মালদ্বীপে ভারতের ব্যক্তিকেন্দ্রিক হস্তক্ষেপের ফল হতে পারে হিতে বিপরীত by পি কে বালাচন্দ্রন
ভারতের
২২শে মার্চের বিবৃতি অনুযায়ী মালদ্বীপে দেশটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক হস্তক্ষেপ
করলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের এ ধরনের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, তেমনই হিতে
বিপরীত হতে পারে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে ভারতকে হস্তক্ষেপকারী দেশ
হিসেবে বিবেচনা করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব দেশের চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ার
একটি কারণ হলো তাদের ভারতের জোয়াল ছুড়ে ফেলে নিজেদের পথে এগিয়ে যাওয়ার আরো
সুযোগ অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। ভারতের বিপরীতে চীন (অন্তত এখন) হস্তক্ষেপ করতে
চায় না। তারা রাজনৈতিক অক্ষ গড়ার বদলে ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে কাজ করছে।
অবশ্য চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ার একটি মূল্যও আছে। যেসব সরকার চীনের দিকে
ঝুঁকছে, তাদের প্রতি ভারত বৈরী হয়ে উঠেছে, স্থানীয় সুযোগ সন্ধানী সমর্থকদের
নিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
মালদ্বীপের ঘটনা
মালদ্বীপে বিরোধী দলের নেতা মোহাম্মদ নাশিদের প্রতি পুরো সমর্থন দিয়ে ভারত সম্ভবত ভারত মহাসাগরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দেশের বিরোধপূর্ণ পক্ষগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতা করা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার সোনালি সুযোগ হারিয়েছে। প্রকাশ্যে বিরোধী দলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত ও প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে মালদ্বীপের বিভক্ত ও দলকানা রাজনীতির পঙ্কিলতায় ভারত নিজেকে ডুবিয়ে ফেলেছে।
মালদ্বীপের রাজনৈতিক আনুগত্যের সংকীর্ণতা, প্রবল দুর্নীতি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অশ্রদ্ধার কারণে ভারতের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কিংবা বিরোধী দলে থাকা কোনো নেতা, ব্যক্তি বা দলকে নিজেদের প্রতি একনিষ্ঠ দেখতে পাওয়া কঠিন হবে। প্রত্যেকেই ভারতকে সন্দেহের চোখে দেখবে। ভারত আনায়াসেই শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী ও মধ্যস্থতাকারী হয়ে স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারত। এতে করে সে সবার মন জয় করতে পারত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সে তা করেনি।
ব্যক্তিবিশেষের প্রতি সমর্থন প্রদানের ফলে মালদ্বীপ সরকার ভারতের তহবিলপুষ্ট প্রকল্পগুলো বাতিল করে দিতে পারে কিংবা কার্যকর করা মন্থর করে দিতে পারে। হস্তক্ষেপ করছে না এমন দেশগুলোর প্রতি সরকার নজর দিতে পারে। কিন্তু এ ধরনের যেকোনো পদক্ষেপে ভারত ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে। ভারতের জন্য ভালো হয় নিরপেক্ষ থেকে ক্ষমতায় যারাই থাকুক না কেন তাদের সাথেই কেবল কাজ করা। এ পন্থায় ভারত স্বেচ্ছাচারী বিরোধী দল থেকে নিজেকে সুরক্ষা করতে পারে, স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও নেতাদের পক্ষ থেকে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
মালদ্বীপের সাথে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক বন্ধনের কারণে দেশটিতে গঠনমূলকভাবে হস্তক্ষেপ করার দুর্দান্ত অবস্থানে ছিল ভারত। ভারতের এই অবস্থানের কাছাকাছিও অন্য কোনো দেশ ছিল না। চীন বা পাশ্চাত্যের অন্য কোনো দেশের এমন সুবিধাজনক অবস্থান নেই। প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন, বিরোধী দলের নেতা মোহাম্মদ নাশিদসহ মালদ্বীপের সবাই ভারতকে বড়ভাই হিসেবে মেনে নিয়েছে। ভারতের বন্ধুসুলভ পরামর্শ সবই গ্রহণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু এই চমৎকার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। জিএমআর বিমানবন্দর প্রকল্পটি বাতিল করায় ক্ষুব্ধ হয়ে মালদ্বীপ সরকারের সাথে মতবিনিময় বন্ধ করে দেয় ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মালদ্বীপই একমাত্র দেশ, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো সফর করেননি। বর্তমান সঙ্কটের ব্যাখ্যা করতে মালদ্বীপ যখন তার বিশেষ দূত ভারতে পাঠাতে চাইল, নয়া দিল্লি তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মালদ্বীপের সংকট নিরসনে ভারত নিজেও বিশেষ দূত সেখানে পাঠাতে পারত। কিন্তু সে তা-ও করেনি।
জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর ভারত সেটির প্রশংসা করে নাশিদ ও ইয়ামিনকে একসাথে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারত। কিন্তু নয়া দিল্লি এসব না করে ইয়ামিনের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছে। তাকে ভারতের দাবিগুলো পূরণ করার জন্য চূড়ান্ত সময়মীমা বেঁধে দিয়েছে। এতে করে ভারত ও ইয়ামিন এমন এক স্থানে পৌঁছে যেতে পারে, যেখান থেকে তাদের ফেরার আর কোনো পথ থাকবে না। ভারতের অবস্থানের কারণে ইয়ামিন ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে ভোট বাগানোর জন্য মালদ্বীপের জাতীয়তাবাদী কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। ছোট ও কৌশলগত অবস্থানে থাকায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এড়িয়ে স্বাধীনতা রক্ষায় হিমশিম খেতে থাকা দেশটিতে জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম হতে পারে প্রপাগান্ডার শক্তিশালী হাতিয়ার।
ভারতের বিবৃতি
ভারত ২২শে মার্চ এক বিবৃতিতে মালদ্বীপ সরকারের প্রতি সংবিধানের সব অনুচ্ছেদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা; পূর্ণ স্বাধীনতা সহকারে সুপ্রিম কোর্ট ও বিচার বিভাগের অন্য সব বিভাগকে কাজ করতে দেয়া; পার্লামেন্টের অবাধ ও যথাযথ কার্যক্রম চালানোর সুযোগ প্রদান; ১লা ফেব্রুয়ারি দেয়া সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চের রায় বাস্তবায়ন; এবং পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দিয়ে সত্যিকারের রাজনৈতিক সংলাপের প্রতি সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয, মালদ্বীপ সরকারে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক ও সেইসঙ্গে আইনের শাসনের বিশ্বাসযোগ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ভারত যখন বলে, তাদের নিরাপত্তা মালদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতার সাথে সম্পর্কযুক্ত, তখন ভারতের এই বিবৃতিতে বলপ্রয়োগের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলেই মনে হতে পারে।
মালদ্বীপের প্রত্যাঘাত
ভারতের এই বিবৃতির তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছে মালদ্বীপ বলেছে, এই বিবৃতি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মালদ্বীপ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সামপ্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়। ফলে এসবের সমাধানও ঘরোয়াভাবে হওয়া উচিত। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর
মালদ্বীপের ঘটনা
মালদ্বীপে বিরোধী দলের নেতা মোহাম্মদ নাশিদের প্রতি পুরো সমর্থন দিয়ে ভারত সম্ভবত ভারত মহাসাগরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দেশের বিরোধপূর্ণ পক্ষগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতা করা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার সোনালি সুযোগ হারিয়েছে। প্রকাশ্যে বিরোধী দলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত ও প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে মালদ্বীপের বিভক্ত ও দলকানা রাজনীতির পঙ্কিলতায় ভারত নিজেকে ডুবিয়ে ফেলেছে।
মালদ্বীপের রাজনৈতিক আনুগত্যের সংকীর্ণতা, প্রবল দুর্নীতি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অশ্রদ্ধার কারণে ভারতের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কিংবা বিরোধী দলে থাকা কোনো নেতা, ব্যক্তি বা দলকে নিজেদের প্রতি একনিষ্ঠ দেখতে পাওয়া কঠিন হবে। প্রত্যেকেই ভারতকে সন্দেহের চোখে দেখবে। ভারত আনায়াসেই শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী ও মধ্যস্থতাকারী হয়ে স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারত। এতে করে সে সবার মন জয় করতে পারত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সে তা করেনি।
ব্যক্তিবিশেষের প্রতি সমর্থন প্রদানের ফলে মালদ্বীপ সরকার ভারতের তহবিলপুষ্ট প্রকল্পগুলো বাতিল করে দিতে পারে কিংবা কার্যকর করা মন্থর করে দিতে পারে। হস্তক্ষেপ করছে না এমন দেশগুলোর প্রতি সরকার নজর দিতে পারে। কিন্তু এ ধরনের যেকোনো পদক্ষেপে ভারত ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে। ভারতের জন্য ভালো হয় নিরপেক্ষ থেকে ক্ষমতায় যারাই থাকুক না কেন তাদের সাথেই কেবল কাজ করা। এ পন্থায় ভারত স্বেচ্ছাচারী বিরোধী দল থেকে নিজেকে সুরক্ষা করতে পারে, স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও নেতাদের পক্ষ থেকে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
মালদ্বীপের সাথে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক বন্ধনের কারণে দেশটিতে গঠনমূলকভাবে হস্তক্ষেপ করার দুর্দান্ত অবস্থানে ছিল ভারত। ভারতের এই অবস্থানের কাছাকাছিও অন্য কোনো দেশ ছিল না। চীন বা পাশ্চাত্যের অন্য কোনো দেশের এমন সুবিধাজনক অবস্থান নেই। প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন, বিরোধী দলের নেতা মোহাম্মদ নাশিদসহ মালদ্বীপের সবাই ভারতকে বড়ভাই হিসেবে মেনে নিয়েছে। ভারতের বন্ধুসুলভ পরামর্শ সবই গ্রহণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু এই চমৎকার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। জিএমআর বিমানবন্দর প্রকল্পটি বাতিল করায় ক্ষুব্ধ হয়ে মালদ্বীপ সরকারের সাথে মতবিনিময় বন্ধ করে দেয় ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মালদ্বীপই একমাত্র দেশ, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো সফর করেননি। বর্তমান সঙ্কটের ব্যাখ্যা করতে মালদ্বীপ যখন তার বিশেষ দূত ভারতে পাঠাতে চাইল, নয়া দিল্লি তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মালদ্বীপের সংকট নিরসনে ভারত নিজেও বিশেষ দূত সেখানে পাঠাতে পারত। কিন্তু সে তা-ও করেনি।
জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর ভারত সেটির প্রশংসা করে নাশিদ ও ইয়ামিনকে একসাথে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারত। কিন্তু নয়া দিল্লি এসব না করে ইয়ামিনের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছে। তাকে ভারতের দাবিগুলো পূরণ করার জন্য চূড়ান্ত সময়মীমা বেঁধে দিয়েছে। এতে করে ভারত ও ইয়ামিন এমন এক স্থানে পৌঁছে যেতে পারে, যেখান থেকে তাদের ফেরার আর কোনো পথ থাকবে না। ভারতের অবস্থানের কারণে ইয়ামিন ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে ভোট বাগানোর জন্য মালদ্বীপের জাতীয়তাবাদী কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। ছোট ও কৌশলগত অবস্থানে থাকায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এড়িয়ে স্বাধীনতা রক্ষায় হিমশিম খেতে থাকা দেশটিতে জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম হতে পারে প্রপাগান্ডার শক্তিশালী হাতিয়ার।
ভারতের বিবৃতি
ভারত ২২শে মার্চ এক বিবৃতিতে মালদ্বীপ সরকারের প্রতি সংবিধানের সব অনুচ্ছেদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা; পূর্ণ স্বাধীনতা সহকারে সুপ্রিম কোর্ট ও বিচার বিভাগের অন্য সব বিভাগকে কাজ করতে দেয়া; পার্লামেন্টের অবাধ ও যথাযথ কার্যক্রম চালানোর সুযোগ প্রদান; ১লা ফেব্রুয়ারি দেয়া সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চের রায় বাস্তবায়ন; এবং পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দিয়ে সত্যিকারের রাজনৈতিক সংলাপের প্রতি সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয, মালদ্বীপ সরকারে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক ও সেইসঙ্গে আইনের শাসনের বিশ্বাসযোগ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ভারত যখন বলে, তাদের নিরাপত্তা মালদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতার সাথে সম্পর্কযুক্ত, তখন ভারতের এই বিবৃতিতে বলপ্রয়োগের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলেই মনে হতে পারে।
মালদ্বীপের প্রত্যাঘাত
ভারতের এই বিবৃতির তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছে মালদ্বীপ বলেছে, এই বিবৃতি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মালদ্বীপ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সামপ্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়। ফলে এসবের সমাধানও ঘরোয়াভাবে হওয়া উচিত। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর
No comments