খালেদা জিয়া এ দেশের গণমাধ্যম কি মারা গেছে by পীর হাবিবুর রহমান
প্রায়
দু’বছর পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুখ খুলেছেন। বলেছেন,
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে
হত্যা করে জামায়াতের ওপর দোষ চাপানো হতো। তিনি আরো বলেছেন, সেদিন তাকে
হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। ভারতের বিজেপি মুখপাত্র জাঁদরেল সাংবাদিক এমজি
আকবরের দ্য সানডে গার্ডিয়ানে শনিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া এসব
কথা বলেছেন। রোববার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তোলপাড়
সৃষ্টি করে। সৃষ্টি করে কৌতূহলের।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণরায়ে দু’বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিন দশকের বেশি এ দেশের রাজনীতিতে দাপটের সঙ্গে বহাল আছেন। বর্তমান সময় রাজনীতি তিনি প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করলেও অনুসন্ধিসু মনে প্রশ্ন জাগে রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞ এমন নেত্রী দু’বছর পর কেন এই ব্যাখ্যা দিলেন। ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিলম্বে, ভালো কথা। কিন্তু ভারতের একটি দৈনিকে কেন? তাকে কেউ হুমকি দিয়ে থাকলে তিনি সে সময় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারতেন। তার নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছে সহযোগিতা চাইতে পারতেন। শুধু তাই নয়, ভারতের মতো বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক বাতিল করার কারণ যদি এটিই হয় তাহলে একজন গণতান্ত্রিক নেত্রী হিসেবে তার দলীয় সভায় বা জনসভায় কিংবা এ দেশের গণমাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বক্তব্য খোলাসা করতে পারতেন। দেশবাসীর কাছে দলীয় জনসভার মাধ্যমে তুলে ধরতে পারতেন। তা না করে প্রায় দুই বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর শেষে কেন বিএনপি নেত্রী অন্য দেশের প্রিন্ট মিডিয়ায় তার বক্তব্য দিলেন?
প্রণব মুখার্জির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক বাতিলের ঘটনায় দলের অভ্যন্তরেই নয়, দেশ-বিদেশেও সমালোচনার ঝড় ওঠে। তারপরও তিনি সে সময় কারণ ব্যাখ্যা করে বিবৃতি বা বক্তব্য দেননি। দেশের জনগণ ও গণমাধ্যমের ওপর কি তবে বিএনপি নেত্রীর আস্থা নেই। মাননীয় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন দেশের গণমাধ্যম কি মরে গেছে?
দেশের মানুষ কি অর্থহীন হয়ে গেছে? এটা একজন নেত্রীর জন্যই নয়, দেশের জন্যও অমর্যাদাকর। রাজনৈতিক দিক থেকে দেউলিয়াত্ব ছাড়া আর কিছু নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার একান্ত ১৫ মিনিটের বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমে নানা খবর বেরুচ্ছে। নিজের জন্য এবং দলীয় নেতাদের বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে নিজেকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে সব মিলিয়ে ব্যাখ্যা ও বক্তব্যদান জরুরি। না-হয় রাজনীতিতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রশ্নের ঝড় বইতেই থাকবে। বেগম খালেদা জিয়াই পারেন দেশের মানুষ ও গণমাধ্যমকে আস্থায় নিতে। সেজন্য দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির করণীয়, জামায়াত ত্যাগ, প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ না করা এবং নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠকের ব্যাপারে নিজের অবস্থান খোলাসা করবেন। তাই নয়, তিনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন বিএনপির সামনে রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণেও এসব বিষয় প্রভাব ফেলবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণরায়ে দু’বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিন দশকের বেশি এ দেশের রাজনীতিতে দাপটের সঙ্গে বহাল আছেন। বর্তমান সময় রাজনীতি তিনি প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করলেও অনুসন্ধিসু মনে প্রশ্ন জাগে রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞ এমন নেত্রী দু’বছর পর কেন এই ব্যাখ্যা দিলেন। ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিলম্বে, ভালো কথা। কিন্তু ভারতের একটি দৈনিকে কেন? তাকে কেউ হুমকি দিয়ে থাকলে তিনি সে সময় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারতেন। তার নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছে সহযোগিতা চাইতে পারতেন। শুধু তাই নয়, ভারতের মতো বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক বাতিল করার কারণ যদি এটিই হয় তাহলে একজন গণতান্ত্রিক নেত্রী হিসেবে তার দলীয় সভায় বা জনসভায় কিংবা এ দেশের গণমাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বক্তব্য খোলাসা করতে পারতেন। দেশবাসীর কাছে দলীয় জনসভার মাধ্যমে তুলে ধরতে পারতেন। তা না করে প্রায় দুই বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর শেষে কেন বিএনপি নেত্রী অন্য দেশের প্রিন্ট মিডিয়ায় তার বক্তব্য দিলেন?
প্রণব মুখার্জির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক বাতিলের ঘটনায় দলের অভ্যন্তরেই নয়, দেশ-বিদেশেও সমালোচনার ঝড় ওঠে। তারপরও তিনি সে সময় কারণ ব্যাখ্যা করে বিবৃতি বা বক্তব্য দেননি। দেশের জনগণ ও গণমাধ্যমের ওপর কি তবে বিএনপি নেত্রীর আস্থা নেই। মাননীয় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন দেশের গণমাধ্যম কি মরে গেছে?
দেশের মানুষ কি অর্থহীন হয়ে গেছে? এটা একজন নেত্রীর জন্যই নয়, দেশের জন্যও অমর্যাদাকর। রাজনৈতিক দিক থেকে দেউলিয়াত্ব ছাড়া আর কিছু নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার একান্ত ১৫ মিনিটের বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমে নানা খবর বেরুচ্ছে। নিজের জন্য এবং দলীয় নেতাদের বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে নিজেকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে সব মিলিয়ে ব্যাখ্যা ও বক্তব্যদান জরুরি। না-হয় রাজনীতিতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রশ্নের ঝড় বইতেই থাকবে। বেগম খালেদা জিয়াই পারেন দেশের মানুষ ও গণমাধ্যমকে আস্থায় নিতে। সেজন্য দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির করণীয়, জামায়াত ত্যাগ, প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ না করা এবং নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠকের ব্যাপারে নিজের অবস্থান খোলাসা করবেন। তাই নয়, তিনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন বিএনপির সামনে রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণেও এসব বিষয় প্রভাব ফেলবে।
No comments