মধ্যপ্রাচ্যে আবার যুদ্ধের হুঙ্কার!
মধ্যপ্রাচ্যে
আবার একটি যুদ্ধের হুঙ্কার। সাজানো হচ্ছে যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধজাহাজ।
ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে ইরানকে।
ইরানের ‘হুমকি’র জবাবে এমন রণপ্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরান সাফ
জানিয়ে দিয়েছে, মাত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ
ফ্লিটকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা এখন
তুঙ্গে। ইরানের শক্তিধর রেভ্যুলুশনারি গার্ড আলাদা করে বলে দিয়েছে,
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় যাবে না ইরান।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও তার উদারপন্থি মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাওয়ার বিষয়টিও এতে উবে গেল। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ইরানের হুমকির জবাবে তারা এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু কি সেই হুমকি সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলে নি তারা। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগকে ইরান ‘ননসেন্স’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তারা বলেছে, ইরানকে ভীতি প্রদর্শনের জন্য এটা হলো যুক্তরাষ্ট্রের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। এমন অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম বা আকাশ পথে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগে থেকেই পারস্য উপসাগরে মোতায়েন করা আছে ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন যুদ্ধজাহাজ। যুদ্ধবিমান বহনকারী এ বিমানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ ইউএসএস আরলিংটন। এতে থাকছে উভচর যুদ্ধযান ও যুদ্ধবিমান। পেন্টাগন বলেছে, তাদের কাতারের ঘাঁটিতে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ইউএস বি-৫২ যুদ্ধবিমান। মোদ্দাকথা, ইরানকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে, পারস্য উপসাগরে আরেকটি যুদ্ধের আলামত ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ট্রিগারে টান পড়লেই বারুদের গন্ধ ছুটবে।
তবে তাতে দৃশ্যত ভীত নয় ইরান। দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ইনসা’কে দেশটির একজন সিনিয়র ধর্মীয় নেতা ইউসেফ তাবাতাবাই নেজাদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ফ্লিটকে ধ্বংস করে দিতে পারে ইরানের একটিমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র। শুক্রবার পেন্টাগন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি ও স্বার্থ রক্ষায় প্রস্তুত ওয়াশিংটন। পেন্টাগণের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের শাসকগোষ্ঠীর কর্মকা- ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে যোগ করা হয়, সম্ভাব্য যেকোনো হামলা মোকাবিলার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে প্যাটিয়ট সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও এডভান্সড যুদ্ধবিমানকে কাউন্টার দেয়া হয়। কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াকে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের জন্য এরই মধ্যে যাত্রা শুরু করেছে ইউএসএস আরলিংটন।
এর আগে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই মিলিটারি মোতায়েন হলো একটি সুস্পষ্ট ও যথার্থ বার্তা ইরানের শাসকগোষ্ঠীর জন্য। এর অর্থ হলো ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্বার্থে যেকোন হামলার জবাব হবে ভয়াবহ। ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন গত বৃহস্পতিবার সুয়েজ খাল অতিক্রম করে গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড। এ অবস্থায় বিবিসির প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক প্রতিনিধি জোনাথন মারকাস বলেছেন, পারস্য উপসাগরে যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধজাহাজ ও তাদের ‘ব্যাটেল গ্রুপ’ পাঠানো কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিন্তু বর্তমানে দু’পক্ষের মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে তাতে যেকোনো দুর্ঘটনা বা পরিকল্পনায় যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি করে। কিন্তু গত বছর একতরফাভাবে সেই চুক্তি প্রত্যাহার করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ওই চুক্তির অধীনে ইরান তার স্পর্শকাতর পারমাণবিক কর্মকান্ড সীমিত করতে রাজি হয়। তা পরীক্ষা করতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয়। বিনিময়ে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই চুক্তি প্রত্যাহার করে অবরোধ আরোপ করেন। শুরু হয় নতুন করে উত্তেজনা। সম্প্রতি ইরান ঘোষণা দিয়েছে তারা ওই চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ শর্ত স্থগিত করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করে যাবে। সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হবে তাদের আভ্যন্তরীণ কাজের জন্য। সেটা হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহার।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও তার উদারপন্থি মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাওয়ার বিষয়টিও এতে উবে গেল। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ইরানের হুমকির জবাবে তারা এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু কি সেই হুমকি সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলে নি তারা। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগকে ইরান ‘ননসেন্স’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তারা বলেছে, ইরানকে ভীতি প্রদর্শনের জন্য এটা হলো যুক্তরাষ্ট্রের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। এমন অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম বা আকাশ পথে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগে থেকেই পারস্য উপসাগরে মোতায়েন করা আছে ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন যুদ্ধজাহাজ। যুদ্ধবিমান বহনকারী এ বিমানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ ইউএসএস আরলিংটন। এতে থাকছে উভচর যুদ্ধযান ও যুদ্ধবিমান। পেন্টাগন বলেছে, তাদের কাতারের ঘাঁটিতে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ইউএস বি-৫২ যুদ্ধবিমান। মোদ্দাকথা, ইরানকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে, পারস্য উপসাগরে আরেকটি যুদ্ধের আলামত ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ট্রিগারে টান পড়লেই বারুদের গন্ধ ছুটবে।
তবে তাতে দৃশ্যত ভীত নয় ইরান। দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ইনসা’কে দেশটির একজন সিনিয়র ধর্মীয় নেতা ইউসেফ তাবাতাবাই নেজাদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ফ্লিটকে ধ্বংস করে দিতে পারে ইরানের একটিমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র। শুক্রবার পেন্টাগন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি ও স্বার্থ রক্ষায় প্রস্তুত ওয়াশিংটন। পেন্টাগণের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের শাসকগোষ্ঠীর কর্মকা- ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে যোগ করা হয়, সম্ভাব্য যেকোনো হামলা মোকাবিলার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে প্যাটিয়ট সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও এডভান্সড যুদ্ধবিমানকে কাউন্টার দেয়া হয়। কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াকে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের জন্য এরই মধ্যে যাত্রা শুরু করেছে ইউএসএস আরলিংটন।
এর আগে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই মিলিটারি মোতায়েন হলো একটি সুস্পষ্ট ও যথার্থ বার্তা ইরানের শাসকগোষ্ঠীর জন্য। এর অর্থ হলো ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্বার্থে যেকোন হামলার জবাব হবে ভয়াবহ। ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন গত বৃহস্পতিবার সুয়েজ খাল অতিক্রম করে গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড। এ অবস্থায় বিবিসির প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক প্রতিনিধি জোনাথন মারকাস বলেছেন, পারস্য উপসাগরে যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধজাহাজ ও তাদের ‘ব্যাটেল গ্রুপ’ পাঠানো কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিন্তু বর্তমানে দু’পক্ষের মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে তাতে যেকোনো দুর্ঘটনা বা পরিকল্পনায় যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি করে। কিন্তু গত বছর একতরফাভাবে সেই চুক্তি প্রত্যাহার করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ওই চুক্তির অধীনে ইরান তার স্পর্শকাতর পারমাণবিক কর্মকান্ড সীমিত করতে রাজি হয়। তা পরীক্ষা করতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয়। বিনিময়ে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই চুক্তি প্রত্যাহার করে অবরোধ আরোপ করেন। শুরু হয় নতুন করে উত্তেজনা। সম্প্রতি ইরান ঘোষণা দিয়েছে তারা ওই চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ শর্ত স্থগিত করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করে যাবে। সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হবে তাদের আভ্যন্তরীণ কাজের জন্য। সেটা হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহার।
No comments