৯০ বছরেও জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড by মো. নজরুল ইসলাম টিটু
বয়সের
ভারে ন্যুব্জ ক্রই হ্লা মারমা। লাঠিতে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটেন।
স্বামী নেই। নেই সন্তানও। তার ভরণপোষণ বহনের নেই কেউ-ই। ৯০ বছরেও জোটেনি
বয়স্ক ভাতার কার্ড। তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘কতজনকেই দেখলাম, বয়স্ক ভাতার
কার্ড পেতে। খালি আমারই জুটলো না। স্বামীকে হারিয়েছি অনেক আগে। অথচ, বিধবা
ভাতাও পাইনি কখনও।’
বান্দরবানের থানচি সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছান্দাক পাড়ার বৌদ্ধ বিহারে থাকেন ক্রই হ্লা মারমা। তিনি জানান, অনেক আগে তার স্বামী মারা গেছেন। এক সন্তান ছিল, সেও ছোটকালে মারা গেছে। আপন বলতে আর কেউ নেই তার। কাজ করার শক্তি হারানোর পর থেকে আশ্রয় নিয়েছেন বৌদ্ধ বিহারে।
ক্রই হ্লা মারমা বলেন, ‘যারা বিধবা ও বয়স্ক ভাতা পায়। এ টাকা দিয়েই তাদের ভালোই চলে যায়। এসব ভাতা পাওয়া দূরের কথা, এ নিয়ে কেউ কখনও আমার কোনও খোঁজখবরই নেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমি এখন অনেক দুর্বল। এ বয়সে একটু আরামের জন্য আমার একটি বিছানা, বালিশ, পরিধানের কাপড় (থামি), স্যান্ডেল, তরল খাদ্য (হরলিকস, বার্লি, সাগু) ও ওষুধ প্রয়োজন। কিন্তু এসবের ব্যবস্থা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বৌদ্ধ বিহার আমার জন্য আর কত করবে? তাদের কাছে আর কত চাইবো? তাদের কারণে তো আমি এখনও বেঁচে আছি।’
চহ্লা মারমা নামে থানচির এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি এই বৃদ্ধাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইয়ে দিতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এখনও সফল হতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য চলি চং মারমা বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরেই বৃদ্ধাকে চিনি। তিনি সরকারি কোনও সহযোগিতা পাননি। আমি তাকে অনেকবার সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ড চেয়েছি। কিন্তু তিনি আমাকে বলেছেন, এসব সহযোগিতা আমার লাগবে না; আমি তো বৌদ্ধ বিহারেই থাকি, খাই।
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি তার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে থানচি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে জমা দিয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই তিনি বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতা পাবেন।’ ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী ক্রই হ্লা মারমার বর্তমান বয়স ৯০ বছর বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সমাজসেবা অধি-দফতরের উপ-পরিচালক মিল্টন মুহুরী বলেন, ‘আমি এ বৃদ্ধার বিষয়ে আগে কখনো শুনিনি। এখন জানতে পারলাম। আমি খবর নিয়ে এই বৃদ্ধার জন্য যা যা করতে হয়, করব।’
বান্দরবানের থানচি সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছান্দাক পাড়ার বৌদ্ধ বিহারে থাকেন ক্রই হ্লা মারমা। তিনি জানান, অনেক আগে তার স্বামী মারা গেছেন। এক সন্তান ছিল, সেও ছোটকালে মারা গেছে। আপন বলতে আর কেউ নেই তার। কাজ করার শক্তি হারানোর পর থেকে আশ্রয় নিয়েছেন বৌদ্ধ বিহারে।
ক্রই হ্লা মারমা বলেন, ‘যারা বিধবা ও বয়স্ক ভাতা পায়। এ টাকা দিয়েই তাদের ভালোই চলে যায়। এসব ভাতা পাওয়া দূরের কথা, এ নিয়ে কেউ কখনও আমার কোনও খোঁজখবরই নেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমি এখন অনেক দুর্বল। এ বয়সে একটু আরামের জন্য আমার একটি বিছানা, বালিশ, পরিধানের কাপড় (থামি), স্যান্ডেল, তরল খাদ্য (হরলিকস, বার্লি, সাগু) ও ওষুধ প্রয়োজন। কিন্তু এসবের ব্যবস্থা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বৌদ্ধ বিহার আমার জন্য আর কত করবে? তাদের কাছে আর কত চাইবো? তাদের কারণে তো আমি এখনও বেঁচে আছি।’
চহ্লা মারমা নামে থানচির এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি এই বৃদ্ধাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইয়ে দিতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এখনও সফল হতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য চলি চং মারমা বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরেই বৃদ্ধাকে চিনি। তিনি সরকারি কোনও সহযোগিতা পাননি। আমি তাকে অনেকবার সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ড চেয়েছি। কিন্তু তিনি আমাকে বলেছেন, এসব সহযোগিতা আমার লাগবে না; আমি তো বৌদ্ধ বিহারেই থাকি, খাই।
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি তার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে থানচি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে জমা দিয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই তিনি বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতা পাবেন।’ ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী ক্রই হ্লা মারমার বর্তমান বয়স ৯০ বছর বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সমাজসেবা অধি-দফতরের উপ-পরিচালক মিল্টন মুহুরী বলেন, ‘আমি এ বৃদ্ধার বিষয়ে আগে কখনো শুনিনি। এখন জানতে পারলাম। আমি খবর নিয়ে এই বৃদ্ধার জন্য যা যা করতে হয়, করব।’
No comments