একটি অসম প্রেম বিয়ে, অতঃপর...
ভালোবেসে
নিজের ঘর ছেড়েছেন, দেশ ছেড়েছেন ডায়ানা ডি জয়সা (৬০)। পাড়ি জমিয়েছেন
শ্রীলঙ্কায়। সেখানে গিয়ে বিয়ে করেছেন ২৬ বছর বয়সী হোটেলবয় প্রিয়ঞ্জনা ডি
জয়সাকে (২৬)। এক ছুটির দিনে তাদের জানাশোনা হয়। তারপর তা প্রেমে গড়ায়।
তাদের মধ্যে এমন অসম প্রেম গড়ে উঠলেও সব কিছু চলছিল ঠিকঠাক। তাতে ছন্দপতন
ঘটে গত বছর। ওই সময় তার স্বামী প্রিয়ঞ্জনাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই
থেকে হাজার হাজার পাউন্ডের ঋণে আটকা পড়ে আছেন ডায়ানা। তার কাছে এখন
শ্রীলঙ্কার জীবন এক বন্দিশিবিরের মতো। ওই ঋণ তিনি শোধও করতে পারছেন না।
ফিরে যেতেও পারছেন না নিজের দেশ বৃটেনের এডিনবার্গে। তাই তার কাছে মনে
হচ্ছে তিনি আটকা পড়েছেন শ্রীলঙ্কায়। তার ধারণা সেখানেই তাকে শেষ নিঃশ্বাস
ত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেছেন, স্বামী প্রিয়ঞ্জনা ডি জয়সাকে সব মিলিয়ে এক
লাখ পাউন্ডের মতো দিয়েছেন গত বছর সে মারা যাওয়ার আগে। ডায়ানার বিশ্বাস ওই
অর্থের খবর পেয়ে কুচক্রীমহল তার কাছে ঘুষ বা উৎকোচ দাবি করেছিল। তা না পেয়ে
তারা হত্যা করেছে তার স্বামীকে। এখন তার হাতে বৃটেনে ফিরে যাওয়ার মতো অর্থ
নেই। অথচ শ্রীলঙ্কায় এসে হোটেল কাজ করা তার স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতে তিনি
স্কটল্যান্ডের রাজধানীতে নিজের বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কা থেকে ডায়ানা ডেইলি রেকর্ডকে বলেছেন, আমি শ্রীলঙ্কায় আটকা পড়েছি।
এখানেই আমাকে মরতে হবে। শ্রীলঙ্কা ছাড়তে হলে আমাকে দেশে বাদবাকি যা আছে তা
বিক্রি করতে হবে। তারপর আমি বিমানের টিকিট কেটে ফিরতে পারবো দেশে। হয়তো
সেখানে গিয়ে একটি ফ্লাট নিয়ে নিতেও পারবো। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় গত এক বছরে
তেমন পরিবর্তন দেখিনি। শুধু আমিই প্রচুর পরিমাণে ঋণে ডুবে গিয়েছি। ডায়ানা
বলেছেন, তিনি যে বাড়িটি কিনতে ৬০ হাজার পাউন্ড দিয়েছিলেন তা এখন বিক্রি করে
দিতে চান। কিন্তু এতে বাকি আত্মীয়-স্বজন তাকে প্রত্যাখ্যান করছেন। এখানেই
শেষ নয়। একটি মিনিবাস কিনতে নিজের স্বামীকে ৩১ হাজার পাউন্ড দিয়েছিলেন
ডায়ানা, যাতে সে একজন চালক হয়ে উঠতে পারে। ডায়ানা বলেন, প্রিয়ঞ্জনার এক
বন্ধু আমাকে বলেছেন, তারা তাকে নিয়ে ঈর্ষান্বিত ছিল। কারণ, প্রিয়ঞ্জনা
অর্থশালী হয়ে উঠেছিল। সে একটি চমৎকার বাড়ি কিনেছিল। একটি মিনিবাস ও একটি
টুক-টুক কিনেছিল। ওইসব বন্ধু তাকে ব্লাকমেইল করেছিল। তাই প্রিয়ঞ্জনা তাদের
কিছু অর্থ দিয়েছিল। তারা তার কাছে আরো অর্থ দাবি করছিল। কিন্তু সে তাদেরকে
বাড়তি অর্থ দেয়নি। এ জন্য তারা তাকে গুলি করে।
একনজরে ডায়ানা ও প্রিয়ঞ্জনা: ২০১১ সালের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় এক ছুটি কাটাতে এসেছিলেন ডায়ানা। সেখানে হোটেলের এক কর্মচারী তখন প্রিয়ঞ্জনা। সেখানেই তাদের সাক্ষাৎ হয়। গড়ে ওঠে আন্তরিকতা। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের জুনে ডায়ানা আবার প্রিয়ঞ্জনাকে দেখতে ফিরে আসেন শ্রীলঙ্কা। এবার প্রেমে বাঁধা পড়েন তিনি। সেই বাঁধন তিনি ছিঁড়তে পারেননি। এর শেষ পরিণতি ঘটে তাদের বিয়ের মধ্য দিয়ে। বিয়ের পর ডায়ানা ফিরে যান দেশে। ওই বছরের নভেম্বরে তিনি তার এই স্বামীকে দেখতে আবার ফেরেন শ্রীলঙ্কায়। এ সময়েই তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিক ছবি ধারণ করে তা প্রকাশ করা হয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়মিতভাবে নিজের দেশ স্কটল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় আসা-যাওয়া করতে থাকেন ডায়ানা। তিনি ছিলেন এডিনবার্গ কাউন্সিলের একজন ওয়ার্কার। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি এডিনবার্গে নিজের বাড়িটি বিক্রি করে দিয়ে চলে আসেন শ্রীলঙ্কায়। প্রিয়ঞ্জনা শ্রীলঙ্কায় ভিন্ন একটি শহরে কাজ পাওয়ায় ওই বছরের জুনে তিনি অল্প সময়ের জন্য ফিরে যান স্কটল্যান্ডে। আবার সেপ্টেম্বরে তিনি ফিরে আসেন। কারণ, তিনি স্বামী প্রিয়ঞ্জনা থেকে আলাদা থাকতে চাননি। ২০১৭ সালের মে মাসে প্রিয়ঞ্জনাকে গুলি করা হয়। অভিযোগ করা হয় একদল মানুষ তার কাছে উৎকোচ দাবি করছিল। তা না পেয়ে তারা তাকে গুলি করে। আর এ বছরের জুনে ডায়ানা বললেন, তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যেতে পারছেন না। কারণ, তিনি অনেক ঋণে ডুবে আছেন। তিনি আরো বলেছেন, জমানো অর্থ খরচ করে নিজেকে এবং প্রয়াত স্বামীর পরিবারকে চালিয়ে নিচ্ছেন। তার নিজেরও চিকিৎসা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
একনজরে ডায়ানা ও প্রিয়ঞ্জনা: ২০১১ সালের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় এক ছুটি কাটাতে এসেছিলেন ডায়ানা। সেখানে হোটেলের এক কর্মচারী তখন প্রিয়ঞ্জনা। সেখানেই তাদের সাক্ষাৎ হয়। গড়ে ওঠে আন্তরিকতা। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের জুনে ডায়ানা আবার প্রিয়ঞ্জনাকে দেখতে ফিরে আসেন শ্রীলঙ্কা। এবার প্রেমে বাঁধা পড়েন তিনি। সেই বাঁধন তিনি ছিঁড়তে পারেননি। এর শেষ পরিণতি ঘটে তাদের বিয়ের মধ্য দিয়ে। বিয়ের পর ডায়ানা ফিরে যান দেশে। ওই বছরের নভেম্বরে তিনি তার এই স্বামীকে দেখতে আবার ফেরেন শ্রীলঙ্কায়। এ সময়েই তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিক ছবি ধারণ করে তা প্রকাশ করা হয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়মিতভাবে নিজের দেশ স্কটল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় আসা-যাওয়া করতে থাকেন ডায়ানা। তিনি ছিলেন এডিনবার্গ কাউন্সিলের একজন ওয়ার্কার। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি এডিনবার্গে নিজের বাড়িটি বিক্রি করে দিয়ে চলে আসেন শ্রীলঙ্কায়। প্রিয়ঞ্জনা শ্রীলঙ্কায় ভিন্ন একটি শহরে কাজ পাওয়ায় ওই বছরের জুনে তিনি অল্প সময়ের জন্য ফিরে যান স্কটল্যান্ডে। আবার সেপ্টেম্বরে তিনি ফিরে আসেন। কারণ, তিনি স্বামী প্রিয়ঞ্জনা থেকে আলাদা থাকতে চাননি। ২০১৭ সালের মে মাসে প্রিয়ঞ্জনাকে গুলি করা হয়। অভিযোগ করা হয় একদল মানুষ তার কাছে উৎকোচ দাবি করছিল। তা না পেয়ে তারা তাকে গুলি করে। আর এ বছরের জুনে ডায়ানা বললেন, তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যেতে পারছেন না। কারণ, তিনি অনেক ঋণে ডুবে আছেন। তিনি আরো বলেছেন, জমানো অর্থ খরচ করে নিজেকে এবং প্রয়াত স্বামীর পরিবারকে চালিয়ে নিচ্ছেন। তার নিজেরও চিকিৎসা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
No comments