টাইগারদের স্মৃতিতে আজ ফিরে আসবে ব্রিস্টল
সময়ের চাকা ঘুরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দামামা বেজে উঠেছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা আগেই বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলছি এমনটা না ভেবে শুধুই একেকটা ম্যাচ হিসেবে এগোতে চাই আমরা।’ আজ উদ্বোধনী দিন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৯ ম্যাচ মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে চারটিতে। চার জয়ের তিনটিতেই নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। দুটিতে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। আরেকটি লড়াইয়ের আগে অধিনায়ক ও পেসার মাশারাফির ওপরই আস্থা রাখছে বাংলাদেশ। আজ ওভালে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দলের সবার মনে নিশ্চয়ই ব্রিস্টল-স্মৃতি হানা দেবে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাঠেই যে প্রথম জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে শক্তিশালী ইংলিশদের প্রথম হারানোর স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মাশরাফি। ওই জয়ের পর সফরে আরও একটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। মাঝের সাত বছরে ইংল্যান্ডে কোনো ওয়ানডে খেলা হয়নি। সাত বছর আগের ব্রিস্টলে যে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল, সেই দলের সাত ক্রিকেটার- তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ,
মাশরাফি মুর্তজা, রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলাম রয়েছেন এই দলে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজের মতো তরুণরা। দু’দলের শেষ সাত ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে চারটিতে। বোলিং পারফরম্যান্সে এগিয়ে বাংলাদেশ। সমান ১২টি করে ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি, ১৪টি সাকিব আল হাসান। অবসরে যাওয়া অ্যান্ড্র– ফ্লিনটফ ও ব্রেসনানের উইকেট সমান ১২টি করে। ১২ উইকেট রয়েছে আবদুর রাজ্জাকেরও। দু’দলের ম্যাচে ১০০ ওভারেরও বেশি বল করেছেন শুধু মাশরাফি ও সাকিব। অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সের বিচারে মাশরাফি ও সাকিবের দিকেই তাকিয়ে থাকবে টাইগাররা। চার জয়ের সাক্ষী সাকিব। এর মধ্যে একটিতে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। ভালো ব্যাটিং করার পরও টিম কম্বিনেশনের জন্য একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না ইমরুল কায়েস। ইংল্যান্ড বলেই হয়তো আজ একাদশে ঠাঁই পেয়ে যেতে পারেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ এবং সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তারই। ১১ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিতে ৪২০। সবার উপরে রয়েছেন অবসর নেয়া ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্র– স্ট্রাউস।
No comments