বেসরকারি মেডিকেল- বিডিএস কোর্সে ভর্তির পাস নম্বর কমেছে
বেসরকারি
মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কের্সে ভর্তিতে দুই ধরনের পাস নম্বর
নির্ধারণ করা হয়েছে। এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে লিখিত পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০
বহাল থাকলেও বিডিএস কোর্সের ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি এক
সরকারি আদেশে বিডিএস কোর্সের ক্ষেত্রে ১০ নম্বর কমিয়ে পাস নম্বর ৩০ করা
হয়েছে। দেশের চিকিৎসা শাস্ত্রের সমমানের দুটি কোর্সে লিখিত পরীক্ষায় পাস
নম্বরের ক্ষেত্রে পৃথক সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের মতে, মেডিকেল শিক্ষায় এমবিবিএস ও বিডিএস একই কারিকুলামে পরিচালিত হয়। বিডিএস কোর্সে নম্বর কমানো হলে এমবিবিএস কোর্সের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষ বলছে, ডেন্টাল কলেজে ৯৫ শতাংশেরও বেশি আসন শূন্য থাকায় ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির পাস নম্বর কমানো হবে না।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার্থী সংকট ও দুরবস্থার জন্য অপরিকল্পিত অনুমোদন, শিক্ষার গুণগত মানের অবনতি, ভালো শিক্ষকের সংকট, উচ্চহারে ফি আদায়সহ কয়েকটি কারণকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে নির্ধারিত আসনের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি পরীক্ষার্থী পাস করলেও মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থী পাচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব এ প্রসঙ্গে সমকালকে বলেন, অধিকারসহ রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়ায় কলেজগুলোর এই দুরবস্থা। বর্তমানে এ সেক্টরে চরম নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। মেডিকেল কলেজ খুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে, অথচ তাদের পড়ানোর মতো যোগ্য ও পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। যথাযথ মানের অভাব এবং উচ্চ হারে ভর্তি ও অন্যান্য ফি নির্ধারণের কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থী পাচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।
বিপিএমসিএ সভাপতি ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন সমকালকে বলেন, পাস নম্বর ২০ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করায় কমসংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করেছে। এ কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশের ৬৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ৮৫৫ আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি মেডিকেলে এমবিবিএস কোর্সে ৫ হাজার ৪৭৫টি এবং ১৮টি ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ৪৬টি মেডিকেলে এমবিবিএস কোর্সে ২ হাজার ১৯৬টি আসন শূন্য রয়েছে।
ডেন্টাল কলেজগুলোতে এ পর্যন্ত মাত্র ৭৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া সদ্য অনুমোদন পাওয়া মেডিকেল কলেজগুলোতে ৫০০ আসন খালি পড়ে আছে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিক সমিতির ট্রেজারার ইকরাম হোসেন বিজু সমকালকে বলেন, শিক্ষার্থীর অভাবে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- সরকার এ বিষয়টি উপলব্ধি করে পাস নম্বর কমিয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানান। পাশাপাশি এমবিবিএস কোর্সেও পাস নম্বর কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের মতে, মেডিকেল শিক্ষায় এমবিবিএস ও বিডিএস একই কারিকুলামে পরিচালিত হয়। বিডিএস কোর্সে নম্বর কমানো হলে এমবিবিএস কোর্সের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষ বলছে, ডেন্টাল কলেজে ৯৫ শতাংশেরও বেশি আসন শূন্য থাকায় ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির পাস নম্বর কমানো হবে না।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার্থী সংকট ও দুরবস্থার জন্য অপরিকল্পিত অনুমোদন, শিক্ষার গুণগত মানের অবনতি, ভালো শিক্ষকের সংকট, উচ্চহারে ফি আদায়সহ কয়েকটি কারণকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে নির্ধারিত আসনের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি পরীক্ষার্থী পাস করলেও মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থী পাচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব এ প্রসঙ্গে সমকালকে বলেন, অধিকারসহ রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়ায় কলেজগুলোর এই দুরবস্থা। বর্তমানে এ সেক্টরে চরম নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। মেডিকেল কলেজ খুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে, অথচ তাদের পড়ানোর মতো যোগ্য ও পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। যথাযথ মানের অভাব এবং উচ্চ হারে ভর্তি ও অন্যান্য ফি নির্ধারণের কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থী পাচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।
বিপিএমসিএ সভাপতি ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন সমকালকে বলেন, পাস নম্বর ২০ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করায় কমসংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করেছে। এ কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশের ৬৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ৮৫৫ আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি মেডিকেলে এমবিবিএস কোর্সে ৫ হাজার ৪৭৫টি এবং ১৮টি ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ৪৬টি মেডিকেলে এমবিবিএস কোর্সে ২ হাজার ১৯৬টি আসন শূন্য রয়েছে।
ডেন্টাল কলেজগুলোতে এ পর্যন্ত মাত্র ৭৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া সদ্য অনুমোদন পাওয়া মেডিকেল কলেজগুলোতে ৫০০ আসন খালি পড়ে আছে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিক সমিতির ট্রেজারার ইকরাম হোসেন বিজু সমকালকে বলেন, শিক্ষার্থীর অভাবে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- সরকার এ বিষয়টি উপলব্ধি করে পাস নম্বর কমিয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানান। পাশাপাশি এমবিবিএস কোর্সেও পাস নম্বর কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
No comments