বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষীর সঙ্গে মিয়ানমারের আচরণে ক্ষোভ
মিয়ানমারের
কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে আটক এক বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষীর যে ছবি ফেসবুকে
প্রকাশ করেছে, তা বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করেছে। অনেকেই ছবিটি ফেসবুকে
শেয়ার করছেন এবং আটক সীমান্তরক্ষীর সঙ্গে অবমাননাকর আচরণের অভিযোগ তুলছেন
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডস বা বিজিবির সদস্য আবদুর
রাজ্জাককে গত মঙ্গলবার টেকনাফের নাফ নদী থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা
ধরে নিয়ে যায়। সেদিন দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে গোলাগুলিতে
বিজিবির অপর এক সদস্য আহত হন। অপহৃত বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে
আনার জন্য বাংলাদেশ গত কয়েকদিন ধরে চেষ্টা চালালেও এখনো কোন অগ্রগতি
হয়নি। এ নিয়ে দুদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েনও দেখা যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার
ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে ছবিটি ফেসবুকে অনেকেই শেয়ার করছেন সেটি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের। ফেসবুকে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে আবদুর রাজ্জাককে হাতকড়া পরানো অবস্থায় একটি চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাঁর পরনে লুঙ্গি আর বিজিবির ইউনিফর্ম। আরেকটি ছবিতে দেখা যায় তার সামনে কিছু অস্ত্র রাখা। মিস্টার রাজ্জাকের মুখে আঘাতের চিহ্ণও দেখা যাচ্ছে। তাঁর নাকের কাছে ক্ষতচিহ্ণ এবং শুকিয়ে কালচে হয়ে যাওয়া রক্তের দাগ।
বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসের সাংবাদিক কো কো আং নিশ্চিত করেছেন যে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষই এই ছবিটি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট একটি সংবাদপত্র মায়াওয়াদিতে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। তাদের ওয়েবসাইটে অবশ্য এখন আগের ছবিটি সরিয়ে একটি নতুন ছবি দেয়া হয়েছে যেটিতে আবদুর রাজ্জাককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেশী একটি দেশের একজন সীমান্ত রক্ষীকে ধরে নিয়ে গিয়ে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যে আচরণ করেছে তাকে বাংলাদেশের অনেকেই অবমাননাকর এবং চরম আপত্তিকর বলে মনে করছেন।
অনেকেই এটিকে জাতীয় লজ্জা বলে বর্ণনা করেছেন।
ফেসবুকে এম এম আমিনুর রহমান লিখেছেন , বার্মার মতো দুর্বল একটি দেশের সীমান্তরক্ষীরা ধরে নিয়ে বেঁধে রেখেছে? এই লজ্জা দেশের, এই লজ্জা পুরো জাতির । ফেসবুকে আরাফাত সিদ্দিকী নামে আরেকজন লিখেছেন , আমাদের বিজিবি সদস্য নায়েক রাজ্জাকের শিকল দিয়ে হাত বাঁধা ছবিটি যতবার চোখে পড়ছে ততবারই মনে হচ্ছে মিয়ানমার বাহিনী আমাকেই বেঁধে রেখেছে। আজ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন বিজিবি সদস্য অপহরনের ঘটনা জাতির জন্য লজ্জা । সূত্র- বিবিসি বাংলা
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে ছবিটি ফেসবুকে অনেকেই শেয়ার করছেন সেটি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের। ফেসবুকে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে আবদুর রাজ্জাককে হাতকড়া পরানো অবস্থায় একটি চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাঁর পরনে লুঙ্গি আর বিজিবির ইউনিফর্ম। আরেকটি ছবিতে দেখা যায় তার সামনে কিছু অস্ত্র রাখা। মিস্টার রাজ্জাকের মুখে আঘাতের চিহ্ণও দেখা যাচ্ছে। তাঁর নাকের কাছে ক্ষতচিহ্ণ এবং শুকিয়ে কালচে হয়ে যাওয়া রক্তের দাগ।
বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসের সাংবাদিক কো কো আং নিশ্চিত করেছেন যে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষই এই ছবিটি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট একটি সংবাদপত্র মায়াওয়াদিতে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। তাদের ওয়েবসাইটে অবশ্য এখন আগের ছবিটি সরিয়ে একটি নতুন ছবি দেয়া হয়েছে যেটিতে আবদুর রাজ্জাককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেশী একটি দেশের একজন সীমান্ত রক্ষীকে ধরে নিয়ে গিয়ে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যে আচরণ করেছে তাকে বাংলাদেশের অনেকেই অবমাননাকর এবং চরম আপত্তিকর বলে মনে করছেন।
অনেকেই এটিকে জাতীয় লজ্জা বলে বর্ণনা করেছেন।
ফেসবুকে এম এম আমিনুর রহমান লিখেছেন , বার্মার মতো দুর্বল একটি দেশের সীমান্তরক্ষীরা ধরে নিয়ে বেঁধে রেখেছে? এই লজ্জা দেশের, এই লজ্জা পুরো জাতির । ফেসবুকে আরাফাত সিদ্দিকী নামে আরেকজন লিখেছেন , আমাদের বিজিবি সদস্য নায়েক রাজ্জাকের শিকল দিয়ে হাত বাঁধা ছবিটি যতবার চোখে পড়ছে ততবারই মনে হচ্ছে মিয়ানমার বাহিনী আমাকেই বেঁধে রেখেছে। আজ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন বিজিবি সদস্য অপহরনের ঘটনা জাতির জন্য লজ্জা । সূত্র- বিবিসি বাংলা
No comments