মুড়ির গ্রাম by রাজিউর রহমান রুমী
মুড়ি
বিক্রি করে সুখের মুখ দেখেছে পাবনার ৫ গ্রামের নারী-পুরুষ। তারা এখন
স্বাবলম্বী। গ্রামগুলোতে নেই পারিবারিক বিরোধ বা কোনো হানাহানি বিবাদ। সবাই
কর্ম ব্যস্ত, কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের এই ব্যস্ততা।
তবে রোজার মাস এলেই ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাদের দীর্ঘদিনের শ্রম ও
সাধনায় মুড়ি তৈরি এ অঞ্চলে শিল্পের রূপ নিয়েছে। পাবনার ‘মুড়ি গ্রাম’ নামে
পরিচিত এ গ্রামগুলো হলো, পাবনা শহর থেকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দূরে সদর
উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের মাহমুদপুর, শ্যামপুর, বিলকোলা, গোপীনাথপুর,
ভবানীপুর ও রাঘবপুর। কয়েক যুগ ধরে বংশপরম্পরায় এসব গ্রামের মানুষদের
জীবিকার প্রধান অবলম্বন মুড়ি তৈরি ও বিপণন। এ গ্রামের হাতে তৈরি কেমিক্যাল
মুক্ত মুড়ির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সারা
বছর ধরে মুড়ি তৈরি হয়। তবে রমজান মাস এলেই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়
কয়েকগুণ।
রমজান মাসে ইফতার সামগ্রীর অন্যতম হচ্ছে মুড়ি। কেমিক্যালে প্রস্তুত মুড়ির ভিড়ে আসল মুড়ির স্বাদ পাওয়াই এখন কঠিন। সেখানে মুড়ির আসল স্বাদ পেতে পাবনার ‘মুড়ি গ্রামের’ হাতে ভাজা মুড়ি তুলনাহীন। হাতে তৈরি এ মুড়ি ভাজতে বর্তমানে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন মুড়ি গ্রামের নারী-পুরুষ। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের এই ব্যস্ততা। কয়েক পুরুষ ধরেই মুড়ি তৈরির কাজে নিয়োজিত এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। তাদের দীর্ঘদিনের শ্রম ও সাধনায় মুড়ি তৈরি এ অঞ্চলে শিল্পের রূপ নিয়েছে।
পাবনা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামকে মানুষ চেনে মুড়ি গ্রাম হিসাবে। মুক্তিযুদ্ধের আগে এই গ্রামে প্রথম মুড়ি তৈরি শুরু করেন এই গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলী। সেই থেকে শুরু। একপর্যায় মুড়ি তৈরির কাজ মাহমুদপুরের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী শ্যামপুর, বিলকোলা, গোপীনাথপুর, ভবানীপুর, রাঘবপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামে। এখনও সবাই বাপ-দাদার পেশা হিসেবে মুড়ি উৎপাদনকে ধরে রেখেছেন।
মাহমুদপুর ও শ্যামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই চলছে মুড়ি তৈরির কাজ। শ্যামপুর গ্রামের আলী হোসেন জানান, শৈশব থেকেই তিনি মুড়ি তৈরি ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরো জানান, গ্রামের পুরুষরা হাট থেকে ধান কেনা, ধান ভাঙানো এবং উৎপাদিত মুড়ি বাজারে বিক্রি আর বাড়ির নারীরা ধান সেদ্ধ, শুকানো, মুড়ি তৈরিসহ নানা কাজে নিয়োজিত থাকেন।
মাহমুদপুর গ্রামে মুড়ি তৈরি কাজে নিয়োজিত হাছিনা বেগম ও সুফিয়া খাতুন জানান, মূলত স্বর্ণা, বিআর ১১, বিআর ২৯, এবং আউশ ধান থেকে তারা মুড়ি তৈরি করেন। এর মধ্যে আউশ ধানের মুড়ির স্বাদ ভালো হওয়ায় বাজারে তার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আমরা মুড়ি ভাজতে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করি না।
মাহমুদপুর গ্রামে মৃত হাসান আলীর ছেলে আহম্মদ আলী জানান, বাপ-দাদার পেশা হিসেবে মুড়ি উৎপাদনকে ধরে রেখেছি। লাভ তো হয়ই, সব চেয়ে বড় কথা, আমাদের গ্রামগুলোতে কোনো বিবাদ নাই, আমাদের সময়ও নাই, আমরা সারা দিন ব্যস্ত থাকি। এক মণ ধান থেকে ২২ থেকে ২৪ কেজি মুড়ি তৈরি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে এক মণ ধানের মুড়ি বিক্রি করে হাতে লাভ থাকে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এব্যাপারে পাবনা বিসিকের শিল্পনগরীর উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জে.এন পাল বলেন, মাহমুদপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মুড়ি তৈরির বিষয়টি আমাদের জানা। তারা কেমিক্যালমুক্ত মুড়ি তৈরি করেন এটা খুবই ভাল। এ সমস্ত কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহজ শর্তে কিছু ঋণসহ অন্যান্য সুবিধা পেতে পারবেন।
রমজান মাসে ইফতার সামগ্রীর অন্যতম হচ্ছে মুড়ি। কেমিক্যালে প্রস্তুত মুড়ির ভিড়ে আসল মুড়ির স্বাদ পাওয়াই এখন কঠিন। সেখানে মুড়ির আসল স্বাদ পেতে পাবনার ‘মুড়ি গ্রামের’ হাতে ভাজা মুড়ি তুলনাহীন। হাতে তৈরি এ মুড়ি ভাজতে বর্তমানে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন মুড়ি গ্রামের নারী-পুরুষ। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের এই ব্যস্ততা। কয়েক পুরুষ ধরেই মুড়ি তৈরির কাজে নিয়োজিত এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। তাদের দীর্ঘদিনের শ্রম ও সাধনায় মুড়ি তৈরি এ অঞ্চলে শিল্পের রূপ নিয়েছে।
পাবনা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামকে মানুষ চেনে মুড়ি গ্রাম হিসাবে। মুক্তিযুদ্ধের আগে এই গ্রামে প্রথম মুড়ি তৈরি শুরু করেন এই গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলী। সেই থেকে শুরু। একপর্যায় মুড়ি তৈরির কাজ মাহমুদপুরের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী শ্যামপুর, বিলকোলা, গোপীনাথপুর, ভবানীপুর, রাঘবপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামে। এখনও সবাই বাপ-দাদার পেশা হিসেবে মুড়ি উৎপাদনকে ধরে রেখেছেন।
মাহমুদপুর ও শ্যামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই চলছে মুড়ি তৈরির কাজ। শ্যামপুর গ্রামের আলী হোসেন জানান, শৈশব থেকেই তিনি মুড়ি তৈরি ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরো জানান, গ্রামের পুরুষরা হাট থেকে ধান কেনা, ধান ভাঙানো এবং উৎপাদিত মুড়ি বাজারে বিক্রি আর বাড়ির নারীরা ধান সেদ্ধ, শুকানো, মুড়ি তৈরিসহ নানা কাজে নিয়োজিত থাকেন।
মাহমুদপুর গ্রামে মুড়ি তৈরি কাজে নিয়োজিত হাছিনা বেগম ও সুফিয়া খাতুন জানান, মূলত স্বর্ণা, বিআর ১১, বিআর ২৯, এবং আউশ ধান থেকে তারা মুড়ি তৈরি করেন। এর মধ্যে আউশ ধানের মুড়ির স্বাদ ভালো হওয়ায় বাজারে তার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আমরা মুড়ি ভাজতে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করি না।
মাহমুদপুর গ্রামে মৃত হাসান আলীর ছেলে আহম্মদ আলী জানান, বাপ-দাদার পেশা হিসেবে মুড়ি উৎপাদনকে ধরে রেখেছি। লাভ তো হয়ই, সব চেয়ে বড় কথা, আমাদের গ্রামগুলোতে কোনো বিবাদ নাই, আমাদের সময়ও নাই, আমরা সারা দিন ব্যস্ত থাকি। এক মণ ধান থেকে ২২ থেকে ২৪ কেজি মুড়ি তৈরি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে এক মণ ধানের মুড়ি বিক্রি করে হাতে লাভ থাকে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এব্যাপারে পাবনা বিসিকের শিল্পনগরীর উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জে.এন পাল বলেন, মাহমুদপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মুড়ি তৈরির বিষয়টি আমাদের জানা। তারা কেমিক্যালমুক্ত মুড়ি তৈরি করেন এটা খুবই ভাল। এ সমস্ত কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহজ শর্তে কিছু ঋণসহ অন্যান্য সুবিধা পেতে পারবেন।
No comments