‘রনির পিস্তলেই জোড়া খুন’
নিউ
ইস্কাটনের জোড়া খুন এমপিপুত্র রনির পিস্তলেই হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে
পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য ছাড়াও পুলিশ পিস্তলের ব্যালাস্টিক
পরীক্ষায়ও তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অপরদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে
গতকাল বখতিয়ার আলম রনিকে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি সেলে স্থানান্তর করা
হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, সিআইডির
ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভিকটিমদের গায়ে পাওয়া গুলি ও রনির পিস্তল
একই ক্যালিবারের। রনির পিস্তলের গুলিতেই ইস্কাটনের ওই দুই ব্যক্তি নিহত
হয়েছেন।
গত ১৩ই এপ্রিল মধ্যরাতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে বখতিয়ারের গুলিতে দুজন শ্রমজীবী মানুষ নিহত হন। এদের একজন রিকশাচালক ও অপরজন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজিচালক। ঘটনার একদিন পর নিহত রিকশাচালক আবদুল হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম রমনা থানায় একটি মামলা করেন। প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তা পুলিশ জানতে পারে যেই গাড়ি থেকে গুলি করা হয়েছিল সেটি এমপি পিনু খানের। গত ৩১শে মে গোয়েন্দা পুলিশ প্রথমে ওই গাড়ির চালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে একই দিন গ্রেপ্তার করা হয় বখতিয়ার আলম রনিকেও। গত রোববার পুলিশ গাড়িটিও জব্দ করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রনিকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় গুলি ছোড়ার ঘটনার কথা স্বীকার করলেও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়নি। তবে পুলিশ রনির পিস্তলের গুলিতেই যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তা প্রমাণের জন্য বস্তুগত সাক্ষ্য যোগাড় করে। এমনকি রনির লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি জব্দ করে তা পরীক্ষার জন্য সিআইডির ল্যাবে ব্যালাস্টিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত দুই যুবকের শরীর থেকে পাওয়া গুলিও উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পায়। এতে নিহত দুজনের শরীরের গুলির ক্যালিবারের সঙ্গে রনির পিস্তলের গুলির ক্যালিবারের মিল পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত সূত্র জানায়, পিস্তলের পরীক্ষা ছাড়াও ঘটনার সময় রনির সঙ্গে গাড়িতে থাকা অপর তিন বন্ধুও আদালতে সাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। রনি এবং তার বন্ধুরা জানায়, বার থেকে বেরিয়ে বন্ধুকে মগবাজারে নামিয়ে ফেরার সময় যানজটে বিরক্ত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে রনি। পরদিন তারা জানতে পারেন গুলিতে দুজন লোক গুলিবিদ্ধ হয়।
গত ১৩ই এপ্রিল মধ্যরাতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে বখতিয়ারের গুলিতে দুজন শ্রমজীবী মানুষ নিহত হন। এদের একজন রিকশাচালক ও অপরজন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজিচালক। ঘটনার একদিন পর নিহত রিকশাচালক আবদুল হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম রমনা থানায় একটি মামলা করেন। প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তা পুলিশ জানতে পারে যেই গাড়ি থেকে গুলি করা হয়েছিল সেটি এমপি পিনু খানের। গত ৩১শে মে গোয়েন্দা পুলিশ প্রথমে ওই গাড়ির চালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে একই দিন গ্রেপ্তার করা হয় বখতিয়ার আলম রনিকেও। গত রোববার পুলিশ গাড়িটিও জব্দ করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রনিকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় গুলি ছোড়ার ঘটনার কথা স্বীকার করলেও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়নি। তবে পুলিশ রনির পিস্তলের গুলিতেই যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তা প্রমাণের জন্য বস্তুগত সাক্ষ্য যোগাড় করে। এমনকি রনির লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি জব্দ করে তা পরীক্ষার জন্য সিআইডির ল্যাবে ব্যালাস্টিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত দুই যুবকের শরীর থেকে পাওয়া গুলিও উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পায়। এতে নিহত দুজনের শরীরের গুলির ক্যালিবারের সঙ্গে রনির পিস্তলের গুলির ক্যালিবারের মিল পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত সূত্র জানায়, পিস্তলের পরীক্ষা ছাড়াও ঘটনার সময় রনির সঙ্গে গাড়িতে থাকা অপর তিন বন্ধুও আদালতে সাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। রনি এবং তার বন্ধুরা জানায়, বার থেকে বেরিয়ে বন্ধুকে মগবাজারে নামিয়ে ফেরার সময় যানজটে বিরক্ত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে রনি। পরদিন তারা জানতে পারেন গুলিতে দুজন লোক গুলিবিদ্ধ হয়।
No comments