সাহসে প্রত্যয়ে সমানে সমান, কিন্তু by সাহাদাত হোসেন পরশ
ঘর
সামলিয়ে তারা বাহিরটা দারুণভাবে সামলাতে পারছেন। কর্মক্ষেত্রে রাখছেন
সাফল্যের স্ব্বাক্ষর। দিন কিংবা রাত_ সবসময়ই রাষ্ট্রের কাজে প্রস্তুত তারা।
যখন আসে ডাক, তখনই ছুটে চলেন দূরন্ত গতিতে। কেউবা সামনে থেকে নেতৃত্ব
দিচ্ছেন। অনেকে আবার দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে সুনাম কুড়াচ্ছেন। আলোকিত
করছেন নিজেকে। আলোকিত করছেন নিজ বাহিনীকে। সত্যি বাংলাদেশ পুলিশে নারী
পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে চলেছেন। প্রতিভার স্ব্বাক্ষর রেখে পুরুষের পাশাপাশি
দায়িত্ব নিয়ে দেশের জন্য লড়ছেন। পারিবারিক, সামাজিক ও মনস্তাত্তি্বক বাধা
ডিঙিয়ে বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও তুলে ধরছেন লাল- সবুজের পতাকা। উজ্জ্বল
করছেন বাংলার মুখ। চ্যালেঞ্জ নিয়ে নারী পুলিশ সদস্যরা জয় করছেন নানা
প্রতিবন্ধকতা। ৫ জানুয়ারির পর অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিতে রাজপথে সহিংসতা ও
নাশকতাকারীদের ঠেকাতে নারী পুলিশ সদস্যরাও সাহসিকতা ও মেধার পরিচয় দিচ্ছেন
প্রতিনিয়ত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারাও হাতেনাতে ধরছেন বোমাবাজদের। সম্প্রতি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এসআই ফরিদা আক্তার একাই জাপটে ধরেন দুই বোমাবাজকে।
অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের নারী সদস্যদের এমন সাহসিকতা অন্যদের মধ্যে প্রেরণা ও
উদ্দীপনা তৈরি করছে। সাহস ও প্রত্যয়ে নারী পুলিশ সদস্যরা পুরুষের সমানে
সমান। তবু সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে নারী এখনও অনেক
ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে। তবে ধীরে নয়, দ্রুত ভাঙছে এমন বাঁধ। সমহিমায় নারী
এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বাহিনীতে এই মহিমার প্রমাণ মেলে। সাহসিকতা ও প্রশংসনীয়
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশ সপ্তাহ-২০১৫ উপলক্ষে তিন নারী পুলিশ সদস্য
'বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)' ও 'রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)' লাভ
করেন। তারা হলেন_ নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, উত্তরা ১১ আর্মড
পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সালমা বেগম ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের
(ডিবি) দক্ষিণ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী। সম্প্রতি
তিন কৃতী পুলিশ কর্মকর্তা সমকালের কাছে তুলে ধরেন তাদের জীবনের নানা গল্প।
তাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা, পুলিশে যোগদান ও কর্মক্ষেত্রের নানা
অম্লমধুর কথা সেখানে উঠে আসে।
আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াতে হবে
সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন আমেনা বেগম। এখন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নরসিংদী জেলায়। এর আগে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমেনার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। বর্তমানে তিনি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইম্যান পুলিশের এশিয়ান রিজিয়নের সমন্ব্বয়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরছেন। দু'দফা তিনি গুরুত্বপূর্ণ এ পদে নির্বাচিত হন। আমেনার জন্ম লক্ষ্মীপুরে। বাবা মোজাম্মেল হক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মা জাহানারা বেগম গৃহিণী। আমেনার সাফ কথা, নারীকে আরও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ভেদাভেদের ঘৃণ্য দেয়াল নারীকেই ভাঙতে হবে। শুধু অলঙ্কারিক নয়, চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপারেশনাল কাজে নারী পুলিশ সদস্যদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। আমেনা তার ভালো কাজের জন্য এবার পেলেন বিপিএম পদক।
সুযোগ পেলেই নারীরা যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন
পুলিশ ইউনিট-১১ এপিবিএনের অধিনায়ক সালমা বেগমের জন্ম বরিশালে। বাবা আবদুল করিম খান নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মা পুনয়ারা বেগম গৃহিণী। এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সালমা। সালমার স্ব্বামী খায়রুল আলম টুটুল ব্যাংক কর্মকর্তা। সালমার শৈশব, বেড়ে ওঠা ও উচ্চশিক্ষা_ সবই চট্টগ্রামে। ১৯৯৯ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম ও একমাত্র নারী পুলিশ ইউনিট-১১ এপিবিএনের অধিনায়ক হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। সালমা জানালেন, নারী পুলিশের সদস্যরা সুযোগ পেলে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যোগ্যতার প্রমাণ রাখছেন। হয়তো প্রথম প্রথম কেউ নিজেকে একটু গুটিয়ে রাখছেন। তবে সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সত্যি খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন। পরিবার সামলে তারা কর্মক্ষেত্রেও মূল্যবান অবদান রাখছেন। নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সালমা এবার পেয়েছেন পিপিএম পদক।
সূত্র ধরে ক্লুহীন কিছু বের করাতেই আনন্দ
ডিবির একজন চৌকস নারী পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদা আফরোজ লাকী। ২০১০ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশে যোগদান তার। এর আগে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পুলিশে যোগদানের পেছনের গল্পটি লাকীর সত্যি অসাধারণ। তিনি জানালেন, জুডিসিয়ারিতে কাজ করার সময় অনেক মামলায় তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের ত্রুটি-বিচ্যুতি তার চোখে ধরা পড়ে। এ কারণে ছাড়া পায় অনেক আসামি। সেই থেকে মাথায় ঘুরপাক খায়, যেভাবে হোক সরাসরি মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত হবেন। যেই ভাবনা, সেই কাজ। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় গোয়েন্দা পুলিশের এই নারী পুলিশ কর্মকর্তা একের পর এক চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে লাগলেন। বাবা-মা ও পরিচত জনদের যারা একসময় জুডিসিয়ালি ছেড়ে লাকীর পুলিশে যোগদানকে খুব একটা ভালোভাবে নেননি, তারাই এখন তার কাজের জন্য গর্ব করছেন। লাকী বলেন, 'মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থাকলে পুলিশ বাহিনীর চেয়ে ভালো বিভাগ আর নেই। আর কোনো নারী ভুক্তভোগী পেলে একজন নারী পুলিশ সদস্য হিসেবে তার সমস্যা, সংকট এমনকি প্রতারণার বিষয়টি দ্রুত ধরে ফেলতে পারি।' পুলিশের কাছ থেকে কোনো সেবা পাওয়ার পর সাধারণ মানুষের মুখে যে হাসি ফুটে ওঠে, তা দেখে প্রতিনিয়ত আরও ভালো কাজ করার প্রেরণা পান এই নারী গোয়েন্দা কর্মকর্তা। নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার তিনি পেলেন পিপিএম পদক। আর এই পদকপ্রাপ্তি তার দায় ও দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে তুলল মনে করেন লাকী।
তারপরও কথা থেকে যায়
পুলিশ বাহিনীতে নারী পুলিশের অভিষেক ঘটে ১৯৭৪ সালে ৭ জন এসআই এবং ৭ জন কনস্টেবল যোগদানের মাধ্যমে। ১৪ জন দুঃসাহসী নারীর যোগদানের মধ্য দিয়ে আজ পুলিশ বাহিনীতে নারী পুলিশের সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার, যা গোটা বাহিনীর ৩ দশমিক ৯৮ ভাগ মাত্র। বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান মোট সদস্য সংখ্যা এক লাখ ৫৫ হাজার ৮০৯ জন। পুলিশে নারীর জন্য বিসিএস ক্যাডারভুক্ত পদ রয়েছে ৩৩৩টি। বর্তমানে ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিএমপি, ডিসি, এসপি, এএসপি সব পদেই নারী যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছেন। নারী পুলিশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে খুব বেশিদিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে না যেদিন পুলিশপ্রধান (আইজিপি) হবেন একজন নারী। কিন্তু নারী পুলিশের সংখ্যা আমাদের হতাশ করে । উন্নত বিশ্ব এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়েও আমাদের নারী পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। অথচ আমাদের নারী পুলিশ যোগ্যতা-দক্ষতায় পিছিয়ে নেই মোটেও।
আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াতে হবে
সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন আমেনা বেগম। এখন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নরসিংদী জেলায়। এর আগে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমেনার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। বর্তমানে তিনি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইম্যান পুলিশের এশিয়ান রিজিয়নের সমন্ব্বয়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরছেন। দু'দফা তিনি গুরুত্বপূর্ণ এ পদে নির্বাচিত হন। আমেনার জন্ম লক্ষ্মীপুরে। বাবা মোজাম্মেল হক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মা জাহানারা বেগম গৃহিণী। আমেনার সাফ কথা, নারীকে আরও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ভেদাভেদের ঘৃণ্য দেয়াল নারীকেই ভাঙতে হবে। শুধু অলঙ্কারিক নয়, চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপারেশনাল কাজে নারী পুলিশ সদস্যদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। আমেনা তার ভালো কাজের জন্য এবার পেলেন বিপিএম পদক।
সুযোগ পেলেই নারীরা যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন
পুলিশ ইউনিট-১১ এপিবিএনের অধিনায়ক সালমা বেগমের জন্ম বরিশালে। বাবা আবদুল করিম খান নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মা পুনয়ারা বেগম গৃহিণী। এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সালমা। সালমার স্ব্বামী খায়রুল আলম টুটুল ব্যাংক কর্মকর্তা। সালমার শৈশব, বেড়ে ওঠা ও উচ্চশিক্ষা_ সবই চট্টগ্রামে। ১৯৯৯ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম ও একমাত্র নারী পুলিশ ইউনিট-১১ এপিবিএনের অধিনায়ক হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। সালমা জানালেন, নারী পুলিশের সদস্যরা সুযোগ পেলে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যোগ্যতার প্রমাণ রাখছেন। হয়তো প্রথম প্রথম কেউ নিজেকে একটু গুটিয়ে রাখছেন। তবে সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সত্যি খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন। পরিবার সামলে তারা কর্মক্ষেত্রেও মূল্যবান অবদান রাখছেন। নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সালমা এবার পেয়েছেন পিপিএম পদক।
সূত্র ধরে ক্লুহীন কিছু বের করাতেই আনন্দ
ডিবির একজন চৌকস নারী পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদা আফরোজ লাকী। ২০১০ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশে যোগদান তার। এর আগে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পুলিশে যোগদানের পেছনের গল্পটি লাকীর সত্যি অসাধারণ। তিনি জানালেন, জুডিসিয়ারিতে কাজ করার সময় অনেক মামলায় তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের ত্রুটি-বিচ্যুতি তার চোখে ধরা পড়ে। এ কারণে ছাড়া পায় অনেক আসামি। সেই থেকে মাথায় ঘুরপাক খায়, যেভাবে হোক সরাসরি মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত হবেন। যেই ভাবনা, সেই কাজ। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় গোয়েন্দা পুলিশের এই নারী পুলিশ কর্মকর্তা একের পর এক চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে লাগলেন। বাবা-মা ও পরিচত জনদের যারা একসময় জুডিসিয়ালি ছেড়ে লাকীর পুলিশে যোগদানকে খুব একটা ভালোভাবে নেননি, তারাই এখন তার কাজের জন্য গর্ব করছেন। লাকী বলেন, 'মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থাকলে পুলিশ বাহিনীর চেয়ে ভালো বিভাগ আর নেই। আর কোনো নারী ভুক্তভোগী পেলে একজন নারী পুলিশ সদস্য হিসেবে তার সমস্যা, সংকট এমনকি প্রতারণার বিষয়টি দ্রুত ধরে ফেলতে পারি।' পুলিশের কাছ থেকে কোনো সেবা পাওয়ার পর সাধারণ মানুষের মুখে যে হাসি ফুটে ওঠে, তা দেখে প্রতিনিয়ত আরও ভালো কাজ করার প্রেরণা পান এই নারী গোয়েন্দা কর্মকর্তা। নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার তিনি পেলেন পিপিএম পদক। আর এই পদকপ্রাপ্তি তার দায় ও দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে তুলল মনে করেন লাকী।
তারপরও কথা থেকে যায়
পুলিশ বাহিনীতে নারী পুলিশের অভিষেক ঘটে ১৯৭৪ সালে ৭ জন এসআই এবং ৭ জন কনস্টেবল যোগদানের মাধ্যমে। ১৪ জন দুঃসাহসী নারীর যোগদানের মধ্য দিয়ে আজ পুলিশ বাহিনীতে নারী পুলিশের সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার, যা গোটা বাহিনীর ৩ দশমিক ৯৮ ভাগ মাত্র। বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান মোট সদস্য সংখ্যা এক লাখ ৫৫ হাজার ৮০৯ জন। পুলিশে নারীর জন্য বিসিএস ক্যাডারভুক্ত পদ রয়েছে ৩৩৩টি। বর্তমানে ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিএমপি, ডিসি, এসপি, এএসপি সব পদেই নারী যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছেন। নারী পুলিশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে খুব বেশিদিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে না যেদিন পুলিশপ্রধান (আইজিপি) হবেন একজন নারী। কিন্তু নারী পুলিশের সংখ্যা আমাদের হতাশ করে । উন্নত বিশ্ব এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়েও আমাদের নারী পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। অথচ আমাদের নারী পুলিশ যোগ্যতা-দক্ষতায় পিছিয়ে নেই মোটেও।
No comments