কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে অভাবনীয় সাফল্য by আলমগীর মানিক
প্রাকৃতিক
নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে কাপ্তাই হ্রদ থেকে
মৎস্য আহরণ ও রাজস্ব আয়ের হার অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করায় হ্রদ ঘিরে
নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে পার্বত্যবাসীর মনে। বিএফডিসির স্থানীয় কর্তৃপক্ষের
দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থাপনা, অবৈধ মাছ আহরণ-বিপণন ও প্রজননে বর্তমান হ্রদ
ব্যবস্থাপকের সাহসী পদক্ষেপ এবং গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কারণেই
এই সাফল্য এসেছে বলে মত প্রকাশ করেছেন সাধারণ জেলে ও মৎসজীবীরা। তারা
জানান, কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির অর্ধশতাব্দী পর হ্রদ ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব
আসার প্রেক্ষাপটে এই হ্রদ ঘিরে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। এই ধারা
অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদ থেকে বিপুল পরিমাণ
সরকারের রাজস্ব অর্জন উন্মুক্ত হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
বিএফডিসি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বিগত বছরের চেয়ে অন্তত এককোটি টাকা বেশি অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতে চলেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, রাঙ্গামাটি বিএফডিসিতে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাশয় কাপ্তাই হ্রদের ইতিহাসে রাজস্ব আয়ের এই হার হবে গত অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সর্বোচ্চ। মৎস্য ব্যবস্থাপনায় বিএফডিসি কর্তৃক বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে হ্রদের মৎস্য উৎপাদন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই বিগত কয়েক বছরের অতীত রেকর্ড অতিক্রম করেছে কাপ্তাই হ্রদের সার্বিক চিত্র।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএফডিসি ব্যবস্থাপনায় মৎস্য প্রজনন মৌসুমে অবৈধ মৎস্য আহরণ ও পাচার রোধ, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তি এবং অভয়াশ্রমে কার্যকর ব্যবস্থাপনার ফলেই এমন সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। অথচ হ্রদ সৃষ্টির পর প্রথম কয়েক বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতাকে ব্যাহত করে বিগত কয়েক বছর এই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আশানুরূপ সাফল্য না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছিল স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্যজীবী ও সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল। সূত্র মতে, এ বছর সাফল্যের যে ধারাবাহিকতা সৃষ্টি হয়েছে, তা আরো স্পষ্ট হতো যদি বিগত মওসুমে পাহাড়ধসের মতো বিপর্যয় বা কাপ্তাই বাঁধে পানি অপসারণের হার নিয়ে টানাপড়েন সৃষ্টি না হতো।
মৎস্যজীবীরা জানান, পাহাড়ধসের কারণে হ্রদের পানিতে যে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা দেখা দিয়েছে; তথা জেলেদের জাল প্রক্ষেপণে স্রোতের যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাতে সবাই মনে করেছিলেন এবার মাছ ব্যবসা লাটে উঠবে। কিন্তু সবার ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে রাজস্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো বেশি ওজনের কার্প জাতীয় মাছের আমদানি বৃদ্ধি এবং বিপণন ব্যবস্থায় দুর্নীতি অপনোদন।
বর্তমান সময়ে কাপ্তাই হ্রদের বিগত বছরগুলোর তুলনায় বিপুল পরিমাণ মাছ আহরিত হচ্ছে। কারণ হিসেবে জেলেরা জানিয়েছেন, বিগত বছরে গণহারে সৃষ্ট অবৈধ ঝাঁক অপসারণ, কঠোর নজরদারি, ব্যবসায়ী ও জেলেদের মধ্যে সচেতনতাবৃদ্ধি করায় তদুপরি তাদের সার্বিক সহযোগিতার ফলে মাছ আহরণ বন্ধ মৌসুমে মা মাছ নির্ঝঞ্ঝাটে ডিম ছেড়েছে কাপ্তাই হ্রদে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি পরিমাণে বড় মাছ বিশেষ করে রুই, কাতাল, মৃগেল, কালিবাউস, চিতল, বোয়াল, বাচা-পাবদাসহ ছয় ইঞ্চিরও বেশি পরিমাপের চাপিলা মাছ ধরা পড়ছে জালে।
স্থানীয় মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিএফডিসি’র সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টন মাছ আহরিত হলেও রাঙ্গামাটি বিএফডিসি তথা মৎস্য অবতরণ ঘাটে মাছ আসছে গড়ে ১৮ থেকে ২০ টন। বাকি মাছগুলো স্থানীয় বাজারসহ নানা স্থান দিয়ে অন্যত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে করে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বল্পমূল্যে মাছ সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এ অঞ্চলে আগত পর্যটকরাও কাপ্তাই হ্রদের মাছগুলোর স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন সাধ্যের মধ্যেই।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)র রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌ-বাহিনীর কমান্ডার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এছর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় হবে। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা ও বৈরী পরিবেশের মধ্যেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সময়োগযোগী পদক্ষেপের কারণেই এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, আমাদের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আগামী অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে অন্তত দ্বিগুণ পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। কারণ হিসেবে কমান্ডার আসাদ উল্লেখ করেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা দেশের সমতল এলাকা থেকে কার্প জাতীয় মাছের পোনা সংগ্রহ করে রাঙ্গামাটিতে এনে কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করতাম। এতে করে প্রায় সময় পোনার একটি অংশ পরিবহনেই মারা যেত, আবার আরেকটি অংশ হ্রদের পানিতে অবমুক্তের কয়েকদিনের মধ্যেই মরে ভেসে উঠতো। সেই বিষয়টি সার্বিকভাবে অনুধাবন করেই সরকার রাঙ্গামাটিতে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে পোনা উৎপাদন কেন্দ্র তথা পূর্ণাঙ্গ হ্যাচারি স্থাপন করেছে। জেলার লংগদু উপজেলাধীন মারিশ্যাচর এলাকায় স্থাপিত এই হ্যাচারিতে দেশি প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদনে ইতিমধ্যেই আমরা আশানুরূপ সফলতা অর্জন করেছি। এই হ্যাচারির মাধ্যমেই আমরা বর্তমানে বছরে ৬০ টন মাছের পোনা উৎপাদন করতে পারছি। তিনি বলেন, আমরা বাহির থেকে ক্রয় করে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ টন পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করলেও এ বছর আমাদের নিজস্ব হ্যাচারিতে উৎপাদিত আগের ক্রয় করার চেয়ে দ্বিগুণ মাছের পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করবো ইন্শাআল্লাহ।
বিএফডিসি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বিগত বছরের চেয়ে অন্তত এককোটি টাকা বেশি অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতে চলেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, রাঙ্গামাটি বিএফডিসিতে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাশয় কাপ্তাই হ্রদের ইতিহাসে রাজস্ব আয়ের এই হার হবে গত অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সর্বোচ্চ। মৎস্য ব্যবস্থাপনায় বিএফডিসি কর্তৃক বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে হ্রদের মৎস্য উৎপাদন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই বিগত কয়েক বছরের অতীত রেকর্ড অতিক্রম করেছে কাপ্তাই হ্রদের সার্বিক চিত্র।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএফডিসি ব্যবস্থাপনায় মৎস্য প্রজনন মৌসুমে অবৈধ মৎস্য আহরণ ও পাচার রোধ, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তি এবং অভয়াশ্রমে কার্যকর ব্যবস্থাপনার ফলেই এমন সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। অথচ হ্রদ সৃষ্টির পর প্রথম কয়েক বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতাকে ব্যাহত করে বিগত কয়েক বছর এই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আশানুরূপ সাফল্য না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছিল স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্যজীবী ও সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল। সূত্র মতে, এ বছর সাফল্যের যে ধারাবাহিকতা সৃষ্টি হয়েছে, তা আরো স্পষ্ট হতো যদি বিগত মওসুমে পাহাড়ধসের মতো বিপর্যয় বা কাপ্তাই বাঁধে পানি অপসারণের হার নিয়ে টানাপড়েন সৃষ্টি না হতো।
মৎস্যজীবীরা জানান, পাহাড়ধসের কারণে হ্রদের পানিতে যে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা দেখা দিয়েছে; তথা জেলেদের জাল প্রক্ষেপণে স্রোতের যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাতে সবাই মনে করেছিলেন এবার মাছ ব্যবসা লাটে উঠবে। কিন্তু সবার ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে রাজস্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো বেশি ওজনের কার্প জাতীয় মাছের আমদানি বৃদ্ধি এবং বিপণন ব্যবস্থায় দুর্নীতি অপনোদন।
বর্তমান সময়ে কাপ্তাই হ্রদের বিগত বছরগুলোর তুলনায় বিপুল পরিমাণ মাছ আহরিত হচ্ছে। কারণ হিসেবে জেলেরা জানিয়েছেন, বিগত বছরে গণহারে সৃষ্ট অবৈধ ঝাঁক অপসারণ, কঠোর নজরদারি, ব্যবসায়ী ও জেলেদের মধ্যে সচেতনতাবৃদ্ধি করায় তদুপরি তাদের সার্বিক সহযোগিতার ফলে মাছ আহরণ বন্ধ মৌসুমে মা মাছ নির্ঝঞ্ঝাটে ডিম ছেড়েছে কাপ্তাই হ্রদে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি পরিমাণে বড় মাছ বিশেষ করে রুই, কাতাল, মৃগেল, কালিবাউস, চিতল, বোয়াল, বাচা-পাবদাসহ ছয় ইঞ্চিরও বেশি পরিমাপের চাপিলা মাছ ধরা পড়ছে জালে।
স্থানীয় মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিএফডিসি’র সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টন মাছ আহরিত হলেও রাঙ্গামাটি বিএফডিসি তথা মৎস্য অবতরণ ঘাটে মাছ আসছে গড়ে ১৮ থেকে ২০ টন। বাকি মাছগুলো স্থানীয় বাজারসহ নানা স্থান দিয়ে অন্যত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে করে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বল্পমূল্যে মাছ সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এ অঞ্চলে আগত পর্যটকরাও কাপ্তাই হ্রদের মাছগুলোর স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন সাধ্যের মধ্যেই।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)র রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌ-বাহিনীর কমান্ডার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এছর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় হবে। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা ও বৈরী পরিবেশের মধ্যেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সময়োগযোগী পদক্ষেপের কারণেই এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, আমাদের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আগামী অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে অন্তত দ্বিগুণ পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। কারণ হিসেবে কমান্ডার আসাদ উল্লেখ করেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা দেশের সমতল এলাকা থেকে কার্প জাতীয় মাছের পোনা সংগ্রহ করে রাঙ্গামাটিতে এনে কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করতাম। এতে করে প্রায় সময় পোনার একটি অংশ পরিবহনেই মারা যেত, আবার আরেকটি অংশ হ্রদের পানিতে অবমুক্তের কয়েকদিনের মধ্যেই মরে ভেসে উঠতো। সেই বিষয়টি সার্বিকভাবে অনুধাবন করেই সরকার রাঙ্গামাটিতে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে পোনা উৎপাদন কেন্দ্র তথা পূর্ণাঙ্গ হ্যাচারি স্থাপন করেছে। জেলার লংগদু উপজেলাধীন মারিশ্যাচর এলাকায় স্থাপিত এই হ্যাচারিতে দেশি প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদনে ইতিমধ্যেই আমরা আশানুরূপ সফলতা অর্জন করেছি। এই হ্যাচারির মাধ্যমেই আমরা বর্তমানে বছরে ৬০ টন মাছের পোনা উৎপাদন করতে পারছি। তিনি বলেন, আমরা বাহির থেকে ক্রয় করে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ টন পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করলেও এ বছর আমাদের নিজস্ব হ্যাচারিতে উৎপাদিত আগের ক্রয় করার চেয়ে দ্বিগুণ মাছের পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করবো ইন্শাআল্লাহ।
No comments