ভূমিকম্প মোকাবেলায় অর্থ সহায়তা দেয়া হবে by মামুন আব্দুল্লাহ
ভূমিকম্প মোবাবেলায় প্রস্তুতির জন্য সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও সিলেট সিটিতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। ১ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকার সহায়তার বিষয়ে নেগোসিয়েশন সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকায় সফররত বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন সহায়তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যা আগামী ২৪ মার্চে সংস্থাটির বোর্ড সভায় অনুমোদন হবে। সংস্থাটি এ লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও সংস্থাটির বাংলাদেশের আবাসিক অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইআরডির বিশ্বব্যাংক উইংয়ের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম যুগান্তরকে বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সফর উপলক্ষে এ প্রকল্পের বিষয়ে নেগোসিয়েশন নিশ্চিত হয়েছে। ১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের এ সহায়তা ঢাকা ও সিলেট সিটিতে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যয় হবে। এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে ঋণ পাওয়ার বিষয়টি বিশ্বব্যাংক নিশ্চিত করেছে বলেও তিনি জানান।
জানা গেছে, এ আগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকা শহরের ভূমিকম্প মানচিত্র তৈরিসহ সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কীভাবে ওই ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে লক্ষ্যে একটি কর্মপরিকল্পনাও করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা ও সিলেট শহরে ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস ও ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান বাড়ানো এবং সমন্বয়ের ওপর জোর দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বের ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকা ভূমিকম্প ঝুঁকিতে শীর্ষে রয়েছে। দেড় কোটি জনসংখ্যার এ শহরে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল এ শহর যাতে ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সে জন্য এ প্রকল্প থেকে সহায়তা দেয়া হবে। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমেও সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
ইআরডি সূত্র জানায়, ভূমিকম্প দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের তিন সংস্থা একযোগে কাজ করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) এটি বাস্তবায়ন করবে। আরবান রেজিলেন্স শীর্ষক এ প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সিংহভাগই দিচ্ছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ অফিসের গণসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন এ মাহবুব যুগান্তরকে বলেন, ভূমিকম্প মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য প্রস্তুতি গ্রহণকল্পেই এ সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ। ইআরডির সঙ্গে বৈঠকে এ সহায়তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন ৫ দিনের সফরে শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন। এটা বাংলাদেশে তার প্রথম সফর।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিতেই তিনি এ দেশ সফর করছেন। এ সফরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এ আগে, বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে অ্যানেট ডিক্সনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য নিরসন এবং নারী উন্নয়ন, গড় আয়ু, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি ও পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা নিতেই আমি বাংলাদেশে এসেছি। সফরকালে বিশ্বব্যাংকের অর্থ সহায়তা কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং এ দেশের পরবর্তী উন্নয়ন পর্বে কীভাবে সংস্থাটি সহায়তা করতে পারে সে বিষয় নিয়ে সরকার, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি। ২৫ ফেব্র“য়ারি অ্যানেট ডিক্সন বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন।
বিশ্বব্যাংক সূত্র অনুসারে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছে সংস্থাটি। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) দরিদ্র দেশগুলোকে যত সহায়তা দিয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, আইডিএ হল বিশ্বব্যাংকের একটি তহবিল, যেখান থেকে দরিদ্র দেশগুলোকে নমনীয় শর্তে ঋণ দেয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩২টি উন্নয়ন প্রকল্পে আইডিএর ৭৫০ কোটি ডলারের অর্থায়ন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইআরডির বিশ্বব্যাংক উইংয়ের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম যুগান্তরকে বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সফর উপলক্ষে এ প্রকল্পের বিষয়ে নেগোসিয়েশন নিশ্চিত হয়েছে। ১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের এ সহায়তা ঢাকা ও সিলেট সিটিতে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যয় হবে। এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে ঋণ পাওয়ার বিষয়টি বিশ্বব্যাংক নিশ্চিত করেছে বলেও তিনি জানান।
জানা গেছে, এ আগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকা শহরের ভূমিকম্প মানচিত্র তৈরিসহ সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কীভাবে ওই ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে লক্ষ্যে একটি কর্মপরিকল্পনাও করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা ও সিলেট শহরে ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস ও ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান বাড়ানো এবং সমন্বয়ের ওপর জোর দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বের ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকা ভূমিকম্প ঝুঁকিতে শীর্ষে রয়েছে। দেড় কোটি জনসংখ্যার এ শহরে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল এ শহর যাতে ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সে জন্য এ প্রকল্প থেকে সহায়তা দেয়া হবে। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমেও সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
ইআরডি সূত্র জানায়, ভূমিকম্প দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের তিন সংস্থা একযোগে কাজ করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) এটি বাস্তবায়ন করবে। আরবান রেজিলেন্স শীর্ষক এ প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সিংহভাগই দিচ্ছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ অফিসের গণসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন এ মাহবুব যুগান্তরকে বলেন, ভূমিকম্প মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য প্রস্তুতি গ্রহণকল্পেই এ সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ। ইআরডির সঙ্গে বৈঠকে এ সহায়তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন ৫ দিনের সফরে শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন। এটা বাংলাদেশে তার প্রথম সফর।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিতেই তিনি এ দেশ সফর করছেন। এ সফরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এ আগে, বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে অ্যানেট ডিক্সনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য নিরসন এবং নারী উন্নয়ন, গড় আয়ু, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি ও পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা নিতেই আমি বাংলাদেশে এসেছি। সফরকালে বিশ্বব্যাংকের অর্থ সহায়তা কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং এ দেশের পরবর্তী উন্নয়ন পর্বে কীভাবে সংস্থাটি সহায়তা করতে পারে সে বিষয় নিয়ে সরকার, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি। ২৫ ফেব্র“য়ারি অ্যানেট ডিক্সন বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন।
বিশ্বব্যাংক সূত্র অনুসারে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছে সংস্থাটি। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) দরিদ্র দেশগুলোকে যত সহায়তা দিয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, আইডিএ হল বিশ্বব্যাংকের একটি তহবিল, যেখান থেকে দরিদ্র দেশগুলোকে নমনীয় শর্তে ঋণ দেয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩২টি উন্নয়ন প্রকল্পে আইডিএর ৭৫০ কোটি ডলারের অর্থায়ন রয়েছে।
No comments