সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার কমাতে চায় বাংলাদেশ
দেশের
তরুণদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের সময়সীমা কমিয়ে আনতে চায়
বাংলাদেশ। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ভিত্তিক অ্যাপগুলোতে
প্রবেশাধিকারের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে। বৃহসপতিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েকটি অ্যাপে
প্রবেশাধিকার সীমিত করে দেয়া হবে। এ সময় ওই কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম-ভিত্তিক ওই অ্যাপগুলোকে ‘ডিজিটাল আফিম’ বলে বর্ণনা করেন। এ খবর
দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, ফেসবুকসহ অন্যান্য জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অত্যধিক পরিমাণ সময় ব্যয় করার কারণে লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে দূরে ছিটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশের টেলিকম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ তরুণদের উদ্দেশে বলেন, তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোনে ব্যয় করে। এটা তাদের সামাজিক ও শিক্ষা জীবনের ক্ষতি করছে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকে ‘ডিজিটাল আফিম’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
পৃথিবীর অন্যান্য অংশের মতন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। যদিও দেশের মাত্র অর্ধাংশের মতো জনগণের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মের একটি সীমিত ভার্সন বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে। এতে করে দেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারে। কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে মাহমুদ বলেন, বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন অ্যাপে প্রবেশাধিকারের মূল্য বৃদ্ধি করবে। তিনি জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক, ব্যবসায়িক ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট যেন আক্রান্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। তিনি বলেন, আমরা এই পদক্ষেপ কিভাবে বাস্তবায়ন করবো সে বিষয়ে একেবারে ক্ষুদ্র পর্যায়ে পরিকল্পনা করছি। এটা এখন শুনতে নিষেধাত্মক শোনালেও, দীর্ঘ মেয়াদে এটা দেশের জন্য ব্যবহারিকভাবে বেশ সুফল বয়ে আনবে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য। এছাড়া তিনি নতুন একটি পদ্ধতি প্রবর্তনের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন। যার মাধ্যমে, তরুণরা স্মার্টফোনে কি কি ‘কনটেন্ট’ ব্যবহার করতে পারবে তা ফিল্টার করা হবে। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের জন্য এমনটা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।
বেশিরভাগ বাংলাদেশিই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। গত মাসে, দেশের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ‘থ্রি জি’ থেকে ‘ফোর জি’ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালের শুরুর দিকে, বিরোধীদলীয় বিক্ষোভের মুখে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ওপর একটি তিন সপ্তাহব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
খবরে বলা হয়, ফেসবুকসহ অন্যান্য জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অত্যধিক পরিমাণ সময় ব্যয় করার কারণে লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে দূরে ছিটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশের টেলিকম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ তরুণদের উদ্দেশে বলেন, তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোনে ব্যয় করে। এটা তাদের সামাজিক ও শিক্ষা জীবনের ক্ষতি করছে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকে ‘ডিজিটাল আফিম’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
পৃথিবীর অন্যান্য অংশের মতন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। যদিও দেশের মাত্র অর্ধাংশের মতো জনগণের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মের একটি সীমিত ভার্সন বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে। এতে করে দেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারে। কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে মাহমুদ বলেন, বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন অ্যাপে প্রবেশাধিকারের মূল্য বৃদ্ধি করবে। তিনি জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক, ব্যবসায়িক ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট যেন আক্রান্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। তিনি বলেন, আমরা এই পদক্ষেপ কিভাবে বাস্তবায়ন করবো সে বিষয়ে একেবারে ক্ষুদ্র পর্যায়ে পরিকল্পনা করছি। এটা এখন শুনতে নিষেধাত্মক শোনালেও, দীর্ঘ মেয়াদে এটা দেশের জন্য ব্যবহারিকভাবে বেশ সুফল বয়ে আনবে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য। এছাড়া তিনি নতুন একটি পদ্ধতি প্রবর্তনের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন। যার মাধ্যমে, তরুণরা স্মার্টফোনে কি কি ‘কনটেন্ট’ ব্যবহার করতে পারবে তা ফিল্টার করা হবে। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের জন্য এমনটা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।
বেশিরভাগ বাংলাদেশিই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। গত মাসে, দেশের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ‘থ্রি জি’ থেকে ‘ফোর জি’ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালের শুরুর দিকে, বিরোধীদলীয় বিক্ষোভের মুখে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ওপর একটি তিন সপ্তাহব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
No comments