ধর্ষণের পর শাহিনুরের মাথার খুলি ফাটিয়ে দেয় ধর্ষকরা by আশরাফুল ইসলাম
স্বর্ণলতা
পরিবহনের বাসের চালক নূরুজ্জামান নূরু, হেলপার লালন মিয়া এবং বোরহান এই
তিনজনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে। ঘটনাটিকে
সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে তানিয়াকে বাস থেকে নিচে ফেলে দেয়া হয়। গত
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনার সোয়া দুই ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১১টার দিকে
স্বর্ণলতা পরিবহনের কটিয়াদীর কাউন্টার মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম রফিক এবং
স্বর্ণলতা পরিবহনের সুপারভাইজার আল আমিন তানিয়ার নিথর দেহ কটিয়াদী উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পাশবিক অত্যাচার ও বাস থেকে ফেলে দিয়ে
গুরুতর আহত হওয়ার পর দুই ঘণ্টারও বেশি সময় চিকিৎসা না পেয়ে তানিয়ার মৃত্যু
হয়। শনিবার রাতে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে
ধর্ষণকাণ্ডে ব্যবহৃত স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসটি (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৪২৭৪)
পুলিশ জব্দ করার পর আলামত ও নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট।
শনিবার বিকালে ময়মনসিংহের সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের একটি টিম বাজিতপুর
থানায় রাখা বাসটি থেকে আলামত ও নমুনা সংগ্রহ করেন। অন্যদিকে ময়নাতদন্ত
রিপোর্টে বলা হয়েছে, তানিয়ার মাথার পেছন দিকে ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে
ধর্ষকরা।
এতে তার মাথার পেছনের খুলি ফেটে যায়। কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন সূত্র জানিয়েছে, এ প্রতিবেদন বাজিতপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান জানান, বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু ও হেলপার লালন মিয়া রিমান্ডে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে বাসটিতে বাসচালক নূরু ও হেলপার লালন মিয়া ছাড়াও বোরহান নামে আরেকজন ছিল। বোরহান নূরুর খালাতো ভাই এবং বাসটির অপর হেলপার। তার বাড়িও গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি পিরিজপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় চালকের আসনে বসে হেলপার লালন মিয়া বাসটি চালাচ্ছিল। রাত ৮টার দিকে পথে গজারিয়া এলাকায় একটি কলাবাগানের পাশে বাসটি থামিয়ে তানিয়ার উপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়। তানিয়ার চিৎকার যেন বাইরে না যায় এজন্যে বাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়া হয়। লালনকে চালকের আসনে রেখে বাসচালক নূরু মিয়া হামলে পড়ে তানিয়ার উপর। তানিয়া সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে গেলে বাসে থাকা অপর হেলপার বোরহান তানিয়াকে ধরে রাখে। এ সময়ে লালন ধীরে ধীরে বাসটি চালাতে থাকে। চলন্ত বাসটিতে তিন ধর্ষকের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাসেই লুটিয়ে পড়ে তানিয়া।
পরে ঘটনাটিকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে তানিয়াকে বাস থেকে নিচে ফেলে দেয় ধর্ষক। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তানিয়া। রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকেন তানিয়া। এ অবস্থায় তানিয়া বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন জানিয়ে তাকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরিজপুর বাজারের সততা ফার্মেসিতে নেয়া হয়। সততা ফার্মেসির হাবিবুর রহমান মেয়েটিকে দেখে তাকে দ্রুত কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বাসের চালক ও হেলপার মেয়েটিকে একটি সিএনজিতে তুলে দিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অচেনা কোন মেয়েকে একা হাসপাতালে নিতে কোন সিএনজি রাজি না হওয়ায় তানিয়াকে আবারও বাসে তুলে নেয় ধর্ষকদল। প্রায় দুই ঘন্টা মুমূর্ষু তানিয়াকে নিয়ে এখানে-সেখানে ঘুরাফেরার পর কটিয়াদীর কাউন্টার মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম রফিক এবং সুপারভাইজার আল আমিন একটি সিএনজিতে করে তানিয়ার নিথর দেহ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ততক্ষণে তানিয়া চলে যান না ফেরার দেশে।
নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন ডিপ্লোমা নার্স ছিলেন। কর্মস্থল ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার জন্য গত সোমবার বিকাল ৩টায় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৪২৭৪) ওঠেন। স্বর্ণলতা পরিবহনের বাস মহাখালী থেকে কটিয়াদী হয়ে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলাচল করে। বাসে ওঠে তানিয়া তার বাবাকে জানান, তিনি পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে নামবেন। কিন্তু বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় রাত সাড়ে ৮টায় তানিয়ার মোবাইলে ফোন করে নম্বরটি বন্ধ পান বাবা গিয়াস উদ্দিন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফোন করে এক ব্যক্তি গিয়াস উদ্দিনকে জানায়, তার মেয়ে বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে এবং বর্তমানে সে কটিয়াদী হাসপাতালে রয়েছে। এ খবর পেয়ে স্বজনেরা হাসপাতালে গিয়ে তানিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পড়ে থাকতে দেখেন।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ মামলার তদন্তের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য রোববার ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন কিশোরগঞ্জের আসছেন বলে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, বিপিএম (বার) জানিয়েছে।
এদিকে পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিশোরগঞ্জে ক্ষোভ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শহরের আখড়াবাজার ব্রীজ সংলগ্ন সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে মানবাধিকার নাট্য পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখাসহ একাধিক সংগঠন। কর্মসূচিতে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট অশোক সরকার জেলা পাবলিক লাাইব্রেরিব সম্পাদক অ্যাডভোটেক মোজাম্মেল হক খান রতন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংস্কৃতি কর্মী অসীম সরকার বাধন, অনলাইন এক্টিভিস্ট শিপন করিম, জেলা মানবাধিকার নাট্য পরিষদের সভাপতি হারুন আল রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত করিম অমি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বক্তারা চলন্ত বাসে নার্স তানিয়াকে গণধর্ষণ শেষে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।
তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় শনিবার কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় আরও কয়েকটি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়। এসব কর্মসূচি থেকে তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান এবং মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানানো হয়।
এতে তার মাথার পেছনের খুলি ফেটে যায়। কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন সূত্র জানিয়েছে, এ প্রতিবেদন বাজিতপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান জানান, বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু ও হেলপার লালন মিয়া রিমান্ডে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে বাসটিতে বাসচালক নূরু ও হেলপার লালন মিয়া ছাড়াও বোরহান নামে আরেকজন ছিল। বোরহান নূরুর খালাতো ভাই এবং বাসটির অপর হেলপার। তার বাড়িও গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি পিরিজপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় চালকের আসনে বসে হেলপার লালন মিয়া বাসটি চালাচ্ছিল। রাত ৮টার দিকে পথে গজারিয়া এলাকায় একটি কলাবাগানের পাশে বাসটি থামিয়ে তানিয়ার উপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়। তানিয়ার চিৎকার যেন বাইরে না যায় এজন্যে বাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়া হয়। লালনকে চালকের আসনে রেখে বাসচালক নূরু মিয়া হামলে পড়ে তানিয়ার উপর। তানিয়া সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে গেলে বাসে থাকা অপর হেলপার বোরহান তানিয়াকে ধরে রাখে। এ সময়ে লালন ধীরে ধীরে বাসটি চালাতে থাকে। চলন্ত বাসটিতে তিন ধর্ষকের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাসেই লুটিয়ে পড়ে তানিয়া।
পরে ঘটনাটিকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে তানিয়াকে বাস থেকে নিচে ফেলে দেয় ধর্ষক। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তানিয়া। রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকেন তানিয়া। এ অবস্থায় তানিয়া বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন জানিয়ে তাকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরিজপুর বাজারের সততা ফার্মেসিতে নেয়া হয়। সততা ফার্মেসির হাবিবুর রহমান মেয়েটিকে দেখে তাকে দ্রুত কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বাসের চালক ও হেলপার মেয়েটিকে একটি সিএনজিতে তুলে দিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অচেনা কোন মেয়েকে একা হাসপাতালে নিতে কোন সিএনজি রাজি না হওয়ায় তানিয়াকে আবারও বাসে তুলে নেয় ধর্ষকদল। প্রায় দুই ঘন্টা মুমূর্ষু তানিয়াকে নিয়ে এখানে-সেখানে ঘুরাফেরার পর কটিয়াদীর কাউন্টার মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম রফিক এবং সুপারভাইজার আল আমিন একটি সিএনজিতে করে তানিয়ার নিথর দেহ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ততক্ষণে তানিয়া চলে যান না ফেরার দেশে।
নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন ডিপ্লোমা নার্স ছিলেন। কর্মস্থল ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার জন্য গত সোমবার বিকাল ৩টায় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৪২৭৪) ওঠেন। স্বর্ণলতা পরিবহনের বাস মহাখালী থেকে কটিয়াদী হয়ে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলাচল করে। বাসে ওঠে তানিয়া তার বাবাকে জানান, তিনি পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে নামবেন। কিন্তু বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় রাত সাড়ে ৮টায় তানিয়ার মোবাইলে ফোন করে নম্বরটি বন্ধ পান বাবা গিয়াস উদ্দিন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফোন করে এক ব্যক্তি গিয়াস উদ্দিনকে জানায়, তার মেয়ে বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে এবং বর্তমানে সে কটিয়াদী হাসপাতালে রয়েছে। এ খবর পেয়ে স্বজনেরা হাসপাতালে গিয়ে তানিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পড়ে থাকতে দেখেন।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ মামলার তদন্তের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য রোববার ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন কিশোরগঞ্জের আসছেন বলে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, বিপিএম (বার) জানিয়েছে।
এদিকে পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিশোরগঞ্জে ক্ষোভ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শহরের আখড়াবাজার ব্রীজ সংলগ্ন সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে মানবাধিকার নাট্য পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখাসহ একাধিক সংগঠন। কর্মসূচিতে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট অশোক সরকার জেলা পাবলিক লাাইব্রেরিব সম্পাদক অ্যাডভোটেক মোজাম্মেল হক খান রতন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংস্কৃতি কর্মী অসীম সরকার বাধন, অনলাইন এক্টিভিস্ট শিপন করিম, জেলা মানবাধিকার নাট্য পরিষদের সভাপতি হারুন আল রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত করিম অমি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বক্তারা চলন্ত বাসে নার্স তানিয়াকে গণধর্ষণ শেষে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।
তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় শনিবার কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় আরও কয়েকটি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়। এসব কর্মসূচি থেকে তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান এবং মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানানো হয়।
No comments