সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য -১৫৭ by ড. একেএম শাহনাওয়াজ
নওয়াব আবদুল লতিফ (১৮২৮-১৮৯৩) : ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিপ্লব অবদমিত হলে ভারতের অন্যান্য অংশের মতো বাংলার মুসলমানরা হতাশাগ্রস্ত ও অসংগঠিত হয়ে পড়ে। এই ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় মুসলমান সমাজে নবজাগরণ সৃষ্টিতে যেসব মনীষীর আবির্ভাব ঘটেছিল, নওয়াব আবদুল লতিফ তাদের অন্যতম। ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করে আবদুল লতিফ ইংরেজ শাসকদের কাছাকাছি আসতে পেরেছিলেন।
আবদুল লতিফের জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার রাজাপুর গ্রামে। এই শিক্ষাব্রতী সমাজ সংস্কারককে ব্রিটিশ সরকার ১৮৮০ সালে নওয়াব উপাধিতে ভূষিত করে। নওয়াব আবদুল লতিফ উনিশ শতকের ভারতের অন্যতম মুসলমান, যিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে আধুনিকতার পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন।
আবদুল লতিফ ১৮৪৬ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে নিজের পেশাজীবন শুরু করেন। ১৮৪৭ সালে তরুণ বয়সেই তিনি সিন্ধুর এক আমীরের সহকারী হিসেবে সরকার কর্তৃক নিয়োগ লাভ করেন। সেখানে এক বছর কাটানোর পর পুনরায় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতায় যোগ দেন। এর অল্পদিন পর তিনি কলকাতায় যান। তার প্রচেষ্টায় কলকাতা মাদ্রাসায় অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ খোলা হয়। এ বিভাগে পাঠদানের জন্য তিনি অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। ১৮৪৯ সালে আবদুল লতিফ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট পদে উন্নীত হন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সাতক্ষীরায় দায়িত্ব পালনকালে নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষকদের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আবদুল লতিফের বিশেষ ভূমিকার কারণে সরকার ১৮৬০ সালে নীল কমিশন গঠন করে। এভাবে কৃষক অধিকার অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত হয়। আবদুল লতিফ ১৮৬২ সালে লর্ড ক্যানিংয়ের শাসনকালে গঠিত বেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৬৮৩ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হিসেবে মনোনয়ন লাভ করেন এবং একই বছর বেসরকারি ও সামরিক সার্ভিসের পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য হন। ১৮৬৫ সালে তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের জাস্টিস অব পিস পদে মনোনয়ন লাভ করেন।
নওয়াব আবদুল লতিফের নেতৃত্বে ১৮৭২ সালে সরকারি সাহায্যে গ্রামাঞ্চলে কয়েকটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সেখানে আধুনিক শিক্ষাও দেয়া হতো। এ সময় কলকাতায় হিন্দু কলেজের কার্যকলাপে কিছুটা সাম্প্রদায়িক মনোভাবের প্রকাশ পেত। একে ভালো চোখে দেখেনি শিক্ষা কাউন্সিল। কাউন্সিলের সভাপতি বেথুন সাহেব তাই হিন্দু কলেজকে প্রেসিডেন্সি কলেজ নামে রূপান্তরের চিন্তা করেন। এ কাজে তিনি নওয়াব আদুল লতিফের সমর্থন পেয়েছিলেন। এভাবে কলেজটি সব ধর্মের ছাত্রদের পড়ার জন্য উন্মুক্ত হয়।
অভিযোগ ছিল মুহসীন ফান্ডের টাকা মুসলমান ছাত্রদের কল্যাণে খুব বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে না। আবদুল লতিফ এ সংকট উত্তরণে সচেষ্ট হন। তার প্রচেষ্টায় মুসলমান ছাত্রদের কল্যাণে এই ফান্ডের টাকার যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত হয়। মুহসীন ফান্ডের টাকায় বাংলার অবহেলিত জনপদের মুসলমান ছাত্রদের, বিশেষ করে মেধাবী দরিদ্র ছাত্রদের বৃত্তি প্রদানসহ শিক্ষার ব্যয় বহন করা হতো। এভাবে নওয়াব আবদুল লতিফ মুসলমানদের দুর্যোগকালে তাদের পাশে যোগ্য নেতৃত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষার প্রতি অনুরাগী করে তুলে তাদের অগ্রগতির ধারার সঙ্গে যুক্ত করে একটি বড় রকমের সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
আবদুল লতিফের জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার রাজাপুর গ্রামে। এই শিক্ষাব্রতী সমাজ সংস্কারককে ব্রিটিশ সরকার ১৮৮০ সালে নওয়াব উপাধিতে ভূষিত করে। নওয়াব আবদুল লতিফ উনিশ শতকের ভারতের অন্যতম মুসলমান, যিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে আধুনিকতার পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন।
আবদুল লতিফ ১৮৪৬ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে নিজের পেশাজীবন শুরু করেন। ১৮৪৭ সালে তরুণ বয়সেই তিনি সিন্ধুর এক আমীরের সহকারী হিসেবে সরকার কর্তৃক নিয়োগ লাভ করেন। সেখানে এক বছর কাটানোর পর পুনরায় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতায় যোগ দেন। এর অল্পদিন পর তিনি কলকাতায় যান। তার প্রচেষ্টায় কলকাতা মাদ্রাসায় অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ খোলা হয়। এ বিভাগে পাঠদানের জন্য তিনি অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। ১৮৪৯ সালে আবদুল লতিফ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট পদে উন্নীত হন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সাতক্ষীরায় দায়িত্ব পালনকালে নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষকদের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আবদুল লতিফের বিশেষ ভূমিকার কারণে সরকার ১৮৬০ সালে নীল কমিশন গঠন করে। এভাবে কৃষক অধিকার অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত হয়। আবদুল লতিফ ১৮৬২ সালে লর্ড ক্যানিংয়ের শাসনকালে গঠিত বেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৬৮৩ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হিসেবে মনোনয়ন লাভ করেন এবং একই বছর বেসরকারি ও সামরিক সার্ভিসের পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য হন। ১৮৬৫ সালে তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের জাস্টিস অব পিস পদে মনোনয়ন লাভ করেন।
নওয়াব আবদুল লতিফের নেতৃত্বে ১৮৭২ সালে সরকারি সাহায্যে গ্রামাঞ্চলে কয়েকটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সেখানে আধুনিক শিক্ষাও দেয়া হতো। এ সময় কলকাতায় হিন্দু কলেজের কার্যকলাপে কিছুটা সাম্প্রদায়িক মনোভাবের প্রকাশ পেত। একে ভালো চোখে দেখেনি শিক্ষা কাউন্সিল। কাউন্সিলের সভাপতি বেথুন সাহেব তাই হিন্দু কলেজকে প্রেসিডেন্সি কলেজ নামে রূপান্তরের চিন্তা করেন। এ কাজে তিনি নওয়াব আদুল লতিফের সমর্থন পেয়েছিলেন। এভাবে কলেজটি সব ধর্মের ছাত্রদের পড়ার জন্য উন্মুক্ত হয়।
অভিযোগ ছিল মুহসীন ফান্ডের টাকা মুসলমান ছাত্রদের কল্যাণে খুব বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে না। আবদুল লতিফ এ সংকট উত্তরণে সচেষ্ট হন। তার প্রচেষ্টায় মুসলমান ছাত্রদের কল্যাণে এই ফান্ডের টাকার যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত হয়। মুহসীন ফান্ডের টাকায় বাংলার অবহেলিত জনপদের মুসলমান ছাত্রদের, বিশেষ করে মেধাবী দরিদ্র ছাত্রদের বৃত্তি প্রদানসহ শিক্ষার ব্যয় বহন করা হতো। এভাবে নওয়াব আবদুল লতিফ মুসলমানদের দুর্যোগকালে তাদের পাশে যোগ্য নেতৃত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষার প্রতি অনুরাগী করে তুলে তাদের অগ্রগতির ধারার সঙ্গে যুক্ত করে একটি বড় রকমের সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
No comments