উনি ভাবেন উত্তরপাড়া থেকে কেউ এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে -প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে কেউ ক্ষমতায় এলে সংবিধান অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির (ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট) ব্যবস্থা রয়েছে। বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, উনি ভাবেন উত্তরপাড়া
থেকে এসে কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। তারা যাদের নিয়ে ভাবেন তারাও জানে এভাবে
ক্ষমতায় এলে কি পরিণতি হয়। জিয়া, এরশাদ, ফখরুউদ্দিন-মইনউদ্দিনের পরিণতি
সবাই দেখেছে। এভাবে আগুনে কেউ পা দিতে আসবে না। গতকাল বিকালে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব
কথা বলেন তিনি। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে
আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল
আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া
চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাংবাদিক রাহাত খান, ঢাকা
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল
হোসেন চৌধুরী মায়া বক্তব্য রাখেন।
রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে সংলাপ ও সমঝোতার লক্ষ্যে নাগরিক সমাজের উদ্যোগের বিষয়েও আলোচনা সভায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সুশীল সমাজের ১৩ জনের একটি তালিকা দেখলাম। জানি না এই সুশীলের সংজ্ঞা কি। আমরা আগের বার যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন কেউ কেউ সচিব ছিলেন। অনেকে পদ-পদবির জন্য একটু আধটু তদবিরও করেছেন। কিছু দিনের জন্য হলেও কেবিনেট সেক্রেটারি হতে চেয়েছেন। তাদের কাছ থেকে এখন আমাদের ছবক নিতে হবে। তিনি বলেন, সুদখোর, ঘুষখোর ও চাটুকারদের দিয়ে এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে অবরোধ-হরতাল। অবরোধ দিয়ে তিনি নিজেই অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। উনার আশা ছিল কেউ এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সুশীল সমাজের কেউ উনাকে দেখতে গেছেন। কামাল হোসেন, মান্নারা সেখানে গেলেন। ভেবেছিলাম তারা যেহেতু হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে বলেন, খালেদা জিয়াকে তা বন্ধ করতে বলবেন। তারা এতো ন্যায়নীতির কথা বলেন, কিন্তু একটিবারওতো তা বললেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন ভারতে মোদি ক্ষমতায় এসেছেন। এবার একটা কিছু হবে। কিন্তু বিজেপি সভাপতির ফোন নিয়ে ধরা পড়ে গেছেন। উনি আমেরিকার আশায় বসে আছেন। কিন্তু আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরিও বলেছেন, আন্দোলনের নামে এভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা সহ্য করা যায় না। তিনিও এসব বন্ধ করতে বলেছেন। যে প্রভুদের দিকে উনি তাকিয়ে আছেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অনেকের সহযোগিতা আমরা পাইনি। পদ্মা সেতুতেও তারা সহযোগিতা করতে চায়নি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। ৭১-এ হানাদার বাহিনী যেভাবে আক্রমণ করেছিল এখন খালেদা বাহিনী একই কায়দায় মানুষকে আক্রমণ করছে। এর চেয়ে জঘন্য আর কি হতে পারে। জানি না উনার মনে কোন দয়ামায়া আছে কিনা? এতোকিছুর পর হরতাল-অবরোধে মানুষের সাড়া নেই। এতেও লজ্জা হয় না। বাসা ছেড়ে উনি কার্যালয়ে থাকছেন। বলা হচ্ছে সেখানে খাবার নেই। উনার ভাইবোন, বেয়াইয়ের বাসা থেকে খাবার যাচ্ছে। কিন্তু যেখান সেখানের খাবার গেলে কিছু হলে সে দায়তো আমাদের নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছেন। তিনি এখন নিজের ভুলের প্রতিশোধ জনগণের ওপর নিচ্ছেন। এখন জনগণও প্রতিরোধ শুরু করেছে। বোমাবাজদের ধরিয়ে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। এভাবে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে না দেয়ার বিরুদ্ধে দেশের মানুষই রুখে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, দেশের লাখো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছে না। কিন্তু উনি উনার নাতনিদের ঠিকই পরীক্ষা দেয়ার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। নিজের চিন্তা থাকলেও অন্যদের নিয়ে উনার কোন চিন্তা নেই।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম সুশীল সমাজের সমালোচনা করে বলেন, সু-শীল হলো সুন্দর নাপিত। তারা ভালো ‘কামাতে’ পারে। গণমাধ্যম সন্ত্রাসী বোমাবাজদের উস্কানি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানে যা খুশি তা করা নয়। যারা সন্ত্রাসে উস্কানি দেয় সহযোগী হিসেবে তাদের বিচার করা হবে। এটি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
পেট্রলবোমার হুকুমদাতাদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যাকারী এবং তাদের হুকুমদাতাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। গতকাল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। হরতাল-অবরোধের নামে আগুন-বোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারীদের একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো মনে করি, ১৯৭১ সালে যারা আমাদের নারী-শিশুদের হত্যা করেছে, নারীদের ওপর অত্যাচার করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে; এখন যারা এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে, পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে-এদের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। এরা একই লোক- একই ধরনের, একই মানসিকতা নিয়ে তারা করছে। কাজেই এদেরও বিচার হতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধে নাশকতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থা থেকে দেশের মানুষকে উদ্ধার করতেই হবে। যারা এখন হাতেনাতে ধরা পড়েছে এদের বিচারটা দ্রুত করে ফেলা।... যারা এর সঙ্গে জড়িত- একটা হচ্ছে হুকুমদাতা যে তাদের নির্দেশ দিচ্ছে। অর্থের জোগানদারকে বের করা, বোমাগুলো তৈরি করছে কে, বোমাগুলো সরবরাহ দিচ্ছে কে, মারছে কে? এদের প্রত্যেকটা স্তরেই বোধহয় বিচার খুব কঠিনভাবে হওয়া দরকার। কারণ এ অবস্থা চলতে পারে না। বোমা হামলায় জড়িতদের ধরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা খুঁজে খুঁজে বের করছে, ধরছে। ধরার ফলে অনেক নাশকতা থেকে বাংলাদেশ বাঁচছে। কিন্তু তাদের বিচারটা দ্রুত হওয়া দরকার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে আর যেন কেউ এভাবে করতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হয়েছিলাম যে, দেশের উন্নয়নটা কত বেশি দ্রুত করব। সেখানে প্রতিশোধমূলক মনোভাব নিয়ে কিন্তু আমরা তাকাইনি বলেই হয়তো অনেকে রেহাই পেয়ে গেছে, যার জন্য আজকে এরা বাড়তে পেরেছে। আগামীতে কিন্তু সেটা করা যাবে। এর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা আমাদের নিতেই হবে। নাশকতা ঘটিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে হেয় করা হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্জন কী করছে সেটা আমি জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মান, সম্মান, মর্যাদা যে ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করছে এবং বাংলাদেশকে যে আজকে একটা প্রশ্নের সম্মুখীনে নিয়ে আসা; এটা কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট খুব ভালভাবে করে দিয়েছে।
রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে সংলাপ ও সমঝোতার লক্ষ্যে নাগরিক সমাজের উদ্যোগের বিষয়েও আলোচনা সভায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সুশীল সমাজের ১৩ জনের একটি তালিকা দেখলাম। জানি না এই সুশীলের সংজ্ঞা কি। আমরা আগের বার যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন কেউ কেউ সচিব ছিলেন। অনেকে পদ-পদবির জন্য একটু আধটু তদবিরও করেছেন। কিছু দিনের জন্য হলেও কেবিনেট সেক্রেটারি হতে চেয়েছেন। তাদের কাছ থেকে এখন আমাদের ছবক নিতে হবে। তিনি বলেন, সুদখোর, ঘুষখোর ও চাটুকারদের দিয়ে এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে অবরোধ-হরতাল। অবরোধ দিয়ে তিনি নিজেই অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। উনার আশা ছিল কেউ এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সুশীল সমাজের কেউ উনাকে দেখতে গেছেন। কামাল হোসেন, মান্নারা সেখানে গেলেন। ভেবেছিলাম তারা যেহেতু হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে বলেন, খালেদা জিয়াকে তা বন্ধ করতে বলবেন। তারা এতো ন্যায়নীতির কথা বলেন, কিন্তু একটিবারওতো তা বললেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন ভারতে মোদি ক্ষমতায় এসেছেন। এবার একটা কিছু হবে। কিন্তু বিজেপি সভাপতির ফোন নিয়ে ধরা পড়ে গেছেন। উনি আমেরিকার আশায় বসে আছেন। কিন্তু আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরিও বলেছেন, আন্দোলনের নামে এভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা সহ্য করা যায় না। তিনিও এসব বন্ধ করতে বলেছেন। যে প্রভুদের দিকে উনি তাকিয়ে আছেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অনেকের সহযোগিতা আমরা পাইনি। পদ্মা সেতুতেও তারা সহযোগিতা করতে চায়নি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। ৭১-এ হানাদার বাহিনী যেভাবে আক্রমণ করেছিল এখন খালেদা বাহিনী একই কায়দায় মানুষকে আক্রমণ করছে। এর চেয়ে জঘন্য আর কি হতে পারে। জানি না উনার মনে কোন দয়ামায়া আছে কিনা? এতোকিছুর পর হরতাল-অবরোধে মানুষের সাড়া নেই। এতেও লজ্জা হয় না। বাসা ছেড়ে উনি কার্যালয়ে থাকছেন। বলা হচ্ছে সেখানে খাবার নেই। উনার ভাইবোন, বেয়াইয়ের বাসা থেকে খাবার যাচ্ছে। কিন্তু যেখান সেখানের খাবার গেলে কিছু হলে সে দায়তো আমাদের নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছেন। তিনি এখন নিজের ভুলের প্রতিশোধ জনগণের ওপর নিচ্ছেন। এখন জনগণও প্রতিরোধ শুরু করেছে। বোমাবাজদের ধরিয়ে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। এভাবে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে না দেয়ার বিরুদ্ধে দেশের মানুষই রুখে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, দেশের লাখো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছে না। কিন্তু উনি উনার নাতনিদের ঠিকই পরীক্ষা দেয়ার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। নিজের চিন্তা থাকলেও অন্যদের নিয়ে উনার কোন চিন্তা নেই।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম সুশীল সমাজের সমালোচনা করে বলেন, সু-শীল হলো সুন্দর নাপিত। তারা ভালো ‘কামাতে’ পারে। গণমাধ্যম সন্ত্রাসী বোমাবাজদের উস্কানি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানে যা খুশি তা করা নয়। যারা সন্ত্রাসে উস্কানি দেয় সহযোগী হিসেবে তাদের বিচার করা হবে। এটি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
পেট্রলবোমার হুকুমদাতাদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যাকারী এবং তাদের হুকুমদাতাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। গতকাল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। হরতাল-অবরোধের নামে আগুন-বোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারীদের একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো মনে করি, ১৯৭১ সালে যারা আমাদের নারী-শিশুদের হত্যা করেছে, নারীদের ওপর অত্যাচার করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে; এখন যারা এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে, পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে-এদের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। এরা একই লোক- একই ধরনের, একই মানসিকতা নিয়ে তারা করছে। কাজেই এদেরও বিচার হতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধে নাশকতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থা থেকে দেশের মানুষকে উদ্ধার করতেই হবে। যারা এখন হাতেনাতে ধরা পড়েছে এদের বিচারটা দ্রুত করে ফেলা।... যারা এর সঙ্গে জড়িত- একটা হচ্ছে হুকুমদাতা যে তাদের নির্দেশ দিচ্ছে। অর্থের জোগানদারকে বের করা, বোমাগুলো তৈরি করছে কে, বোমাগুলো সরবরাহ দিচ্ছে কে, মারছে কে? এদের প্রত্যেকটা স্তরেই বোধহয় বিচার খুব কঠিনভাবে হওয়া দরকার। কারণ এ অবস্থা চলতে পারে না। বোমা হামলায় জড়িতদের ধরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা খুঁজে খুঁজে বের করছে, ধরছে। ধরার ফলে অনেক নাশকতা থেকে বাংলাদেশ বাঁচছে। কিন্তু তাদের বিচারটা দ্রুত হওয়া দরকার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে আর যেন কেউ এভাবে করতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হয়েছিলাম যে, দেশের উন্নয়নটা কত বেশি দ্রুত করব। সেখানে প্রতিশোধমূলক মনোভাব নিয়ে কিন্তু আমরা তাকাইনি বলেই হয়তো অনেকে রেহাই পেয়ে গেছে, যার জন্য আজকে এরা বাড়তে পেরেছে। আগামীতে কিন্তু সেটা করা যাবে। এর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা আমাদের নিতেই হবে। নাশকতা ঘটিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে হেয় করা হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্জন কী করছে সেটা আমি জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মান, সম্মান, মর্যাদা যে ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করছে এবং বাংলাদেশকে যে আজকে একটা প্রশ্নের সম্মুখীনে নিয়ে আসা; এটা কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট খুব ভালভাবে করে দিয়েছে।
No comments