিবারের প্রায় এক কোটি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি বলেন, মোটরশ্রমিকেরা দিন আনেন দিন খান। গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাদের আয়ও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এসব শ্রমিক পরিবার এখন খেয়ে না খেয়ে চলছে। তাদের পরিবারগুলোতে চলছে হাহাকার। তারা ধারদেনা করেও এখন তিনবেলা খাবার জোগাড় করতে পারছেন না। অনেকেই একবেলা আধাপেটা করে খাচ্ছেন। এনজিও থেকে নেয়া কিস্তির টাকা দিতে পারছেন না। অনেকেই ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। তারা পেশা বদলের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতেও সফল হচ্ছেন না। তারা সবাই চেয়ে আছেন কিভাবে দুই জোটের একটি অর্থবহ সংলাপ হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি বলেন, এ অবস্থা বেশি দিন অব্যাহত থাকলে মোটরশ্রমিক পরিবারগুলোতে চরম মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।
এ দিকে পরিবহন মালিকদের সূত্রে প্রকাশ, অবরোধ হরতালে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি বের করে ৪৫ দিনে ২০০ টিরও বেশি গাড়ি বোমা, পেট্রলবোমা, ককটেল ও ভাঙচুরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকার ওপরে। এতে এসব গাড়ির মালিককে লোকসানের পাশপাশি মেরামতের জন্য গুনছেন মোটা অঙ্কের টাকা। যেসব যাত্রী পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়েছেন তাদের চিকিৎসা খরচ বহন করতে হয়েছে মালিকপ থেকে। এতে কোনো মালিকই চাচ্ছেন না; ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন বাইরে বের করতে। চালকেরা গাড়ি চালাতে ইচ্ছা প্রকাশ করলেও মালিকপ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছেন না। এতে চালকেরা ইচ্ছে করলেও গাড়ি চালাতে পারছেন না। যেসব গাড়ি চলছে সেসব লক্কড়ঝক্কর মার্কা। রাস্তায় গাড়ি বের না করায় গত ৪৫ দিনে মালিক এবং শ্রমিকেরা হাজার কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়েছেন। মালিকেরা ব্যাংকের কিস্তি দিতে পারছেন না। ফলে ব্যাংকের ঋণের সুদ চক্রাকারে বাড়ছে। কাউন্টারের ভাড়াও পরিশোধ করতে পারছেন না।
রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুর রহমান জানান, অবরোধ হরতালে উত্তরাঞ্চলে গত দেড় মাসে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি লোকসানের মুখোমুখি হয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। আর মালিকপকে প্রতিদিনই মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ব্যাংক সুদের হারও বাড়ছে।
তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে বাঁচতে চাই। অবরোধ হরতাল চাই না। এ জন্য দুই পক্ষকেই সংলাপে বসে একটি সমঝোতায় এসে দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির দাবি করেন পরিবহন সেক্টরের এ নেতা। তিনি বলেন, তা না হলে পরিবহন গ্রুপ রাজপথে নেমে আন্দোলন করবে।
No comments