পানির নিচে মহাসড়ক! by মনিরুজ্জামান
সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার কাছে জমে থাকা পানির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন |
* ৫০০ ফুট অংশে বৃষ্টি হলেই জমে পানি
* এক মাসে ২১ দুর্ঘটনায় একজন নিহত আহত ২৮
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার পাশের সড়কে বৃষ্টি হলেই হাঁটু থেকে কখনো কখনো কোমর পর্যন্ত পানি জমে যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওই অংশটিতে ঝুঁকি নিয়েই পানি ভেঙে চলছে যানবাহন। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে মানুষ। এ ছাড়া পানি ঢুকে বিকল হচ্ছে গাড়িও।
টোল প্লাজার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী যান চলাচলের লেন এবং এর পাশের মূলত স্থানীয় যান চলাচলের লেনে বৃষ্টি হলেই পানি জমে যাচ্ছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মহাসড়কের প্রায় ৫০০ ফুট অংশে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বাইরের দিকের লেনটি দিয়ে মেঘনা ঘাট পাওয়ার প্ল্যান্ট এলাকার মানুষ ও বিভিন্ন শিল্পকারখানার যান চলাচল করে।
এই পথে নিয়মিত চলাচল করেন স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সজীব আহম্মেদ ও আনিসুজ্জামান। তাঁদের মতে, মহাসড়কের এ অংশটি এখন মরণ ফাঁদ! এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে, পানি ঢুকে যানবাহন বিকল হচ্ছে। আবার সতর্ক হয়ে অনেক ধীর গতিতে যানবাহন চলাচলের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, গত এক মাসে এই স্থানে দুর্ঘটনায় একজন কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। ছোটখাট মিলিয়ে ২১টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৮ জন। পানি ঢুকে বিকল হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও অটোরিকশা।
কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের বাসচালক আলমগীর হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ‘এতটুকু জায়গার পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা সরকার করতে পারে না। বৃষ্টি শুরু হলেই এ জায়গাটি নিয়ে আমরা ভয়ে থাকি।’
স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, বৃষ্টি হলে দুর্ঘটনা ও বিকল হওয়ার ভয়ে মেঘনা ঘাটের শিল্পকারখানাগুলোর মালবাহী গাড়ি কারখানা থেকে বেরই করা যায় না।
মহাসড়কের ওই জায়গায় পানি জমে থাকা ও যান চলাচলে ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করেন নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোশনি-এ-ফাতিমা। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কের এই স্থানে পানিনিষ্কাশন করতে হলে ড্রেন নির্মাণ করতে হবে। অর্থ বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সওজের একটি সূত্র জানায়, গত বছর বর্ষা মৌসুমে পানি জমে মহাসড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি মেরামত ও পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর নির্দেশের পর সওজ মহাসড়ক মেরামত করলেও পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেনি। পানি জমার কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রটি বলেছে, ওই সময় বরাদ্দের অভাবে পানিনিষ্কাশনের নালা তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কের এই স্থানে পানি জমায় সবাই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় অনেকেই আমার কাছে আসেন। মহাসড়কের দায়িত্ব যে পরিষদের নয় সওজের—তা জানিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করি। তারপরও কেউ কেউ আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন।’
* এক মাসে ২১ দুর্ঘটনায় একজন নিহত আহত ২৮
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার পাশের সড়কে বৃষ্টি হলেই হাঁটু থেকে কখনো কখনো কোমর পর্যন্ত পানি জমে যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওই অংশটিতে ঝুঁকি নিয়েই পানি ভেঙে চলছে যানবাহন। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে মানুষ। এ ছাড়া পানি ঢুকে বিকল হচ্ছে গাড়িও।
টোল প্লাজার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী যান চলাচলের লেন এবং এর পাশের মূলত স্থানীয় যান চলাচলের লেনে বৃষ্টি হলেই পানি জমে যাচ্ছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মহাসড়কের প্রায় ৫০০ ফুট অংশে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বাইরের দিকের লেনটি দিয়ে মেঘনা ঘাট পাওয়ার প্ল্যান্ট এলাকার মানুষ ও বিভিন্ন শিল্পকারখানার যান চলাচল করে।
এই পথে নিয়মিত চলাচল করেন স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সজীব আহম্মেদ ও আনিসুজ্জামান। তাঁদের মতে, মহাসড়কের এ অংশটি এখন মরণ ফাঁদ! এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে, পানি ঢুকে যানবাহন বিকল হচ্ছে। আবার সতর্ক হয়ে অনেক ধীর গতিতে যানবাহন চলাচলের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, গত এক মাসে এই স্থানে দুর্ঘটনায় একজন কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। ছোটখাট মিলিয়ে ২১টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৮ জন। পানি ঢুকে বিকল হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও অটোরিকশা।
কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের বাসচালক আলমগীর হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ‘এতটুকু জায়গার পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা সরকার করতে পারে না। বৃষ্টি শুরু হলেই এ জায়গাটি নিয়ে আমরা ভয়ে থাকি।’
স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, বৃষ্টি হলে দুর্ঘটনা ও বিকল হওয়ার ভয়ে মেঘনা ঘাটের শিল্পকারখানাগুলোর মালবাহী গাড়ি কারখানা থেকে বেরই করা যায় না।
মহাসড়কের ওই জায়গায় পানি জমে থাকা ও যান চলাচলে ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করেন নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোশনি-এ-ফাতিমা। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কের এই স্থানে পানিনিষ্কাশন করতে হলে ড্রেন নির্মাণ করতে হবে। অর্থ বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সওজের একটি সূত্র জানায়, গত বছর বর্ষা মৌসুমে পানি জমে মহাসড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি মেরামত ও পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর নির্দেশের পর সওজ মহাসড়ক মেরামত করলেও পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেনি। পানি জমার কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রটি বলেছে, ওই সময় বরাদ্দের অভাবে পানিনিষ্কাশনের নালা তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কের এই স্থানে পানি জমায় সবাই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় অনেকেই আমার কাছে আসেন। মহাসড়কের দায়িত্ব যে পরিষদের নয় সওজের—তা জানিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করি। তারপরও কেউ কেউ আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন।’
No comments