রোহিঙ্গা সমাচার: বাঘ ও রাখালের গল্প by জুয়েল রাজ
নানা
মনিষী নানা রাষ্ট্র বিজ্ঞানী রাষ্ট্রের বহু সংজ্ঞা দিয়েছেন। শুধুমাত্র
ধর্মীয় পরিচয়ে একটা রাষ্ট্র চলতে পারেনা। রাষ্ট্রের কোন ধর্ম নেই। হাজার
হাজার বছরের আচার আচরণ সংস্কৃতি, ভাষা সব কিছু মিলে নির্দিষ্ট ভূখণ্ডই
রাষ্ট্র হিসাবে গণ্য করা হয়। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ইহাই
এখন চরম সত্য। একটি রাষ্ট্র বা দেশ তাঁর ভিন্ন সংস্কৃতির জনগণকেও সমান
গুরুত্ব দেয়। ব্রিটেন আমেরিকা এই মাল্টিকালচার সংস্কৃতি নিয়েই এগিয়ে চলছে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্মও কিন্তু
অসাম্প্রদায়িক চেতনার ফসল। আর জাতি বলতে সেই জনগণকে বোঝানো হয়, যাদের
রীতিনীতি, পূর্বপুরুষ, ইতিহাস ইত্যাদি একই। তাই মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর
ঐতিহাসিক ভাবে যে নির্যাতন নিপীড়ন চলে আসছে সেটা মায়ানমারের অগ্রযাত্রাকেই
ব্যহত করছে।
রোহিঙ্গারা শত শত বছর পরেও আজ পর্যন্ত বার্মিজ হতে পারেনি। রোহিঙ্গা আর হত্যা নির্যাতন বার্মায় মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর অবর্ননীয় নির্যাতন চলছে দিনের পর দিন! দেশটির সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (নাসাকা), সামরিক বাহিনী ও রাখাইনরা এক যোগে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির আরাকান ও অন্যান্য রাজ্যে অবস্থিত মুসলিমদের উপর। মায়ানমার সরকার সে দেশের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ন্যূনতম নাগরিক সুযোগ সুবিধা দিতেও নারাজ।
ইতিহাস থেকে জানা যায় মায়ানমারে রাখাইন সম্প্রদায়ের এককালে স্বাধীন ভূখণ্ড ও রাজ্য ছিল। এই ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়
সর্বপ্রথম যে কয়টি এলাকায় মুসলিম বসতি গড়ে ওঠে, আরাকান তার মধ্যে অন্যতম। রোহিঙ্গারা সেই আরাকানী মুসলমানের বংশধর। এক সময় আরাকানে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৬৬০ সাল থেকে আরাকান রাজা থান্দথুধম্মার আমল থেকে এখন পর্যন্ত মায়ানমার মুসলমানদের উপর চলে আসছে অবর্ণনীয় নিষ্ঠুর অমানবিক অত্যাচার নিপীড়ন।
প্রায় ১৩ হাজার বছর আগে বর্তমান মায়ানমারে জনবসতির অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। পিউ নামের উপজাতিরা ১ম শতকে বার্মা এলাকাতে দক্ষিণ দিকের ইরাবতী ভ্যালী দিয়ে প্রবেশ করে। অপর দিকে উত্তর দিক দিয়ে মুন জাতি প্রবেশ করে। ৯ম শতকে মিরানমা জাতি ইরাবতী উপত্যকার উপরে বসবাস শুরু করে।
ইতিহাস বলে সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়। প্রাথমিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যীয় মুসলমান ও স্থানীয় আরাকানীদের সংমিশ্রণে রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব। পরবর্তীতে চাঁটগাইয়া, রাখাইন, আরাকানী, বার্মিজ, বাঙালী, ভারতীয়, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষদের মিশ্রণে উদ্ভূত এই সংকর জাতি ত্রয়োদশ-চর্তুদশ শতাব্দীতে পূর্ণাঙ্গ জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পঞ্চদশ শতাব্দী হতে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত আরাকানে রোহিঙ্গাদের নিজেদের রাজ্য ছিল।
মায়ানমার সরকারের দাবি, রোহিঙ্গারা হল ভারতীয়, বাঙালী ও চাঁটগাইয়া সেটলার, যাদেরকে ব্রিটিশরা আরাকানে এনেছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠত যে, ব্রিটিশরা বার্মায় শাসক হিসেবে আসার কয়েক শতাব্দী আগে হতেই রোহিঙ্গারা আরাকানে জাতি হিসেবে বিকশিত হয়েছিল।
রোহিঙ্গারা কেউ কেউ নিজেদের ভূমি ছেড়ে পালিয়ে গেছে কেউ কেউ সেখানে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে এর মধ্যে কোন মিথ্যা নেই। মায়ানমারের এই অবস্থা সম্পূর্ণ তাঁদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক মহল, গণমাধ্যম সে সব বিষয় নিয়ে কথা বলবে, সমস্যা সমাধানের পথ বের করবে। আমরা সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ জানাবো আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারীদের হাতে পাচার হওয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশির গণকবর সাগরে ভাসমান মৃত্যু পথযাত্রী মানুষদের যারা জাহাজে তুলে দিয়েছে তাঁদের এই চক্রের বড় অংশ জুড়ে জড়িত বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা।
এই মানবপাচার ইস্যু থেকে সাধারণ মানুষের মনযোগকে অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পরিকল্পিতভাবে গত কয়দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে এক বিপ্লব শুরু হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নানা রকম হত্যাকাণ্ডের ছবি গুগল থেকে নামিয়ে কোনটা আবার ফটোশপ করে, বিভিন্ন সিনেমার দৃশ্যকে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের দৃশ্য বলে প্রচার করা হচ্ছে। এবং সেখানে আবেদন জানানো হচ্ছে ছবিটি শেয়ার করে সব মুসলমানদের দেখাতে এবং এর প্রতিবাদ জানাতে।
কিন্তু ভয়ংকর বিষয় হলো এই সব ছবির নিচে যারা মন্তব্য করছেন কিসে সব। কেউ কেউ মন্তব্য করছে প্রতিবাদ হিসাবে বাংলাদেশের বৌদ্ধদের উপর আক্রমণের।
কিন্তু এই মিথ্যাচার কেন? মিথ্যা এইসব প্রচার তৈরি করছে তাদের উদ্দেশ্য কি? আর যাই হোক কোন মানুষের উপর দেশের উপর মুসলমানদের উপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের বিরুদ্ধে নয়। সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ফিলিস্তিন, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, পাকিস্তানসহ সৌদি আরবের মতো দেশ যাকে ইসলামের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান হিসাবে গণ্য করা হয়। সেখানে মসজিদে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে তাঁরও প্রতিবাদ তারা জানাতেন। আইএস জঙ্গীরা দিনের পর দিন যে বীভৎস কার্যক্রম করছে সেটার প্রতিবাদ করতেন।
সেটা না করে যখন বাংলাদেশের বৌদ্ধদের দিকে তীর ঘুরিয়ে দেয়া হয় তখনই আসল উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের ভাবিত করে। রোহিঙ্গা নির্যাতনের এমন মিথ্যাচার রোহিঙ্গা ইস্যুর মানবিক বিষয়টা চাপা পড়ে গেছে ধর্মের ডামাডোলে।
মিথ্যাবাদী রাখাল বালক আর বাঘের গল্পের মতো সত্যিকারভাবে যখন রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন হবে সেদিন কেউ আর সেটা বিশ্বাস করবেনা। কেউ প্রতিবাদ জানাবে না।
কারণ এই মিথ্যাবাদীরাই সাঈদীকে চাঁদে পাঠিয়েছিল। এরাই শাপলা চত্ত্বরে হাজার হাজার হেফাজতীর কল্পিত লাশের ফটোশপ করা ছবি ছড়িয়েছিল।
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন হচ্ছে যেমন সত্য, আমরা তাঁর প্রতিবাদ করব সেটাও তেমনি সত্য। কিন্তু সেটা কোনভাবেই সাম্প্রদায়িক উস্কানি বা ভিন্ন আরেকটি সম্প্রদায়ের উপর প্রতিশোধ নিয়ে নয়। মিথ্যাচার করে নয়।
(ঐতিহাসিক তথ্যঃ অনলাইন থেকে নেয়া )
(লেখকঃ পাক্ষিক ব্রিকলেনের বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক মানবকণ্ঠের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি)
রোহিঙ্গারা শত শত বছর পরেও আজ পর্যন্ত বার্মিজ হতে পারেনি। রোহিঙ্গা আর হত্যা নির্যাতন বার্মায় মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর অবর্ননীয় নির্যাতন চলছে দিনের পর দিন! দেশটির সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (নাসাকা), সামরিক বাহিনী ও রাখাইনরা এক যোগে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির আরাকান ও অন্যান্য রাজ্যে অবস্থিত মুসলিমদের উপর। মায়ানমার সরকার সে দেশের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ন্যূনতম নাগরিক সুযোগ সুবিধা দিতেও নারাজ।
ইতিহাস থেকে জানা যায় মায়ানমারে রাখাইন সম্প্রদায়ের এককালে স্বাধীন ভূখণ্ড ও রাজ্য ছিল। এই ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়
সর্বপ্রথম যে কয়টি এলাকায় মুসলিম বসতি গড়ে ওঠে, আরাকান তার মধ্যে অন্যতম। রোহিঙ্গারা সেই আরাকানী মুসলমানের বংশধর। এক সময় আরাকানে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৬৬০ সাল থেকে আরাকান রাজা থান্দথুধম্মার আমল থেকে এখন পর্যন্ত মায়ানমার মুসলমানদের উপর চলে আসছে অবর্ণনীয় নিষ্ঠুর অমানবিক অত্যাচার নিপীড়ন।
প্রায় ১৩ হাজার বছর আগে বর্তমান মায়ানমারে জনবসতির অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। পিউ নামের উপজাতিরা ১ম শতকে বার্মা এলাকাতে দক্ষিণ দিকের ইরাবতী ভ্যালী দিয়ে প্রবেশ করে। অপর দিকে উত্তর দিক দিয়ে মুন জাতি প্রবেশ করে। ৯ম শতকে মিরানমা জাতি ইরাবতী উপত্যকার উপরে বসবাস শুরু করে।
ইতিহাস বলে সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়। প্রাথমিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যীয় মুসলমান ও স্থানীয় আরাকানীদের সংমিশ্রণে রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব। পরবর্তীতে চাঁটগাইয়া, রাখাইন, আরাকানী, বার্মিজ, বাঙালী, ভারতীয়, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষদের মিশ্রণে উদ্ভূত এই সংকর জাতি ত্রয়োদশ-চর্তুদশ শতাব্দীতে পূর্ণাঙ্গ জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পঞ্চদশ শতাব্দী হতে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত আরাকানে রোহিঙ্গাদের নিজেদের রাজ্য ছিল।
মায়ানমার সরকারের দাবি, রোহিঙ্গারা হল ভারতীয়, বাঙালী ও চাঁটগাইয়া সেটলার, যাদেরকে ব্রিটিশরা আরাকানে এনেছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠত যে, ব্রিটিশরা বার্মায় শাসক হিসেবে আসার কয়েক শতাব্দী আগে হতেই রোহিঙ্গারা আরাকানে জাতি হিসেবে বিকশিত হয়েছিল।
রোহিঙ্গারা কেউ কেউ নিজেদের ভূমি ছেড়ে পালিয়ে গেছে কেউ কেউ সেখানে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে এর মধ্যে কোন মিথ্যা নেই। মায়ানমারের এই অবস্থা সম্পূর্ণ তাঁদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক মহল, গণমাধ্যম সে সব বিষয় নিয়ে কথা বলবে, সমস্যা সমাধানের পথ বের করবে। আমরা সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ জানাবো আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারীদের হাতে পাচার হওয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশির গণকবর সাগরে ভাসমান মৃত্যু পথযাত্রী মানুষদের যারা জাহাজে তুলে দিয়েছে তাঁদের এই চক্রের বড় অংশ জুড়ে জড়িত বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা।
এই মানবপাচার ইস্যু থেকে সাধারণ মানুষের মনযোগকে অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পরিকল্পিতভাবে গত কয়দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে এক বিপ্লব শুরু হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নানা রকম হত্যাকাণ্ডের ছবি গুগল থেকে নামিয়ে কোনটা আবার ফটোশপ করে, বিভিন্ন সিনেমার দৃশ্যকে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের দৃশ্য বলে প্রচার করা হচ্ছে। এবং সেখানে আবেদন জানানো হচ্ছে ছবিটি শেয়ার করে সব মুসলমানদের দেখাতে এবং এর প্রতিবাদ জানাতে।
কিন্তু ভয়ংকর বিষয় হলো এই সব ছবির নিচে যারা মন্তব্য করছেন কিসে সব। কেউ কেউ মন্তব্য করছে প্রতিবাদ হিসাবে বাংলাদেশের বৌদ্ধদের উপর আক্রমণের।
কিন্তু এই মিথ্যাচার কেন? মিথ্যা এইসব প্রচার তৈরি করছে তাদের উদ্দেশ্য কি? আর যাই হোক কোন মানুষের উপর দেশের উপর মুসলমানদের উপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের বিরুদ্ধে নয়। সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ফিলিস্তিন, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, পাকিস্তানসহ সৌদি আরবের মতো দেশ যাকে ইসলামের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান হিসাবে গণ্য করা হয়। সেখানে মসজিদে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে তাঁরও প্রতিবাদ তারা জানাতেন। আইএস জঙ্গীরা দিনের পর দিন যে বীভৎস কার্যক্রম করছে সেটার প্রতিবাদ করতেন।
সেটা না করে যখন বাংলাদেশের বৌদ্ধদের দিকে তীর ঘুরিয়ে দেয়া হয় তখনই আসল উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের ভাবিত করে। রোহিঙ্গা নির্যাতনের এমন মিথ্যাচার রোহিঙ্গা ইস্যুর মানবিক বিষয়টা চাপা পড়ে গেছে ধর্মের ডামাডোলে।
মিথ্যাবাদী রাখাল বালক আর বাঘের গল্পের মতো সত্যিকারভাবে যখন রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন হবে সেদিন কেউ আর সেটা বিশ্বাস করবেনা। কেউ প্রতিবাদ জানাবে না।
কারণ এই মিথ্যাবাদীরাই সাঈদীকে চাঁদে পাঠিয়েছিল। এরাই শাপলা চত্ত্বরে হাজার হাজার হেফাজতীর কল্পিত লাশের ফটোশপ করা ছবি ছড়িয়েছিল।
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন হচ্ছে যেমন সত্য, আমরা তাঁর প্রতিবাদ করব সেটাও তেমনি সত্য। কিন্তু সেটা কোনভাবেই সাম্প্রদায়িক উস্কানি বা ভিন্ন আরেকটি সম্প্রদায়ের উপর প্রতিশোধ নিয়ে নয়। মিথ্যাচার করে নয়।
(ঐতিহাসিক তথ্যঃ অনলাইন থেকে নেয়া )
(লেখকঃ পাক্ষিক ব্রিকলেনের বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক মানবকণ্ঠের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি)
No comments